Holi 2025: খেয়ে ফেললেও কিছু হবে না, ক্ষতি হবে কোন দিক দিয়ে! দোলের আগে বাজারে এল অন্যরকম আবির

Last Updated:

দোলের আগে আবির নিয়ে সুখবর, এসে গেল নতুন ধরনের আবির

+
পুইশাকের

পুইশাকের বীজের রং দিয়ে তৈরি হচ্ছে আবির

নদিয়া: কখনও চুন কখনও বা চকের গুঁড়ো, তার সঙ্গে কেমিক্যাল মেশানো রং শিশুদের স্বাস্থ্য এবং মহিলাদের ত্বকের ক্ষতি! তাই ভুট্টার আটা দিয়ে প্রাকৃতিক ফুল-ফল, পাতা থেকে রং মিশিয়ে স্বাস্থ্যসম্মত ভেষজ আবির তৈরি নদিয়ার শান্তিপুরে।সামনেই রঙের উৎসব হোলি উৎসব। আর তাই গোটা দেশবাসী মেতে উঠবে আবির খেলায়। তবে বাজারে যা আবির বিক্রি হয় তাতে কখনও চুন, কখনও বা চকের গুড়োর সঙ্গে মেশানো হয় কেমিকেল মিশ্রিত রং যা শিশুদের স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর সঙ্গে মহিলাদের ত্বকেরও। বিভিন্ন চর্ম চিকিৎসকদের মতে কেমিক্যাল মিশ্রিত রং আবির চোখে কিংবা মুখে গেলে শিশুদের ক্ষেত্রে ক্ষতি হয় অনেকটাই।
তবে পরিবেশের কথা মাথায় রেখেও ব্যবসা করা যায় সেই নজির সৃষ্টি করলেন শান্তিপুরের কৃষাণ স্বরাজ সমিতির মহিলা সদস্যরা। তারা বিগত পাঁচ বছর ধরে প্রতিবছর দোলের সময় বানিয়ে থাকেন ভেষজ আবির যা ক্রমশই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। দামে সামান্য কিছুটা বেশি হলেও পরিমাণ কমিয়ে শিশুর অভিভাবকরা শিশুদের স্বাস্থ্য কথা মাথায় রেখে ক্রমশ ঝুঁকছেন এই ভেষজ আবিরের দিকেই। অন্যদিকে ত্বকের পরিচর্যা নিয়ে সর্বদা সচেতন থাকা মহিলারাও ভেষজ আবিরকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন।
advertisement
advertisement
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
নদিয়ার শান্তিপুরের পরিবেশপ্রেমী এবং দীর্ঘদিন ধরে দেশীয় প্রযুক্তিতে জৈব সার ব্যবহার করে দেশী বীজের মাধ্যমে চাষের আন্দোলন গড়ে তোলা শৈলেন চন্ডী গড়ে তুলেছিলেন কৃষাণ স্বরাজ সমিতি। সংগঠনের মহিলাদের সদস্যদের দিয়েই এই ভেষজ আবির তৈরি করিয়েছেন তিনি। দীর্ঘ একমাস কঠোর পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে এই আবির প্রস্তুত করতে হয় বলেই জানান শৈলেন বাবু। এ বছর জবা ফুল সহ বেশ কিছু লাল রঙের ফুল থেকে লাল সূর্যমুখী কলকে এ ধরনের হলুদ ফুল থেকে হলুদ, পুঁইমিচুরি থেকে রানী কালার, নীলকন্ঠ ফুল থেকে নীল, সিম সহ বিভিন্ন পাতা থেকে সবুজ এই আপাতত পাঁচ রংয়ের প্রায় দেড় কুইন্টাল ভেষজ আবির তৈরি করিয়েছেন এবারের জন্য। যা প্রথমবার ২০ কেজির থেকে অনেকটাই বেশি।
advertisement
যদিও তিনি আক্ষেপ করে বলেন, সচেতন নাগরিক সহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এগিয়ে আসলেও ,এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে সরকারিভাবে সাহায্যর হাত বাড়াতে দেখা যায়নি এখনও। সরকার যদি এ বিষয়ে সুনজর দেন তাহলে বিপুল পরিমাণে কর্মসংস্থানের মাধ্যমে ভেষজ আবির উৎপাদন অনেকটাই বাড়বে। সাধারণ মানুষের হাতের নাগালে আসবে দাম। তবে ২০০ টাকা প্রতি কেজি বাজার চলতি চকের গুঁড়ো কিংবা চুন দিয়ে তৈরি আবির অত্যন্ত ক্ষতিকর, তারা ব্যবহার করছেন ভুট্টার মিহি পাউডার, প্রাকৃতিক রং তাই শিশুর চোখে কিংবা মুখের ভেতরে গেলেও কোনও ক্ষতি হবে না।
advertisement
অপরদিকে গৃহিণীরা জানাচ্ছেন, সারাদিন সংসারের সমস্ত কাজ মিটিয়ে ফাঁকা সময়ে এই আবির তৈরিতে তারা কাজ করেন। মেলে কিছু পারিশ্রমিকও। ১০০ গ্রামে তিন টাকা করে মজুরি পান প্রত্যেক মহিলারা। আর এই আবির পাইকারি ২৫০ টাকা প্রতি কেজি এবং খুচরা ৩০ টাকা প্রতি ১০০ গ্রাম প্যাকেট দুটি ভাবেই বিক্রয় হচ্ছে।
Mainak Debnath
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Holi 2025: খেয়ে ফেললেও কিছু হবে না, ক্ষতি হবে কোন দিক দিয়ে! দোলের আগে বাজারে এল অন্যরকম আবির
Next Article
advertisement
১ কোটি টাকার মহারানি গাউন ! ২৫ জন কারিগরের শ্রমে চোখ ধাঁধাল সোনা, রুপো এবং মূল্যবান পাথরখচিত জয়পুরের এক মাস্টারপিস
১ কোটি টাকার মহারানি গাউন ! ২৫ জন কারিগরের শ্রমে চোখ ধাঁধাল জয়পুরের এক মাস্টারপিস
  • ১ কোটি টাকার মহারানি গাউন !

  • ২৫ জন কারিগরের শ্রমে চোখ ধাঁধাল সোনা, রুপো এবং মূল্যবান পাথরখচিত

  • জয়পুরের এক মাস্টারপিস

VIEW MORE
advertisement
advertisement