আলিপুরদুয়ার জেলার কালচিনি ব্লকের উত্তরমেন্দাবাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে শুক্রবার এই বিপুল পরিমান লাল চন্দন কাঠ উদ্ধার করে বন দফতর। জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান কতৃপক্ষ এই অভিযানের নেতৃত্ব দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: ট্রেনে করে কাঠ পাচারের চেষ্টা ভেস্তে দিল বনদফতরের কর্মীরা
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এই অভিযান চালায় বন দফতর। জানা গিয়েছে এই অভিযান চালাতে জলপাইগুড়ির বেলাকোবা রেঞ্জের রেঞ্জ অফিসার সঞ্জয় দত্তের নেতৃত্বে বনফতরের একটি দল এই অভিযানে সামিল হয়েছিলেন। ধৃতরা কালচিনির উত্তর মেন্দাবাড়ি ও সাতালি এলাকার বাসিন্দা। তাদের নাম রুদ্র কার্জি, অশোক রায়, রেমেন রাভা, জহিন নার্জিনারি ও রুপম নার্জিনারি। এর মধ্যে রুদ্র কার্জি পূর্ত দফতরের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার পদে কর্মরত।
advertisement
এছাড়া অশোক রায় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য। এদিন দুপুর নাগাদ গোপন সূত্রে খবরের ভিত্তিতে এই অভিযান শুরু করে বন দফতর। উত্তর মেন্দাবাড়ির তিনটি বাড়িতে এই সব লাল চন্দন কাঠ টুকরো টুকরো করে লুকিয়ে রাখা ছিল । সেখান থেকে কাঠগুলো উদ্ধার করে বন দফতর। শনিবার তাদের আদালতে তোলা হবে।
আরও পড়ুন: রেশনের বদলে নগদ টাকা! রেশন-দুর্নীতির অভিযোগে বিক্ষোভ স্থানীয়দের
জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের ডি এফ ও দীপম এম বলেন, “ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে আমাদের বিশেষ দল এই অভিযান চালায়। ৮০০ কেজি লাল চন্দন কাঠ উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছি আমরা। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।”
বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে ওই এলাকায় চন্দন কাঠ মজুত করে ক্রেতার সন্ধান করছিল পাচারকারীরা। বন দফতর এই খবর পায়। তার পরেই এই অভিযান চালানো হয়। এর আগেও মেন্দাবাড়ি থেকে চন্দন কাঠ উদ্ধার করেছিল এস এস বি-র জওয়ানরা। ফের মেন্দাবাড়িতে লাল চন্দন কাঠের হদিশ মেলায় তোলপার শুরু হয়েছে।
রাজকুমার কর্মকার