বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের আধিকারিক ও বনকর্মী এবং পুলিশ এলাকায় পৌঁছে ভীড় নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করেন। তাদের নজরে প্রথমে আসে এলাকার খালি জমিতে একটি হাতির মৃতদেহ পড়ে আছে আশ্চর্যজনক ভাবে হাতির মৃতদেহ পাশে বড় গর্ত করা হয়েছে। অনুমান করা হয়েছে কেউ বা কারা হাতিটিকে এলাকায় সমাধিস্থ করার পরিকল্পনা নিয়েছিল।জমির চারধারে বিদ্যুৎ এর তার দেখা গিয়েছে।বনকর্মীদের অনুমান বিদ্যুতের সংস্পর্শে এসে হাতিটির মৃত্যু হয়েছে।
advertisement
এরপর প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করে জমির মালিক। তবে মঙ্গলবার রাতে বনদফতরের কর্মীরা জানতে পারেন পুরো ঘটনাটি। এরপর গতকাল রাত থেকেই বনদফতরের বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের আধিকারিক ও বনকর্মীরা এলাকায় রয়েছে। তারা আশেপাশের থেকে বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করেছেন।তবে বিদ্যুতের তারের সংস্পর্শ নাকি অন্য কোনও কারণে হাতিটির মৃত্যু হয়েছে।তা ময়নাতদন্তের পর স্পষ্ট জানা যাবে বলে বনদফতর সূত্রে খবর। এদিকে জমির মালিকের খোঁজ শুরু করেছে বনদফতর ও পুলিশ।বনকর্মীদের অনুমান দুই দিন আগেই হাতিটির মৃত্যু হয়েছে।হাতির দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য রাজাভাতখাওয়া প্রকৃতিবীক্ষণ কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভুবন বাদ্যকরকে ভুলে যান! এবার ভাইরাল বাঁকুড়ার সাইকেল মিস্ত্রীর গান!
স্থানীয়দের মতে এলাকায় প্রতিদিন হাতির হামলার ঘটনা ঘটে।বক্সার জঙ্গল থেকে কখনও ২০ টি আবার কখনও ৫০ টি হাতির দল লোকালয়ে এসে তাণ্ডব চালায়।বনদফতরের পক্ষ থেকে টহল দেওয়া হয়না বলে অভিযোগ।তবে জমিতে এভাবে বিদ্যুতের তার দিয়ে ঘিরে ফেলার বিষয়টি মেনে নিতে পারছেন না স্থানীয়রা। বনদফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে বন্যপ্রাণ হত্যার বিষয়টি ময়নাতদন্তে উঠে এলে জমির মালিককে ছাড়া হবে না।
Annanya Dey