রাত পোহালেই কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো, পুরোহিত না পেয়ে মাথায় হাত! কীভাবে নিজেই দেবীর আরাধনা করবেন? জেনে নিন উপায়

Last Updated:
যে হেতু প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই দেবীকে পূজিতা হন, তাই এই দিন পুরোহিতের আকাল পড়তে দেখা যায়। সে ক্ষেত্রে পুরোহিত ছাড়া আমরা নিজেরাই বাড়িতে দেবীর আরাধনা করে নিতে পারি। এইক্ষেত্রে জ্যোতিষী হিতেন্দ্র কুমার জানাচ্ছেন, সঠিক কিছু নিয়ম মানলেই পুজো করা সম্ভব হবে।
1/9
৬ অক্টোবর সকাল ১১টা ২৪ মিনিট থেকে পূর্ণিমা তিথি শুরু হবে। ছেড়ে যাবে ৭ অক্টোবর সকাল ৯টা ৩৩ মিনিটে।
আগামীকাল সোমবারেই কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো। এই দিন প্রায় বাড়িতে বাড়িতে মা লক্ষ্মীর আরাধনা করা হয়। বিশ্বাস করা হয় যে, এই দিন মা লক্ষ্মী মর্তে নেমে আসেন তাঁর ভক্তদের আশীর্বাদ করার উদ্দেশ্যে। মা লক্ষ্মীর আরাধনায় সংসারে সুখ-সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পায়। অর্থাভাব থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
advertisement
2/9
 মাটির মূর্তি ছাড়াও, মাটির সরা, ছবি এমন নানা ভাবে লক্ষ্মীপুজো করার চল আমাদের মধ্যে রয়েছে। যে হেতু প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই দেবীকে পূজিতা হন, তাই এই দিন পুরোহিতের আকাল পড়তে দেখা যায়। সে ক্ষেত্রে পুরোহিত ছাড়া আমরা নিজেরাই বাড়িতে দেবীর আরাধনা করে নিতে পারি। এইক্ষেত্রে জ্যোতিষী হিতেন্দ্র কুমার জানাচ্ছেন, সঠিক কিছু নিয়ম মানলেই পুজো করা সম্ভব হবে।<br />পুরোহিত ছাড়া বাড়িতে কী ভাবে লক্ষ্মীপুজো করা সম্ভব?
মাটির মূর্তি ছাড়াও, মাটির সরা, ছবি এমন নানা ভাবে লক্ষ্মীপুজো করার চল আমাদের মধ্যে রয়েছে। যে হেতু প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই দেবীকে পূজিতা হন, তাই এই দিন পুরোহিতের আকাল পড়তে দেখা যায়। সে ক্ষেত্রে পুরোহিত ছাড়া আমরা নিজেরাই বাড়িতে দেবীর আরাধনা করে নিতে পারি। এইক্ষেত্রে জ্যোতিষী হিতেন্দ্র কুমার জানাচ্ছেন, সঠিক কিছু নিয়ম মানলেই পুজো করা সম্ভব হবে।পুরোহিত ছাড়া বাড়িতে কী ভাবে লক্ষ্মীপুজো করা সম্ভব?
advertisement
3/9
কোজাগরী শব্দটির উৎপত্তি ‘কো জাগতী’ থেকে। এর আক্ষরিক অর্থ ‘কে জেগে আছো?’ প্রচলিত আছে, কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর দিনে ধন-সম্পদের দেবী লক্ষ্মী স্বর্গ থেকে মর্ত্যে অবতরণ করেন এবং বাড়ি বাড়ি গিয়ে সকলকে আশীর্বাদ দেন। কিন্তু যার বাড়ির দরজা বন্ধ থাকে, তাঁর বাড়িতে লক্ষ্মী প্রবেশ করেন না ও সেখান থেকে ফিরে চলে যান। তাই লক্ষ্মী পুজোর রাতে জেগে থাকার রীতি প্রচলিত আছে। যে ভক্ত রাত জেগে আরাধনা করেন, তাঁকে দু’হাত ভরে আশীর্বাদ করে যান তিনি ৷ তাঁর ঘর ভরে ওঠে ধনসম্পত্তি ও সমৃদ্ধিতে।
প্রথমেই স্নান করে শুদ্ধ বসন পরতে হবে। তার পর যে জায়গায় পুজো হবে সেই স্থান ভাল করে পরিষ্কার করে নিয়ে গঙ্গাজল ছেটাতে হবে। নিজের এবং পুজোয় যাঁরা অংশগ্রহণ করবেন, তাঁদের মাথাতেও গঙ্গাজল ছিটিয়ে নিতে হবে।
advertisement
4/9
দুর্গাপুজোর পরেই ঘরে ঘরে পালিত হয় কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো। কোজাগরী পূর্ণিমার দিন তাঁর বিশেষ অর্চনা হয়। এটি কোজাগরী লক্ষ্মী পূজা নামে খ্যাত। শাস্ত্র মতে বলা হয়, মা লক্ষ্মী খুব অল্পেতেই সন্তুষ্ট- কিন্তু উপযুক্ত নিয়মাবলী ও কিছু বিধিনিষেধ মেনে দেবীকে আহ্বান জানাতে হয়।
লক্ষ্মীপুজো শুরুর আগে নারায়ণকে স্মরণ করা আবশ্যিক। মা লক্ষ্মীকে যেখানে বসাবেন সেই স্থানে অবশ্যই আলপনা আঁকতে হবে। বাড়ির সদর দরজার সামনে এবং অন্যান্য জায়গায় লক্ষ্মীদেবীর চরণ আঁকতে হবে।
advertisement
5/9
 পুজোর স্থানে একটি তামার পাত্র রাখুন। তার পর সূর্যদেবকে স্মরণ করে সেই পাত্রে অল্প অল্প করে জল ঢালতে থাকুন।<br />ঘটস্থাপনের জন্য প্রথমে একটি তামার ঘট নিয়ে তাতে সিঁদুর দিয়ে স্বস্তিক চিহ্ন এঁকে নিন। তার পর মাটির ডেলা (গঙ্গামাটি হলে খুব ভাল হয়, অন্য মাটিও চলবে) নিয়ে সেটিকে সমান করে মেঝের উপর রাখুন। সেটির উপর ঘট স্থাপন করুন। ঘটের চারপাশে ধান ছড়িয়ে দিন।<br />ঘটটিকে গঙ্গাজল দ্বারা পূর্ণ করতে হবে। এর পর সেটির মধ্যে আম্রপল্লব দিতে হবে। আম্রপল্লবটি ঘটে দেওয়ার আগে সেটির মধ্যে তেল ও সিঁদুরের ফোঁটা দিয়ে নিন। আম্রপল্লবটি ঘটে দেওয়ার পর তার মধ্যে হরিতকী, ফুল ও দূর্বা দিন।<br />ঘটস্থাপনের পর লক্ষ্মীদেবীর ধ্যানমন্ত্র জপ করে দেবীকে নিজের ঘরে ডাকুন। যদিও লক্ষ্মীর পাঁচালিতে এই মন্ত্রের উল্লেখ থাকে, তা-ও যদি না জানা থাকে তা হলে ভুল মন্ত্র পাঠ করার বদলে লক্ষ্মীদেবীকে একমনে স্মরণ করুন। কোনও মতেই ভুল মন্ত্রোচ্চারণ করা যাবে না।
পুজোর স্থানে একটি তামার পাত্র রাখুন। তার পর সূর্যদেবকে স্মরণ করে সেই পাত্রে অল্প অল্প করে জল ঢালতে থাকুন।ঘটস্থাপনের জন্য প্রথমে একটি তামার ঘট নিয়ে তাতে সিঁদুর দিয়ে স্বস্তিক চিহ্ন এঁকে নিন। তার পর মাটির ডেলা (গঙ্গামাটি হলে খুব ভাল হয়, অন্য মাটিও চলবে) নিয়ে সেটিকে সমান করে মেঝের উপর রাখুন। সেটির উপর ঘট স্থাপন করুন। ঘটের চারপাশে ধান ছড়িয়ে দিন।ঘটটিকে গঙ্গাজল দ্বারা পূর্ণ করতে হবে। এর পর সেটির মধ্যে আম্রপল্লব দিতে হবে। আম্রপল্লবটি ঘটে দেওয়ার আগে সেটির মধ্যে তেল ও সিঁদুরের ফোঁটা দিয়ে নিন। আম্রপল্লবটি ঘটে দেওয়ার পর তার মধ্যে হরিতকী, ফুল ও দূর্বা দিন।ঘটস্থাপনের পর লক্ষ্মীদেবীর ধ্যানমন্ত্র জপ করে দেবীকে নিজের ঘরে ডাকুন। যদিও লক্ষ্মীর পাঁচালিতে এই মন্ত্রের উল্লেখ থাকে, তা-ও যদি না জানা থাকে তা হলে ভুল মন্ত্র পাঠ করার বদলে লক্ষ্মীদেবীকে একমনে স্মরণ করুন। কোনও মতেই ভুল মন্ত্রোচ্চারণ করা যাবে না।
