৩০ বছরের রাজত্ব! দেশের গর্ব ছিল অ্যাম্বাসাডর, 'উঠে' গেল কেন? বড় কারণটা জেনে রাখুন

Last Updated:

Ambassador car- ভারতের স্বাধীনতার আগে বিএম বিড়লা হিন্দুস্তান মোটরস প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এর হাত ধরে ভারতে শুরু হয়েছিল অটোমোবাইল সেক্টর। শীঘ্রই ভারতেই শুরু হয় অ্যাম্বাসাডর গাড়ির ডিজাইন এবং ইঞ্জিন তৈরির কাজ।

News18
News18
কলকাতা: এক সময় রাস্তায় ভিড় হত কম। মানুষ যাতায়াতের জন্য গাড়ির তুলনায় দু-চাকার সাইকেলের উপরেই নির্ভর করতেন। তবে ধনীদের গাড়িশালে গাড়ি থাকত। সাদা রঙের এই গাড়ি লাল আলো জ্বালিয়ে রাজপথে যেন রাজকীয়তা ছড়িয়ে দিত। এমনকী এক সময় এই গাড়িগুলিকে দেশের প্রভাবশালী মানুষদের পছন্দের গাড়ি বলে গণ্য করা হত।
সকলেই চাইতেন যেন এই গাড়ি তাঁদের কাছেও থাকে। কথা হচ্ছে, অ্যাম্বাসাডর গাড়ির। কিন্তু আজকাল এই গাড়ি কেনা একপ্রকার কঠিন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই গাড়ির পরিচিতি যেন হারিয়ে গিয়েছে। আর ধীরে ধীরে রাজপথে কমে আসছে এর সংখ্যা। এর আসল কারণটা জেনে নেওয়া যাক।
১৯৪২ সালে হিন্দুস্তান মোটরস প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বিএম বিড়লা
advertisement
advertisement
ভারতের স্বাধীনতার আগে বিএম বিড়লা হিন্দুস্তান মোটরস প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এর হাত ধরে ভারতে শুরু হয়েছিল অটোমোবাইল সেক্টর। শীঘ্রই ভারতেই শুরু হয় অ্যাম্বাসাডর গাড়ির ডিজাইন এবং ইঞ্জিন তৈরির কাজ। ১৯৫৪ সালে গাড়ি উৎপাদনের জন্য ইংল্যান্ডের মরিস মোটরসের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করেছিলেন হিন্দুস্তান মোটরস। যদিও সেই অংশীদারিত্ব অবশ্য বেশিদিন টেকেনি। হিন্দুস্তান মোটরস সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে, গাড়িটিকে পুরোপুরি ভাবে দেশীয় রাখা হবে। সেই কারণে তারা মরিস মোটরসের সঙ্গে চুক্তি ভঙ্গ করে।
advertisement
আসলে অ্যাম্বাসাডরের প্রথম গাড়ি Landmaster লঞ্চ করতে হিন্দুস্তান মোটরসের লেগে গিয়েছিল ১৬ বছর। এরপরে ১৯৫৮ সালে সকলের সামনে আনা হয় হিন্দুস্তান মোটরসের প্রথম গাড়ি। এরপর ভারতে শক্তিশালী গাড়ি হিসেবে যাত্রা শুরু করে অ্যাম্বাসাডর।
advertisement
তিরিশ বছরের রাজত্বের অবসান ঘটাল মারুতি
অ্যাম্বাসাডর রাজপথে নামতেই মানুষের উন্মাদনাও ছিল তুঙ্গে। দেশের ধনী ব্যক্তিবর্গের প্রথম পছন্দ হয়ে উঠেছিল অ্যাম্বাসাডর গাড়ি। এর পাশাপাশি এই গাড়িটি সরকারি আধিকারিক এবং মন্ত্রীদেরও পছন্দের তালিকায় উঠে আসে। কিন্তু অ্যাম্বাসাডর গাড়ির প্রায় তিরিশ বছরের রাজ্যপাটের অবসান ঘটায় Maruti Suzuki। বাজারে আসে Maruti 800। এটা ছিল লাইট এবং স্টাইলিশ পেট্রোল গাড়ি। যা কম সময়ের মধ্যে গোটা বাজার দখল করে নেয়।
advertisement
আরও পড়ুন- Yamaha লঞ্চ করল প্রথম হাইব্রিড বাইক! দুর্দান্ত দেখতে, তেমন অসাধারণ মাইলেজ
কীভাবে শেষ হল অ্যাম্বাসাডরের যাত্রা?
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে একাধিক অটোমোবাইল সংস্থা ভারতে নিজেদের ব্যবসা সম্প্রসারণ করতে শুরু করে। এদিকে অ্যাম্বাসাডরের বাজার পড়তে শুরু করে। ১৯৮০ সালে অ্যাম্বাসাডরের বাজারে প্রচুর পতন দেখা যায়। এর বিক্রি কমতে থাকে। সংস্থাটিও ঋণগ্রস্ত হয়ে যায়। আসলে হিন্দুস্তান মোটরস নিজেদের গাড়িতে নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করেনি।
advertisement
সেই কারণে অ্যাম্বাসাডরের প্রতি একঘেয়েমি বাড়তে থাকে গ্রাহকদের। এদিকে Fiat-এর সঙ্গে কোল্যাবোরেশন করে Premier লঞ্চ করেছিল Padmini। যা হিন্দুস্তান মোটরসের ভিত নাড়িয়ে দিয়েছিল। আর অচিরেই হিন্দুস্তান মোটরস পুরোপুরি ভাবে ঋণের বোঝায় ডুবে যায়। ফলে ভারতে এই সংস্থা একেবারেই বন্ধ হয়ে যায়।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/প্রযুক্তি/
৩০ বছরের রাজত্ব! দেশের গর্ব ছিল অ্যাম্বাসাডর, 'উঠে' গেল কেন? বড় কারণটা জেনে রাখুন
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement