'এখনই আসছি' বলে চলে গেল নাতি, ঠাকুমা দাঁড়িয়ে রাস্তায়...! যা বললেন বৃদ্ধা, শুনে কেঁপে উঠলেন সবাই

Last Updated:

Grandmother: উওর ২৪ পরগনার গোপালনগরে ৮৫ বছরের বৃদ্ধা নির্মলা হালদার অসহায় অবস্থায় পাওয়া গেলে স্থানীয়রা পুলিশকে জানান। পুলিশ তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে এবং হ্যাম রেডিওর সাহায্যে তার পরিবারের খোঁজ পায়।

ততক্ষণে ওই বৃদ্ধা শারীরিকভাবে বেশ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন ধকলে। এরপর পুলিশের তরফ থেকে তাকে স্থানীয় জে আর ধর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করানো হয়। তবে কোনোভাবেই ঠিকানা না মেলায়, দফায় দফায় ডাক্তার বাবু থেকে নার্সরাও নানা ভাবে জানতে চান ওই বৃদ্ধার নাম ঠিকানা।
ততক্ষণে ওই বৃদ্ধা শারীরিকভাবে বেশ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন ধকলে। এরপর পুলিশের তরফ থেকে তাকে স্থানীয় জে আর ধর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করানো হয়। তবে কোনোভাবেই ঠিকানা না মেলায়, দফায় দফায় ডাক্তার বাবু থেকে নার্সরাও নানা ভাবে জানতে চান ওই বৃদ্ধার নাম ঠিকানা।
উওর ২৪ পরগনা: “বাবা দেখো তো নাতিটা এখনও আসছে না কেন? কখন বলল, তুমি দাড়াও… আমি এখনই আসছি।…” উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগর থানার বড় রাস্তার পাশে বসে বছর ৮৫ বৃদ্ধা নির্মলা হালদার এই কথাগুলি বলছিলেন। এর পর স্থানীয়রাই তখন ঠাকুমাকে জিজ্ঞাসা করেন, বাড়ি কোথায়?
উত্তরে তিনি বলেন, “এই তো বাবা সামনেই।” তবে এভাবে অসহায় অবস্থায় দেখে পাড়ার ছেলেরা ঠাকুমার বাড়ি খুঁজতে উদ্যোগী হন। কখনও হেঁটে, তো কখনও টোটোতে চাপিয়ে এদিক ওদিক ঘুরেও ওই বৃদ্ধার সঠিক ঠিকানা না মেলায় গোপালনগর থানার দ্বারস্থ হয় সহৃদয় ব্যক্তিরা।
advertisement
advertisement
ততক্ষণে ওই বৃদ্ধা শারীরিকভাবে বেশ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন ধকলে। এরপর পুলিশের তরফ থেকে তাকে স্থানীয় জে আর ধর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করানো হয়। তবে কোনোভাবেই ঠিকানা না মেলায়, দফায় দফায় ডাক্তার বাবু থেকে নার্সরাও নানা ভাবে জানতে চান ওই বৃদ্ধার নাম ঠিকানা। তবে বৃদ্ধার উত্তর শুধু \”এই তো বলেই\” আর কিছু বলতে পারছেন না। তবে মাঝে মাঝে বলে উঠছেন \”বাবু টা কোথায় গেল! হ্যাঁ রে কও আমারে লইয়া যাইতে \” এভাবেই দুমাস বাড়িছাড়া হয়ে হাসপাতালে দিন কাটাছিলেন বৃদ্ধা নির্মলা দেবী।
advertisement
কথায় জানা যায় বাবু হল তার নিজের আদরের নাতি। ছোট্ট থেকে যাকে কোলে পিঠে বড় করেছেন তিনি। যদিও, ‘তোমার নাতি তোমায় ফেলে রেখে গিয়েছে’ বললেই রেগে উঠছেন ওই বৃদ্ধা। এরপরই বৃদ্ধার বাড়ি ও পরিবারের খোঁজে হাসপাতালের অ্যাসিসট্যান্ট সুপার সোমদত্ত বসু হ্যাম রেডিওর সাহায্য চান। ফোন করেন রেডিও ক্লাবের সদস্য পরিমল রায় কে।
advertisement
তারপর থেকেই শুরু হয় ওই বৃদ্ধার খোঁজ। অবশেষে পুত্র ও গুণধর নাতি সহ পরিবারের খোঁজ মেলে নদিয়ার শিমুরালির পালপাড়ায়। প্রথমে বিষয়টি নিখোঁজ বলে চালানোর চেষ্টা করা হলেও, পরিবারের তরফ থেকে কোনরকম নিখোঁজ ডায়েরী না করায় ওঠে প্রশ্ন। এরপরই বিষয়টিকে সহজ ভাবে দেখেনি পুলিশ। পরিবারের এমন ভূমিকায় কড়া ভূমিকা নিতে দেখা যায় প্রশাসনকে। এদিন হাসপাতালে এসে ছেলে অনন্ত হালদার মা কে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে গেলেও, নিয়মিত থানায় আপডেট দিতে হবে মায়ের বলেও জানিয়ে দেওয়া হয় তাকে।
advertisement
প্রতি সপ্তাহে একবার থানা খবর নেবে ওই বৃদ্ধার। কারণ যে নিষ্ঠুর ঘটনার সাক্ষী থাকল এদিন, সেই সমস্যা সমাধানে পুলিশের এমন ভূমিকার কুর্নিশ জানাচ্ছেন সমাজ সচেতন মানুষজন। যা দৃষ্টান্ত তৈরি করল, ফলে আগামী দিনে কোন সন্তান তার মা-বাবাকে অসহায় ভাবে ফেলে দিতে একবার হলেও ভাববে বলেই মনে করছেন সচেতন নাগরিকরা। এদিন ছেলেকে দেখেই অঝোরে কেঁদে ফেলেন বৃদ্ধ মা।
advertisement
Rudra Narayan Roy
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
'এখনই আসছি' বলে চলে গেল নাতি, ঠাকুমা দাঁড়িয়ে রাস্তায়...! যা বললেন বৃদ্ধা, শুনে কেঁপে উঠলেন সবাই
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement