#মেদিনীপুর : আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে অবাধে চলছে ধানকাটার পর জমিতে 'ন্যাড়া'পোড়ানো।নষ্ট হচ্ছে জমির ঊর্বরতা,বাড়ছে পরিবেশ দূষণ হুঁশ নেই কৃষক থেকে প্রশাসনের। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনার মাঠ জুড়ে উঠে এল এমনই অসচেতনতার ছবি। শুধু চন্দ্রকোনা নয় এ ছবি জেলার সর্বত্রই।
শুরু হয়েছে মাঠ থেকে পাকা ধান বাড়িতে তোলার কাজ। বর্তমানে শ্রমিকের অভাব,খরচ ও সময় বাঁচাতে চাষীরা ধান কাটার কাজে ব্যবহার করছেন কম্বাইন হারভেস্টার মেশিন।মেশিনে ধান কাটার পর জমিতে রয়ে যায় ধান গাছের বড় বড় ন্যা ড়া ও খড়। তাতে আগুন লাগিয়ে জমি পরিষ্কার করে পুনরায় চাষ করার প্রস্ততি শুরু হয়েছে মাঠ জুড়ে।জমিতে আগুন লাগিয়ে নাড়া পোড়ানোর জেরে জমির উর্বরতা নষ্ট যেমন হয় পাশাপাশি পরিবেশ দূষণের মাত্রা অনেকটাই বাড়িয়ে দেয় এসব জেনেও তা অবাধে চালিয়ে যাচ্ছে চাষীরা।
আরও পড়ুন - দেবের আশ্বাস পেলেও বাড়ি তৈরির কাজ মাঝপথেই আটকে, বিধবা মহিলা বাস করছেন স্কুলেই
এর জেরে ধোঁয়ায় ঢাকছে গোটা এলাকা,পাশাপাশি আগুনের তাপে জমিতে থাকা কৃষকের বন্ধু বলে পরিচিত 'কেঁচো' নষ্ট হচ্ছে তেমনই কীটপতঙ্গও ধ্বংস হচ্ছে।
একদিকে জমির উর্বরতা কমছে অপরদিকে এভাবে জমিতে আগুন লাগানোয় তার ধোঁয়ায় ব্যাপক হারে বায়ু দূষণের মতো ঘটনা ঘটে পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে।
আরও পড়ুন - Explained: মিষ্টি খেলেই কি Diabetes রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে? এক ক্লিকেই ধারণা হবে পরিষ্কার
এবিষয়ে কৃষি দফতরের তরফে কৃষকদের সচেতনতায় প্রচার বা কর্মশালা করা হলেও,প্রতিবছরই ধান কাটার পর জমিতে আগুন লাগানোর মতো ঘটনা ঘটেই চলেছে।যদিও কৃষকদের দাবি,একে শ্রমিকের অভাব,শ্রমিক দিয়ে ধান কাটায় খরচ বেশি আর সময়ও প্রচুর লাগে।তাই বিগত কয়েকবছর ধরে অত্যাধুনিক কম্বাইন হারভেরস্টার মেশিনের সাহায্য তারা ধান কেটে অনেকটাই লাভবান হচ্ছে।এতে স্বল্প সময়ে জমিতেই বিঘার পর বিঘা জমির ধান কাটাই ঝাড়াই হয়ে বাড়ি চলে যায়।
শ্রমিক দিয়ে ধান কাটলে যে খরচ হয় তার অর্ধেকেরও কম খরচ মেশিনে কাটলে।ফলে চাষের কাজে এইসমস্ত অত্যাধুনিক মেশিনের ব্যবহারের প্রবনতা কয়েকগুন বেড়ে গিয়েছে চাষীদের মধ্যে।ধান কাটার মরশুমে চলছে এই সমস্ত মেশিনের ব্যবহার,মেশিনে ধান কাটার পর জমিতে পড়ে থাকছে ন্যাড়া ও খড়। এসব চাষীরা সংগ্রহ না করে জমি পরিষ্কার করতে আগুন লাগিয়ে তা নষ্ট করার প্রবণতা দিনদিন বেড়েই চলেছে।
এবিষয়ে চন্দ্রকোনা ২ ব্লকের সহ কৃষি অধিকর্তা এস মাসান্তের বার্তা,ন্যাড়া পুড়িয়ে চাষীরা তাদের নিজেদের যেমন ক্ষতি করছে তেমনি পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে।জমির উর্বরতা কমলে তাতে আখেরে চাষীদেরই ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে। চাষীদের এনিয়ে সচেতনতায় যেমন বিভিন্ন এলাকায় পোস্টারিং করা হয়েছে পাশাপাশি তাদের নিয়ে একাধিক শিবিরও করা হয়েছে বলে তিনি জানান। জমির ঊর্বরতা নষ্ট ও পরিবেশ দূষণ আটকাতে এভাবে অবাধে ন্যাড়া পোড়ানো আদৌও নিয়ন্ত্রণ সম্ভব কিনা তা নিয়ে ধন্দে সকলেই।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Paschim Medinipore, Pollution