Job: ম‍্যানেজার নেই, বসের টেনশন নেই, না আছে টার্গেট, বেতন ৩০ কোটি! কাজ শুধু একটা স‍্যুইচ অন করা...তাও কেউ কেন করতে চায় না এই চাকরি?

Last Updated:
Toughest job in the world: এই চাকরিতে নজরদারি করার জন‍্য কোনও শিফট ম‍্যানেজারের বালাই নেই, বসের হুকুমও খুব একটা নেই, বেতন প্রায় ৩০ কোটি টাকা বার্ষিক। তবুও কেন কেউ এই চাকরি করতে চায় না? কী এই চাকরি?
1/12
দিন দিন ক্রমশ বাড়ছে বেকারত্বের সমস‍্যা। ভারতে তো বটেই, চিনের মতো উন্নত দেশগুলিতেই বেকারত্বের সম‍স‍্যা ক্রমবর্ধমান। চাকরি পাওয়া যুবক যুবতীদের জন‍্য অসাধ‍্য সাধন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
দিন দিন ক্রমশ বাড়ছে বেকারত্বের সমস‍্যা। ভারতে তো বটেই, চিনের মতো উন্নত দেশগুলিতেই বেকারত্বের সম‍স‍্যা ক্রমবর্ধমান। চাকরি পাওয়া যুবক যুবতীদের জন‍্য অসাধ‍্য সাধন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
advertisement
2/12
এত সমস‍্যার পরেই এমন একটি চাকরি রয়েছে যেখানে খাটুনি নামমাত্র, বেতন মোটা অঙ্কের, তা সত্ত্বেও এই চাকরি কেউ করতে চায় না।
এত সমস‍্যার পরেই এমন একটি চাকরি রয়েছে যেখানে খাটুনি নামমাত্র, বেতন মোটা অঙ্কের, তা সত্ত্বেও এই চাকরি কেউ করতে চায় না।
advertisement
3/12
শুধু তাই নয়, এই চাকরিতে নজরদারি করার জন‍্য কোনও শিফট ম‍্যানেজারের বালাই নেই, বসের হুকুমও খুব একটা নেই, বেতন প্রায় ৩০ কোটি টাকা বার্ষিক। তবুও কেন কেউ এই চাকরি করতে চায় না? কী এই চাকরি?
শুধু তাই নয়, এই চাকরিতে নজরদারি করার জন‍্য কোনও শিফট ম‍্যানেজারের বালাই নেই, বসের হুকুমও খুব একটা নেই, বেতন প্রায় ৩০ কোটি টাকা বার্ষিক। তবুও কেন কেউ এই চাকরি করতে চায় না? কী এই চাকরি?
advertisement
4/12
এই চাকরি হল মিশরের আলেকজান্দ্রিয়া বন্দরে ফারোস নামক দ্বীপে অবস্থিত লাইটহাউস অফ আলেকজান্দ্রিয়ার কিপারের চাকরি। এই চাকরির জন্য বার্ষিক বেতন প্যাকেজ অর্থাৎ CTC প্রায় ৩০ কোটি টাকা।
এই চাকরি হল মিশরের আলেকজান্দ্রিয়া বন্দরে ফারোস নামক দ্বীপে অবস্থিত লাইটহাউস অফ আলেকজান্দ্রিয়ার কিপারের চাকরি। এই চাকরির জন্য বার্ষিক বেতন প্যাকেজ অর্থাৎ CTC প্রায় ৩০ কোটি টাকা।
advertisement
5/12
এই লাইটহাউসের কিপারের একটাই কাজ হল এই লাইটের উপর নজর রাখা যাতে এই লাইট কখনো বন্ধ না হয়। তারপর দিনরাত চব্বিশ ঘণ্টা যা খুশি করতে পারেন।এই লাইটহাউসের কিপারের একটাই কাজ হল এই লাইটের উপর নজর রাখা যাতে এই লাইট কখনো বন্ধ না হয়। তারপর দিনরাত চব্বিশ ঘণ্টা যা খুশি করতে পারেন।
এই লাইটহাউসের কিপারের একটাই কাজ হল এই লাইটের উপর নজর রাখা যাতে এই লাইট কখনো বন্ধ না হয়। তারপর দিনরাত চব্বিশ ঘণ্টা যা খুশি করতে পারেন।
advertisement
6/12
অর্থাৎ যখন খুশি ঘুমান, যখন জাগতে ইচ্ছা করে উঠুন এবং উপভোগ করুন, মাছ ধরুন, সমুদ্রের দৃশ্য দেখুন। শুধু একটাই বিষয়ের খেয়াল রাখতে হবে যে লাইটহাউসের লাইট যেন বন্ধ না হয়।
অর্থাৎ যখন খুশি ঘুমান, যখন জাগতে ইচ্ছা করে উঠুন এবং উপভোগ করুন, মাছ ধরুন, সমুদ্রের দৃশ্য দেখুন। শুধু একটাই বিষয়ের খেয়াল রাখতে হবে যে লাইটহাউসের লাইট যেন বন্ধ না হয়।
advertisement
7/12
না শিফট ইনচার্জের টেনশন, না বসের পরোয়া এবং না টার্গেটের ঝামেলা, শুধু কাজ এতটাই যে এই লাইটহাউসের লাইট সবসময় জ্বলতে থাকে। তবুও মানুষ এত মোটা প্যাকেজের আরামদায়ক চাকরি করার সাহস জোগাড় করতে পারে না।
