Periods Cramp: ঋতুস্রাবের সময় তলপেটের ব্যথায় আর জল আসবে না চোখে! শুধু গুড়ের সঙ্গে একটা দানা মিশিয়ে খেলেই মিলবে আরাম!
- Published by:Arpita Roy Chowdhury
- news18 bangla
- Written by:Bangla Digital Desk
Last Updated:
Periods Cramp Remedies: ঠান্ডা খাবার, অনিয়মিত রুটিন, অতিরিক্ত মানসিক চাপ, ঘুমের অভাব এবং অতিরিক্ত ক্যাফেইন গ্রহণ বাত দোষকে আরও বাড়িয়ে তোলে। এই কারণেই আজকের জীবনযাত্রায় পিরিয়ড ক্র্যাম্প বেশি দেখা যায়।
প্রতি মাসে ঋতুস্রাব মহিলাদের জন্য একটি সাধারণ কিন্তু যন্ত্রণাদায়ক সমস্যা। এর ফলে তলপেটে তীব্র ব্যথা, পিঠে ব্যথা, ক্লান্তি, বিরক্তি এবং কখনও কখনও বমি বমি ভাবও হতে পারে। অনেক মহিলা এই ব্যথাকে বাধ্যতামূলক বলে মনে করেন, অন্যদিকে আয়ুর্বেদ মূল থেকে এর চিকিৎসার সমাধান দেয়। আয়ুর্বেদ কেবল ব্যথা উপশম করে না বরং শরীরের মধ্যে ভারসাম্যহীনতা সংশোধন করে মাসিক নিয়ন্ত্রণ এবং মসৃণ করতেও সাহায্য করে।
advertisement
আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ ডাঃ রাজকুমার বলেন যে আয়ুর্বেদ অনুসারে, মাসিকের ব্যথা মূলত বাত দোষের ভারসাম্যহীনতার কারণে হয়। বাত দোষ শরীরের নড়াচড়া এবং প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করে। যখন বাত ভারসাম্যহীন হয়, তখন জরায়ুর পেশীগুলির সংকোচন বৃদ্ধি পায়, যার ফলে তীব্র ব্যথা হয়। ঠান্ডা খাবার, অনিয়মিত রুটিন, অতিরিক্ত মানসিক চাপ, ঘুমের অভাব এবং অতিরিক্ত ক্যাফেইন গ্রহণ বাত দোষকে আরও বাড়িয়ে তোলে। এই কারণেই আজকের জীবনযাত্রায় পিরিয়ড ক্র্যাম্প বেশি দেখা যায়।
advertisement
আয়ুর্বেদে মাসিকের ব্যথার জন্য জোয়ান এবং গুড় খাওয়া অত্যন্ত কার্যকর বলে মনে করা হয়। জোয়ান বাত এবং কফের ভারসাম্য বজায় রাখে, অন্যদিকে গুড় শরীরকে উষ্ণ করে এবং রক্ত প্রবাহ উন্নত করে। ঋতুস্রাবের এক বা দুই দিন আগে আধা চা চামচ জোয়ানদানা গুড়ের সঙ্গে খেলে পেটের খিঁচুনি কমে। এই প্রতিকারটি গ্যাস এবং পেট ফাঁপা থেকেও মুক্তি দেয়।
advertisement
ঋতুস্রাবের সময় গরম জল পান করা একটি সহজ কিন্তু কার্যকর প্রতিকার। এটি শরীরের ঠান্ডা লাগা কমাতে সাহায্য করে এবং পেশীগুলিকে শিথিল করে। তিলের তেল দিয়ে তলপেট এবং কোমরে আলতো করে ম্যাসাজ করলে ব্যথার উল্লেখযোগ্য উপশম হয়। তিলের তেল বাত দোষকে শান্ত করে এবং জরায়ুতে রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে। রাতে ঘুমানোর আগে ম্যাসাজ করা আরও উপকারী বলে মনে করা হয়।
advertisement
আয়ুর্বেদে, অশোকের ছাল মহিলাদের জন্য বর হিসেবে বিবেচিত হয়। অশোকের ছালের ক্বাথ পান করলে মাসিকের ব্যথা, অতিরিক্ত রক্তপাত এবং দুর্বলতা কমে। শতভরী হরমোনের ভারসাম্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি কেবল ঋতুস্রাবের ব্যথা কমায় না বরং মাসিক নিয়ন্ত্রণ এবং প্রজনন স্বাস্থ্যের উন্নতিতেও সহায়ক বলে বিবেচিত হয়। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকের পরামর্শে উভয়ই খাওয়া ভাল।
advertisement
পিরিয়ড ক্র্যাম্পের জন্য মৃদু যোগাসন এবং প্রাণায়াম খুবই সহায়ক। ভুজঙ্গাসন, বালাসন এবং সুপ্তবদ্ধ কোনাসনের মতো আসনগুলি তলপেটের টানটান ভাব কমায়। অনুলোম বিলোম এবং ভ্রামরী প্রাণায়াম চাপ কমায়, ফলে ব্যথার তীব্রতা কমে। নিয়মিত যোগব্যায়াম অনুশীলন শরীরকে শক্তিশালী করে এবং ধীরে ধীরে মাসিকের অস্বস্তি কমায়।









