এই ভুলগুলো করছেন না তো? Account Freeze করে দিতে পারে ব্যাঙ্ক, দেখে নিন বিস্তারিত!

ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট না থাকলে কার্যত জীবন অচল। টাকার লেনদেন হবে কী করে! এখন যদি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দেয়, তাহলে? লেনদেন তো বন্ধ হয়ে যাবেই, চেক, ডেবিট, ক্রেডিট কার্ডও ব্যবহার করা যাবে না। এই ৩ কারণে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ হয়ে যেতে পারে। দেখে নেওয়া যাক সেগুলো।

পার্সোনাল লোন শোধ না করলে – কেউ যদি লোন নেন এবং একাধিক রিমাইন্ডারের পরেও শোধ না করেন তাহলে অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দিতে পারে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। তাই সময়মতো ঋণ পরিশোধ করা জরুরি।

ট্যাক্স বকেয়া: ট্যাক্স না দিলেও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করা হতে পারে। এর সবচেয়ে বড় উদাহরণ হল কিংফিশার এয়ারলাইনস এবং সাহারা মামলা। বকেয়া ট্যাক্স পরিশোধ না করায় এঁদের অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দেওয়া হয়।

অন্যান্য কারণ: কোনও প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির থেকে ঋণ নিয়ে পরিশোধ না করলেও অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হতে পারে। অ্যাকাউন্টে কোনও সন্দেহজনক কার্যকলাপ দেখলেও সেই অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করার সিদ্ধান্ত নিতে পারে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ।

যে কোনও বেআইনি কার্যকলাপ, মানি লন্ডারিং এবং সন্ত্রাসে মদত দেওয়ার প্রমাণ মিললেও অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত ঘোষণা করা হতে পারে।

নিষ্ক্রিয় অ্যাকাউন্ট পুনরায় সক্রিয় করার পদ্ধতি: অ্যাকাউন্ট নিষ্ক্রিয় হয়ে গেলে ফের লেনদেনের মাধ্যমে সেটা সক্রিয় করা যায়।

এর জন্য ব্যাঙ্কের শাখায় যেতে হবে। জমা দিতে হবে লিখিত আবেদন। সঙ্গে কেওয়াইসি-র নথি। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট পুনরায় সক্রিয় করার জন্য কোনও ফি দিতে হয় না।

ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট আনফ্রিজ করার পদ্ধতি: ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হলে ভ্যাকেট মোশন ফাইল করতে হয়। এর জন্য ডেট কালেকশন ডিফেন্স অ্যাটর্নির প্রয়োজন। আদালত গ্রাহকের পক্ষে রায় দিলে অ্যাকাউন্ট আনফ্রিজ করে দেওয়া হয়।

সামাজিক নিরাপত্তা, অক্ষমতা সুবিধার মতো ক্ষেত্রে সরকার স্বয়ংক্রিয় সুরক্ষা দেয়। যদি গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট সেই ধরনের হয় তাহলে তিনি অ্যাকাউন্ট আনফ্রিজ করার দাবি করতে পারেন। এমনকী যদি আদালত তাঁর বিরুদ্ধে রায় দেয় তাহলেও সেই অ্যাকাউন্ট আনফ্রিজ করে দেওয়া হবে।