Birbhum News: লম্বাটে, এত বড়, অজয় নদে ভাসছে ওটা কী? দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার...শেষমেষ এল সেনা জওয়ান! আসল কাণ্ড জানলে চমকে যাবেন
- Published by:Ankita Tripathi
- hyperlocal
- Reported by:Souvik Roy
Last Updated:
সেপ্টেম্বর মাসে উদ্ধার হওয়া দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কালের মর্টার শেল নিষ্ক্রিয় করার সময় কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা, জানুন বিস্তারিত
দীর্ঘদিন পর অবশেষে বীরভূমের অজয় নদ থেকে উদ্ধার হওয়া মর্টার শেলটি নিষ্ক্রিয় করল সেনা জওয়ানেরা। পূর্ব বর্ধমানের পানাগড় সেনা ঘাঁটি থেকে একটি বিশেষজ্ঞ দল এসে পরিদর্শনের পর নিষ্ক্রিয় করে ধাতব বস্তুটি। প্রসঙ্গত, গত ১২ সেপ্টেম্বর বীরভূমের নানুরের সিঙ্ঘিদহ সংলগ্ন লাউডোহা গ্রামে অজয় নদের চরে ভাসতে দেখা যায় রহস্যময় ওই মর্টার সদৃশ বস্তুটিকে। প্রথমে এলাকার বাসিন্দারা কৌতূহলবশত ভিড় জমালেও দ্রুত আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকাজুড়েই। ছবি ও তথ্য: সৌভিক রায়
advertisement
এলাকাবাসীদের তরফ থেকে খবর দেওয়া হয় বোলপুর থানার পুলিশ প্রশাসনকে। খবর পেয়ে তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে যায় বোলপুর থানার পুলিশ প্রশাসন। বস্তুটি বিপজ্জনক হতে পারে ভেবে পুলিশ সেটি নজরদারিতে রাখে। গোটা এলাকা চত্বর মুড়ে ফেলা হয় নিরাপত্তার চাদরে। পরবর্তীতে বোম স্কোয়াড ও সেনাবাহিনীকে খবর দেওয়া হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, ধাতব গোলাকার বস্তুটি সম্ভবত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার একটি মর্টার শেল হতে পারে। ব্রিটিশ আমলে পূর্ব বর্ধমান ও বীরভূম সংলগ্ন এলাকায় সামরিক মহড়া হত বলে ধারণা।ছবি ও তথ্য: সৌভিক রায়
advertisement
বর্ধমান থেকে আগত সেনা জওয়ানের দল প্রথমে অজয় নদীর চরে একটি বড় খাল তৈরি করে। পরে বালির বস্তা দিয়ে ঘিরে ফেলা হয় বস্তুটি। এরপর নিয়ন্ত্রিত পদ্ধতিতে তা নিষ্ক্রিয় করা হয়। নিষ্ক্রিয়করণের সময় আশপাশের এলাকায় ভয়ঙ্কর কম্পন অনুভূত হয়। যা দেখে আতঙ্কিত হলেও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন এলাকার স্থানীয়রা।ছবি ও তথ্য: সৌভিক রায়
advertisement
বোলপুর শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতীর ভূগোল বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, "অজয় নদের প্রবাহের দেখা গেছে, বন্যার জলে বিভিন্ন সময়ে বহু বস্তু ভেসে এসেছে। তবে এটি সম্ভবত ব্রিটিশ আমলের সেনাদের সামরিক মহড়ার কোনও অস্ত্র বলেই মনে হয়েছে। বহু বছর বালির নিচে চাপা পড়ে থেকে সেটি ভেসে উঠেছে। নিঃসন্দেহে এটি একটি ঐতিহাসিক নিদর্শনও ছিল।"ছবি ও তথ্য: সৌভিক রায়
advertisement
যদিও সেনাবাহিনীর আধিকারিকদের তরফ থেকে বস্তুটি আসলে কী এবং কতটা বিপজ্জনক ছিল,আর কিসের তৈরি, সে বিষয়ে কোনও ধরনের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে বস্তুটি নিষ্ক্রিয় করার সময় কৌতূহলী হয়ে হাজির হন সিঙি-ঘিদহ সংলগ্ন লাউডোহা গ্রামের বাসিন্দারা। যদিও পুলিশ প্রশাসন মোতায়েন ছিল কোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে।ছবি ও তথ্য: সৌভিক রায়