পাততাড়ি গুটিয়ে ব্যবসা বন্ধের উপক্রমের মুহূর্তেই ভাল খবর! শালপাতা নিয়ে নতুন আশার আলো জঙ্গলমহলে, দিন বদলাচ্ছে বাসিন্দাদের

Last Updated:

শালপাতার থালা মানেই আমাদের ছোটবেলার নস্টালজিয়া। পাড়ার ভোজ, পুণ্যতিথি, বাড়ির অনুষ্ঠানে সাজান থাকত সবুজ-বাদামি রঙের শালপাতার থালা।

+
শালপাতা

শালপাতা

শালিনী, পশ্চিম মেদিনীপুর, মিজানুর রহমান: শালপাতার থালা মানেই আমাদের ছোটবেলার নস্টালজিয়া। পাড়ার ভোজ, পুণ্যতিথি, বাড়ির অনুষ্ঠানে সাজান থাকত সবুজ-বাদামি রঙের শালপাতার থালা। সেই পাতার একটা আলাদা গন্ধ—যা খাওয়ার আনন্দ কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিত। আজও অনেকের মনে সেই স্মৃতি তাজা। তবে নতুন প্রজন্ম সেই স্বাদ কতটা পেয়েছে, তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যায়। কিন্তু জানেন কি—এই শালপাতার থালা কোথায় তৈরি হয়?
কীভাবে তৈরি হয়? চলুন, পা বাড়াই পশ্চিম মেদিনীপুরের জঙ্গলমহলের প্রত‍্যন্ত গ্রাম গোবরুতে। এখানকার মানুষদের কাছে শালপাতা শুধু একটা পণ্য নয়, জীবন-জীবিকার প্রধান ভরসা। ভোরবেলা থেকেই গ্রামের পুরুষ-মহিলা, এমনকি তরুণ-তরুণীরাও ছুটে যান জঙ্গলের দিকে। শালগাছের বড়, মজবুত পাতাগুলো তারা যত্ন করে সংগ্রহ করেন। কোনও ডাল না ভেঙে, গাছের ক্ষতি না করে পাতা তোলায় ওদের নিয়ম। ধীরে ধীরে ভাঁজ না ফেলেই সেই পাতাগুলো আনা হয় গ্রামে। ঘরে ফিরে শুরু হয় পরের ধাপ—পাতা সারি করে শুকোনো। রোদে শুকিয়ে পাতাগুলো আরও শক্ত হয়, টেকসই হয়। তারপর একটার ওপর আরেকটা সাজিয়ে, খুঁটিনাটি দেখে, সেলাই করতে বসেন গ্রামের মহিলারা।
advertisement
advertisement
সূঁচ, সুতো কিংবা মেশিন—যা আছে তাই দিয়েই তৈরি হয় গোল থালা, বাটি, কখনও প্যাকেটের মতো ভাঁজ করা পাতার পাত্র। তৈরি হওয়ার প্রতিটি ধাপে থাকে মানুষের স্পর্শ, শ্রম ও যত্ন। তাই এই থালায় খেতে গেলে খাবারটা শুধু খাবার থাকে না—থাকে প্রকৃতির গন্ধ, গ্রামের মানুষের পরিশ্রম, আর বাঙালির শেকড়ের একটা টান।
advertisement
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
আজ প্লাস্টিক আর থার্মোকলের দাপটে শালপাতার থালা হয়ত ততটা চোখে পড়ে না। তবে পরিবেশবান্ধব, স্বাভাবিক, আর একেবারে প্রাকৃতিক এই থালার গুরুত্ব নতুন করে বুঝছে পৃথিবী। আর তাই গোবরুর মতো গ্রামগুলো আবার প্রাণ ফিরে পাচ্ছে শালপাতা শিল্পকে কেন্দ্র করে। শালপাতা শুধু একটি থালা নয়—এ আমাদের স্মৃতি, আবেগ, আর গ্রামের মানুষের।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
পাততাড়ি গুটিয়ে ব্যবসা বন্ধের উপক্রমের মুহূর্তেই ভাল খবর! শালপাতা নিয়ে নতুন আশার আলো জঙ্গলমহলে, দিন বদলাচ্ছে বাসিন্দাদের
Next Article
advertisement
৪ ঘণ্টার চেষ্টায় ২৪টি দমকলের ইঞ্জিন মিলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হল! অগ্নিকাণ্ডের কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা
৪ ঘণ্টার চেষ্টায় ২৪টি দমকলের ইঞ্জিন মিলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হল! কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা
  • বড়বাজারের এজরা স্ট্রিটে বৈদ্যুতিন সামগ্রীর দোকানে ভোরে আগুন লাগে, ২৪টি দমকল ইঞ্জিন নিয়ন্ত্রণে আনে.

  • দাহ্য বৈদ্যুতিক সামগ্রী ও সংকীর্ণ রাস্তার কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে, ল্যাডার ব্যবহার সম্ভব হয়নি.

  • প্রাথমিক অনুমান ইলেকট্রিক্যাল শর্ট সার্কিট হলেও, ফরেন্সিক পরীক্ষার পরেই আগুনের উৎস নিশ্চিত হবে.

VIEW MORE
advertisement
advertisement