advertisement
6/9
মরশুমি পরিস্থিতি, হাতের কাছে থাকা আহার্যের উপস্থিতি এই সব মিলিয়েই প্রাচীন কাল থেকে তৈরি হয় আহারবিধি। এর মূল লক্ষ্য শারীরিক সুস্থতা। তাতে সময়ে সঙ্গে সঙ্গে মিলে মিশে যায় অনুসসানের অনুষঙ্গ। ক্রমে সেটাই হয়ে দাঁড়ায় পালনীয় আহারবিধি। যুগে যুগে সেই বিধি পালন করা হয়ে আসছে পরিবারের কল্যাণ ও সংসারের মঙ্গলের কথা ভেবে।
তার পর লক্ষ্মীদেবীকে ফুলের মালা ও ফুল অর্পণ করুন। সম্ভব বলে লক্ষ্মীদেবীর পা ধুইয়ে তাতে আলতা পরাতে পারেন। মাথায় চন্দন ও সিঁদুরের টিপ পরান এবং ভোগ নিবেদন করুন। লক্ষ্মীপুজোর ভোগে ফলের সঙ্গে নাড়ু, মুড়কি, মিষ্টি অবশ্যই রাখতে হবে।লক্ষ্মীপুজোয় কাঁসর, ঘণ্টা বাজানো একদম নিষিদ্ধ। কেবল শঙ্খ বাজানো যেতে পারে। অতিরিক্ত আওয়াজ দেবী মোটেই পছন্দ করেন না। এই পুজোয় তুলসীপাতাও ব্যবহার করা যাবে না। লোহার বাসনের বদলে কাঁসা বা পিতলের বাসন ব্যবহার করা উচিত।
advertisement
7/9
এ বছর ভাদ্র সংক্রান্তি পড়েছে ১৭ সেপ্টেম্বর, বুধবার৷ সেদিনই ভাদ্র মাস শেষ হবে৷ ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে আশ্বিন মাস৷ জ্যোতিষশাস্ত্রে এই তিথি তথা দিনের গুরুত্ব ও মাহাত্ম্য গভীর৷
দেবীকে ধূপ-ধুনো দেখান ও নারায়ণকে স্মরণ করে দেবীর ঘটে ফুল দিন। তার পর জোড়হাতে দেবীকে প্রণাম করে তিন বার পুষ্পাঞ্জলি দিন। পুষ্পাঞ্জলি দেওয়ার আগে অবশ্যই গঙ্গাজল দিয়ে হাত ধুয়ে নিতে হবে।পুষ্পাঞ্জলি দেওয়া হয়ে গেলে দেবীর কাছে নিজের সকল মনোস্কামনা জানিয়ে দিন। তার পর লক্ষ্মীর পাঁচালি পড়ে পুজো সম্পন্ন করুন। পাঁচালি পড়া হয়ে গেলে পুজোর ঘর থেকে সকলে বেরিয়ে গিয়ে ঘরের জানলা-দরজা কিছু ক্ষণের জন্য বন্ধ করে রেখে দিন। এই সময় দেবী এসে ভোগ গ্রহণ করে বলে বিশ্বাস করা হয়।
advertisement
8/9
বৃহস্পতিবার, মা লক্ষ্মীর সাপ্তাহিক পুজোর বিশেষ দিনে পড়েছে আষাঢ় সংক্রান্তি৷ বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে অবশ্য বুধবারই পালিত হয়েছে এই বিশেষ তিথি৷ গুপ্ত প্রেস পঞ্জিকা মতে এই পুণ্যতিথি পড়েছে বৃহস্পতিবার৷
সাধারণত সন্ধ্যার পরই দেবীর পুজো করার রীতির উল্লেখ রয়েছে শাস্ত্রে। কিন্তু, অনেকেই নিজের সুবিধা মতন সকালের দিকেও করে থাকেন। যদিও দেবীকে পুজো করার শ্রেষ্ঠ সময় হল সূর্যাস্তের পরবর্তী সময়কাল। এই সকল নিয়ম বাদেও, বহু বাড়িতে লক্ষ্মীপুজোর আরও নানাবিধ নিয়ম রয়েছে। সেগুলি নিজেদের মতন করে মেনে পুজো করতে হবে
advertisement
9/9
Disclaimer: উপরোক্ত বিষয়গুলি মানতে নিউজ ১৮ বাংলা বাধ্য বা অনুরোধ করেনা নিজের বিচার বুদ্ধি সহযোগে সিদ্ধান্ত নিন ৷ প্রতীকী ছবি ৷
Disclaimer: উপরোক্ত বিষয়গুলি মানতে নিউজ ১৮ বাংলা বাধ্য বা অনুরোধ করেনা নিজের বিচার বুদ্ধি সহযোগে সিদ্ধান্ত নিন ৷ প্রতীকী ছবি ৷
advertisement
advertisement
advertisement