"করোনার মোকাবিলায় ভ্যাকসিনটাই হাতিয়ার" সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় সাফ জানিয়ে দিলেন থাকবেন মানুষের পাশে
- Published by:Debalina Datta
- news18 bangla
Last Updated:
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এই টিকাকরণ ব্যবস্থা করা হয়।
দাদার উদ্যোগে ভ্যাকসিন প্রদান। প্রায় ২০০ জন মানুষ করোনার প্রতিষেধক ভ্যাকসিন নিলেন রবিবার। একটা ছুটির দিন। তবে সকাল থেকেই ব্যস্ত সৌরভ এবং তার টিম। বেহালায় নিজের বাড়ির পাশের অফিস থেকে ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। বাইপাসের ধারে অ্যাপোলো হাসপাতালের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এই কর্মসূচি পালন করলেন বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট।
advertisement
করোনা প্রতিষেধক নেওয়ার মধ্যে সমাজের গরীব ও দুঃস্থ মানুষ যেমন রয়েছেন তেমনই রয়েছেন অনেক বয়স্ক ও সাধারন মানুষ। করোনা যুদ্ধে প্রথম থেকেই শামিল মহারাজ। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করছেন সৌরভ। এবার ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করে দিলেন দাদা। এদিনের অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে সৌরভ বলেন, "করোনার মতো অতিমহামারীতে বিরুদ্ধে লড়াইয়ের হাতিয়ার ভ্যাকসিনেশন। এর কোনও বিকল্প নেই। প্রত্যেক মানুষকে ভ্যাকসিন নিতে হবে। আমাদের ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ভ্যাক্সিনেশন প্রক্রিয়া চলছে, চলবে। এদিন এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন সৌরভের দাদা তথা সিএবি সচিব স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়। কর্মসূচি শেষে সন্ধ্যেবেলা মুম্বই পাড়ি দেন সৌরভ।
advertisement
এদিনের কর্মসূচিতে সমাজের দু'ধরনের মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হল। প্রথমত অনেক মানুষ এরকম আছে যাদের অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন ও স্লট বুক করে ভ্যাকসিন নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। আবার অনেক মানুষ আছেন যারা আর্থিকভাবে অসমর্থ,দুঃস্থ-গরীব। এই দুই প্রকার মানুষদেরই টিকাকরণের ব্যবস্থা ছিল রবিবার। পিছিয়ে পড়া মানুষদের ভ্যাকসিনের সম্পূর্ণ খরচ বহন করলেন সৌরভ। ভ্যাকসিন নেওয়ার প্রত্যেক ব্যক্তিকে প্রয়োজনীয় কিছু খাদ্য সামগ্রী ও মাস্ক স্যানিটাইজার প্রদান করা হয়। প্রথম কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন এদিন দেওয়া হল। প্রথম এবং দ্বিতীয় ডোজ দুটিই দেওয়া হয় এদিনের কর্মসূচিতে। ১৮ বছরের উর্ধ্ব বয়সী ব্যক্তিরা এই টিকাকরণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। প্রথম ডোজ নেওয়ার ৮৪ দিন হয়েছে এরকম ব্যক্তিরাও দ্বিতীয় দফার ডোজ নিলেন এদিনের কর্মসূচিতে।
advertisement
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এই টিকাকরণ ব্যবস্থা করা হয়। সৌরভের দীর্ঘদিনের বন্ধু সঞ্জয় দাস এদিনে উপস্থিত ছিলেন। পুরো কর্মকাণ্ড আয়োজনের দায়িত্ব ছিল তাঁর। বিগত বছরের মতো এবারও করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসার পরও একইভাবে উদ্যোগী সৌরভ। ইতিমধ্যেই করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য ৫০টি অক্সিজেন কনসেনট্রেটর দান করেছেন। তাঁর কেনা অক্সিজেন কনসেনট্রেটর কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতাল ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের হাতে তুলে দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। হাসপাতাল ও সংগঠনের হাতে অক্সিজেন কনসেনট্রেটর তুলে দেওয়া হচ্ছে। করোনার পাশাপাশি ইয়াস বিধ্বস্ত অঞ্চলগুলোতেও প্রয়োজনীয়় খাদ্য সামগ্রী ও জল ত্রিপল পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ফাউন্ডেশন। Input- ERON ROY BURMAN
