Tarapith: ‘রাখা থাকে গোপন জায়গায়...’, বিভিন্ন তিথিতে মা তারাকে সাজিয়ে তোলা হয় সোনার অলংকার দিয়ে! জানেন সেগুলি কোথায় থাকে?

Last Updated:
মা তারার সোনার মুকুট থেকে শুরু করে সোনার অলংকার সযত্নে রাখা হয় গোপন জায়গায় জানেন কোথায়?
1/5
বীরভূম, সৌভিক রায়: বীরভূমের মধ্যে অবস্থিত সাধক বামাক্ষ্যাপার অন্যতম সিদ্ধপীঠ বীরভূমের তারাপীঠ। বিভিন্ন উৎসবে মা তারাকে স্বর্ণালঙ্কারে সাজিয়ে তোলা হয় দেবীর বিগ্রহ। এমনকি প্রত্যেক মাসের অমাবস্যা তিথিতে সাজিয়ে তোলা হয় মা তারার মূর্তি। তারাপীঠ মন্দিরের ইতিহাস ঘাটলে জানা যায় ১৭০১ সালে মুর্শিদকুলি খাঁয়ের সময় নাটোরের তৎকালীন রাজা উদয় নারায়ণের অধীনস্থ জমিদার রামজীবন চৌধুরী প্রথম মন্দির নির্মাণ করেন।
বীরভূমের মধ্যে অবস্থিত সাধক বামাক্ষ্যাপার অন্যতম সিদ্ধপীঠ বীরভূমের তারাপীঠ। বিভিন্ন উৎসবে মা তারাকে স্বর্ণালঙ্কারে সাজিয়ে তোলা হয় দেবীর বিগ্রহ। এমনকি প্রত্যেক মাসের অমাবস্যা তিথিতে সাজিয়ে তোলা হয় মা তারার মূর্তি। তারাপীঠ মন্দিরের ইতিহাস ঘাটলে জানা যায় ১৭০১ সালে মুর্শিদকুলি খাঁয়ের সময় নাটোরের তৎকালীন রাজা উদয় নারায়ণের অধীনস্থ জমিদার রামজীবন চৌধুরী প্রথম মন্দির নির্মাণ করেন।ছবি ও তথ্য: সৌভিক রায়
advertisement
2/5
ঠিক সেই সময় থেকেই মায়ের শিলামূর্তির উপর কালীর আরাধনা শুরু হয়। যা প্রায় ৩২৫ বছর ধরে চলছে। এরপরে ১৭৭৫ সালে রানি ভবানীর দত্তক পুত্র রাজা রামকৃষ্ণ রায় তারা মায়ের রাজবেশের উপর কালীপুজো শুরু করেন। তাঁকে সহায়তা করেন তৎকালীন সাধক দ্বিতীয় আনন্দনাথ। তবে থেকে আজও মায়ের রাজবেশের উপর পুজো হয়ে আসছে। আবির্ভাব তিথি, কৌশিকী অমাবস্যার পর কালীপুজোয় স্বর্ণালঙ্কারে সাজিয়ে তোলা হয়েছিল দেবীর বিগ্রহ। তবে অনেক ভক্তদের মনে প্রশ্ন থাকে কোথায় রাখা থাকে এই সোনার অলংকার!
