#মেদিনীপুর: ২২ বছর কেটে গেল শিকলে আবদ্ধ অবস্থায়... করুণ জীবন কাহিনি মেদিনীপুরের শাহাজান মোল্লার (Man Chained for 22 years)। জানা যায়, পেশায় রিকশা চালক বাবুয়া মোল্লা ও মর্জিনা বিবির তিনটি সন্তান। দুই মেয়ে এবং একটি ছেলে। শাহাজান মোল্লাই বড়। একসময় বাবা রিক্সা চালিয়ে কোনওক্রমে সংসার চালাতেন, কিন্তু বয়সের ভারে এখন আর রিকশা চালাতে পারেন না! কাজেই, সংসারে আর কেউ রোজগেরে নেই, নিত্যদিন অভাব লেগে রয়েছে, নুন আনতে পান্তা ফুরায়!
আরও পড়ুন:টোটোয় পড়ে গয়না ভর্তি ব্যাগ, তার পরের ঘটনায় কুর্নিশ করছে বসিরহাট!
অন্যদিকে, ছোটবেলায় এক দুর্ঘটনায় মস্তিষ্কে আঘাত লাগে শাহাজানের। তারপর থেকেই মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছিল ছোট্ট ছেলেটি। বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সমস্যা আরও জটিল হতে থাকে! যেখানে-সেখানে দৌড়ে বেরায়, রয়েছে পালিয়ে যাওয়ার প্রবণতাও। কোনও উপায় না থাকায় ছেলেকে আটকে রাখতে বাধ্য হয়েছেন শাহাজানের অসহায় বাবা-মা। বিগত ২২ বছর ধরেই চলছে এই অভ্যাস (Man Chained for 22 years)!
আরও পড়ুন:রাস্তায় নাকি পড়ে রয়েছে আহত 'বাঘ', সকাল থেকে শোরগোল বাগনানে
দরিদ্র পরিবার, দিন আনি, দিন খাই অবস্থা। নিত্য রোজগারে বেরিয়ে পড়তে হয় পারিবারের সদস্যদের। কিন্তু ফাঁকা বাড়িতে একা শাহাজানকে রেখে যাওয়া সম্ভব নয়, পালিয়ে যেতে পারে! যে-কোনও সময়ে ঘটে যেতে পারে বড় কোনও দুর্ঘটনা! তবে উপায়? নিরুপায় বাবা-মা ছেলেকে শিকল দিয়ে বেঁধে রেখে কাজে বের হন (Man Chained for 22 years)। এমনটাই হয়ে চলেছে গত ২২ বছর! এই ভাবেই শিকলে বন্দি অবস্থায় শৈশব, কৈশোর পেরিয়েছে শাহাজানের! এখন সে যুবক! পরিবারের অভিযোগ, শাহাজান মোল্লা পাননি প্রতিবন্ধী ভাতা, মেলেনি কোনওরকম আর্থিক সাহায্য, সরকারি সুযোগ-সুবিধা। দুঃখ দুর্দশাকে সঙ্গী করেই শিকল বাঁধা জীবন শাজাহানের (Man Chained for 22 years)। কবে ছিঁড়বে পায়ের বেড়ি ? কবে শিকল মুক্ত হবে বাড়ির বড় ছেলে? এক বুক হাহাকার আর চোখভরা কান্না নিয়ে আজও আশায় বুক বাঁধেন শাহাজানের বাবা-মা, পাড়া- প্রতিবেশীরা।
Shovan Das
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Man Chained