না শিফট ইনচার্জের টেনশন, না বসের পরোয়া এবং না টার্গেটের ঝামেলা, শুধু কাজ এতটাই যে এই লাইটহাউসের লাইট সবসময় জ্বলতে থাকে। তবুও মানুষ এত মোটা প্যাকেজের আরামদায়ক চাকরি করার সাহস জোগাড় করতে পারে না।
advertisement
8/12
এই চাকরিকে পৃথিবীর অন‍্যতম কঠিন চাকরির মধ‍্যে একটি হিসেবে ধরা হয়। কারণ এখানে ব্যক্তিকে পুরো সময়টাই সম্পূর্ণ একা থাকতে হয়। আশপাশে কেবল সমুদ্রের থইথই জল, ঢেউ ছাড়া আর কোনও জনমানব নেই।
এই চাকরিকে পৃথিবীর অন‍্যতম কঠিন চাকরির মধ‍্যে একটি হিসেবে ধরা হয়। কারণ এখানে ব্যক্তিকে পুরো সময়টাই সম্পূর্ণ একা থাকতে হয়। আশপাশে কেবল সমুদ্রের থইথই জল, ঢেউ ছাড়া আর কোনও জনমানব নেই।
advertisement
9/12
সমুদ্রের মাঝখানে তৈরি এই লাইটহাউসকে অনেক বিপজ্জনক ঝড়ও সহ্য করতে হয়। আসল চ্যালেঞ্জ তখন আসে যখন কখনো কখনো সমুদ্রের ঢেউ এত উঁচু হয়ে যায় যে ঢেউ থেকে লাইটহাউস পুরোপুরি ঢেকে যায়। এতে লাইটহাউস কিপারের মৃত‍্যুর ঝুঁকি বেড়ে যায়।
সমুদ্রের মাঝখানে তৈরি এই লাইটহাউসকে অনেক বিপজ্জনক ঝড়ও সহ্য করতে হয়। আসল চ্যালেঞ্জ তখন আসে যখন কখনো কখনো সমুদ্রের ঢেউ এত উঁচু হয়ে যায় যে ঢেউ থেকে লাইটহাউস পুরোপুরি ঢেকে যায়। এতে লাইটহাউস কিপারের মৃত‍্যুর ঝুঁকি বেড়ে যায়।
advertisement
10/12
এই লাইটহাউস কেন তৈরি করা হয়েছিল এবং এর লাইট জ্বলতে থাকা এত জরুরি কেন? ইতিহাস বলছে, একবার বিখ্যাত নাবিক ক্যাপ্টেন মেরেসিয়াস এই পথে যাচ্ছিলেন। এই এলাকায় বড় বড় পাথর ছিল, যা তিনি রাতের অন্ধকারে ঝড়ের মধ্যে দেখতে পাননি।
এই লাইটহাউস কেন তৈরি করা হয়েছিল এবং এর লাইট জ্বলতে থাকা এত জরুরি কেন? ইতিহাস বলছে, একবার বিখ্যাত নাবিক ক্যাপ্টেন মেরেসিয়াস এই পথে যাচ্ছিলেন। এই এলাকায় বড় বড় পাথর ছিল, যা তিনি রাতের অন্ধকারে ঝড়ের মধ্যে দেখতে পাননি। এতে তার নৌকা উল্টে যায়। অনেক ক্রু সদস্য মারা যায়, অনেক ক্ষতি হয়। ক্যাপ্টেন মেরেসিয়াস অনেক দূরে গিয়ে জমি পান এবং মিশরে পৌঁছান। প্রায়ই এখানকার পাথর থেকে সমুদ্রের জাহাজগুলো অনেক ক্ষতি হয়।
advertisement
11/12
তখন এখানকার শাসক একজন স্থপতিকে ডেকে বললেন যে সমুদ্রের মাঝে এমন একটি মিনার তৈরি কর যেখানে আলো দেওয়ার ব্যবস্থা করা যায়। এতে জাহাজগুলোকে পথও দেখানো যাবে এবং তাদের বড় পাথর থেকেও বাঁচানো যাবে।
তখন ওই এলাকার তত্‍কালীন শাসক একজন স্থপতিকে ডেকে সমুদ্রের মাঝে এমন একটি মিনার তৈরি করার নির্দেশ দেন। এমন এক মিনার যেখানে আলো দেওয়ার ব্যবস্থা করা যায়। এতে জাহাজগুলোকে পথও দেখানো যাবে এবং তাদের বড় পাথর থেকেও বাঁচানো যাবে।
advertisement
12/12
এভাবেই তৈরি হয় এই লাইটহাউস, 'দ্য ফারোস অফ আলেকজান্দ্রিয়া'। এই লাইটহাউসে প্রাচীনকালবে কাঠের সাহায্যে বড় আগুন জ্বালানো হত এবং লেন্সের সাহায্যে সেটিকে আরও বড় করা হত যাতে এর আলো দূর পর্যন্ত যেতে পারে। এই লাইটহাউসের কারণে তখন এখানে নাবিকরা সহজেই আসা-যাওয়া করতে পারত। এটি ছিল পৃথিবীর প্রথম লাইটহাউস।
এভাবেই তৈরি হয় এই লাইটহাউস, 'দ্য ফারোস অফ আলেকজান্দ্রিয়া'। এই লাইটহাউসে প্রাচীনকালবে কাঠের সাহায্যে বড় আগুন জ্বালানো হত এবং লেন্সের সাহায্যে সেটিকে আরও বড় করা হত যাতে এর আলো দূর পর্যন্ত যেতে পারে। এই লাইটহাউসের কারণে তখন এখানে নাবিকরা সহজেই আসা-যাওয়া করতে পারত। এটি ছিল পৃথিবীর প্রথম লাইটহাউস।
advertisement
advertisement
advertisement