ঠিক সেই সময় থেকেই মায়ের শিলামূর্তির উপর কালীর আরাধনা শুরু হয়। যা প্রায় ৩২৫ বছর ধরে চলছে। এরপরে ১৭৭৫ সালে রানি ভবানীর দত্তক পুত্র রাজা রামকৃষ্ণ রায় তারা মায়ের রাজবেশের উপর কালীপুজো শুরু করেন। তাঁকে সহায়তা করেন তৎকালীন সাধক দ্বিতীয় আনন্দনাথ। তবে থেকে আজও মায়ের রাজবেশের উপর পুজো হয়ে আসছে। আবির্ভাব তিথি, কৌশিকী অমাবস্যার পর কালীপুজোয় স্বর্ণালঙ্কারে সাজিয়ে তোলা হয়েছিল দেবীর বিগ্রহ। তবে অনেক ভক্তদের মনে প্রশ্ন থাকে কোথায় রাখা থাকে এই সোনার অলংকার!ছবি ও তথ্য: সৌভিক রায়
advertisement
3/5
সারাটি বছর সেই অলঙ্কার থাকে গোপন জায়গায় ও লকারে। এমনটাই জানান তারাপীঠ মন্দিরের প্রবীণ সেবাইত প্রবোধ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান মা তারার শিলামূর্তিকে শ্মশান থেকে উদ্ধার করে যখন মন্দিরে বসানো হয় তখন শিলার উপরই পুজো অর্পণ করা হতো। সেইসময় সেভাবে স্বর্ণলঙ্কার নিবেদন করা হতো না। পরবর্তীকালে সাধক বামাক্ষ্যাপা সিদ্ধিলাভ করেন।
সারাটি বছর সেই অলঙ্কার থাকে গোপন জায়গায় ও লকারে। এমনটাই জানান তারাপীঠ মন্দিরের প্রবীণ সেবাইত প্রবোধ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান মা তারার শিলামূর্তিকে শ্মশান থেকে উদ্ধার করে যখন মন্দিরে বসানো হয় তখন শিলার উপরই পুজো অর্পণ করা হতো। সেইসময় সেভাবে স্বর্ণলঙ্কার নিবেদন করা হত না। পরবর্তীকালে সাধক বামাক্ষ্যাপা সিদ্ধিলাভ করেন।ছবি ও তথ্য: সৌভিক রায়
advertisement
4/5
এরপর থেকে সময় যত এগিয়েছে তারাপীঠের ভক্তের সংখ্যা কয়েক গুণ বাড়তে শুরু করেছে। এরপরই অনেকে তাদের মনস্কামনা পূরণের জন্য মা তারার কাছে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অলংকার অর্পণ করে থাকেন। জানা যায় ১৯২৭ সালে বীরেন্দ্রকুমার রায় বাহাদুরের সঙ্গে তারাপীঠের সেবাইত যতীন্দ্রনাথ পাণ্ডার একটি মামলা হয় সিউড়ির জজ কোর্টে। বিচারকের আদেশে একটি শোলেনামা সম্পাদিত হয়।
এরপর থেকে সময় যত এগিয়েছে তারাপীঠের ভক্তের সংখ্যা কয়েক গুণ বাড়তে শুরু করেছে। এরপরই অনেকে তাদের মনস্কামনা পূরণের জন্য মা তারার কাছে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অলঙ্কার অর্পণ করে থাকেন। জানা যায় ১৯২৭ সালে বীরেন্দ্রকুমার রায় বাহাদুরের সঙ্গে তারাপীঠের সেবাইত যতীন্দ্রনাথ পাণ্ডার একটি মামলা হয় সিউড়ির জজ কোর্টে। বিচারকের আদেশে একটি শোলেনামা সম্পাদিত হয়।ছবি ও তথ্য: সৌভিক রায়
advertisement
5/5
তাতে উল্লেখ রয়েছে তারাপীঠের সেবাইত এবং রানি ভবনী উভয়ে মায়ের সেবাইত। সেবাইতরা মায়ের সেবার জন্য ব্যবহার করতে পারবেন বড় জিনিস যেমন সোনার মুকুট বা মালা যেগুলি পুজো করবেন এবং কাপড় বা স্বর্ণলঙ্কার যা কিছু ভক্তরা নিবেদন করবেন সেগুলি মায়ের জায়গা এবং লকারেও রাখা হবে। সেই মতন সেই সমস্ত জিনিসপত্র সোনার অলংকার সবকিছুই একটি গোপন জায়গায় রাখা হয়। বিশেষ বিশেষ তিথিতে সেগুলি মাকে পরানো হয়। এবং রাজরাজেশ্বরী রূপে সাজিয়ে তোলা হয় মা তারাকে।
তাতে উল্লেখ রয়েছে তারাপীঠের সেবাইত এবং রানি ভবনী উভয়ে মায়ের সেবাইত। সেবাইতরা মায়ের সেবার জন্য ব্যবহার করতে পারবেন বড় জিনিস যেমন সোনার মুকুট বা মালা যেগুলি পুজো করবেন এবং কাপড় বা স্বর্ণলঙ্কার যা কিছু ভক্তরা নিবেদন করবেন সেগুলি মায়ের জায়গা এবং লকারেও রাখা হবে। সেই মতন সেই সমস্ত জিনিসপত্র সোনার অলংকার সবকিছুই একটি গোপন জায়গায় রাখা হয়। বিশেষ বিশেষ তিথিতে সেগুলি মাকে পরানো হয়। এবং রাজরাজেশ্বরী রূপে সাজিয়ে তোলা হয় মা তারাকে।ছবি ও তথ্য: সৌভিক রায়
advertisement
advertisement
advertisement