মেদিনীপুর: আর্টিস্টিক জিমনাস্টিকে পিংলার প্রণতি নায়েক পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের কাছে ভারতের নাম উজ্জ্বল করেছে। পিংলার প্রণতির পাশাপাশি নিজেকে বিশ্ব দরবারে প্রতিষ্ঠা করার মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে জঙ্গলমহলের মিষ্টি। জেদ ও অধ্যবসায় নিয়ে আর্টিস্টিক জিমন্যাস্টিক-এ নিজেকে প্রস্তুত করে তুলছে বছর ১৩-র মিষ্টি সেন।
আরও পড়ুনঃ প্রযুক্তিতে দিশা দেখাচ্ছে বহুকাল! এবার শীর্ষে আইআইটি খড়গপুর
৬ বছর বয়স থেকেই আর্টিস্টিক জিমন্যাস্টিকে নিজেকে তৈরী করার চেষ্টা শুরু করে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সদর মেদিনীপুর শহর থেকে বেশ কিছুটা দূরে নয়াগ্রামে বড় হয়ে ওঠা মিষ্টির। ছোট থেকে মিষ্টির বাবা মেয়েকে উন্নতির শিখরে পৌঁছে দিতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন। আর্টিস্টিক জিমনাস্টিক, ভোল্ট সবকিছুতেই পারদর্শী মিষ্টি। মিষ্টি জেলার পাশাপাশি রাজ্য স্তরের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে।
নয়গ্রাম প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনার সময় থেকে প্রধান শিক্ষকের নজরে আসে। তারপরে বিদ্যালয়েই শুরু তাঁর প্রশিক্ষণ। বর্তমানে মিষ্টির বাবা প্রশিক্ষণ দেন তাঁকে। নয়াগ্রাম হাইস্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী সে। ছোট থেকেই আটিস্টিক জিমনাস্টিকে প্রবল ইচ্ছে তাঁর। পরিবারে আর্থিক অসচ্ছলতা এবং উন্নত প্রশিক্ষণ পাওয়ার অভাব আছে। স্পোর্টস অথরিটি অফ ইন্ডিয়াতে গিয়েছিল কিন্তু ভর্তি হতে পারেনি।
বিদ্যালয়ের মাঠের শক্ত মাটিতে আপাতত আটিস্টিক জিমন্যাস্টিকের প্রস্তুতি নিতে হয় তাঁকে। কোনও সংগঠনের বা সরকারের সাহায্য পেলে উন্নতির শিখরে উঠতে পারবে মিষ্টি -এমনই আশা সকলের। বড় হয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে এমনকি অলিম্পিকে খেলার ভাবনা মিষ্টি সেনের। প্রশিক্ষণ পেলে হয়তও আরেক প্রণতির জন্ম দেবে মেদিনীপুর শহর, সেই আশায় রয়েছে মিষ্টির পরিবার থেকে জঙ্গলমহল ও লালমাটি এলাকার মানুষজনের।
Ranjan Chanda
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Paschim Medinipore, West Medinipur