আবির দিয়ে শুরু হয় রঙ খেলা! নবমীর বেড়াঞ্জলি দেখতে ভিড় জমে শ্রীরামপুরের দে বাড়িতে!
- Published by:Sanjukta Sarkar
Last Updated:
প্রায় ২১৭ বছর আগে শ্রীরামপুরের দে পরিবার এই পুজো শুরু করে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা পরিবারের গণ্ডি ছাড়িয়ে সাধারণের হয়ে উঠেছে। একান্নবর্তী পরিবারের সদস্যদের আনন্দ অন্যতম নজরকাড়া এই পুজোয়।
#কলকাতা: প্রায় ২১৭ বছর আগে শ্রীরামপুরের দে পরিবার এই পুজো শুরু করে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা পরিবারের গণ্ডি ছাড়িয়ে সাধারণের হয়ে উঠেছে। আজও নিয়ম মেনে দোলে শ্রীরামপুরে পূজিতা হন দেবী। শ্রীরামপুরের এই পুজোর প্রতিমাতে রয়েছে বিশেষত্ত্ব। এখানে দশভূজার সঙ্গে তার ছেলেমেয়ে লক্ষ্মী, গণেশ, কার্তিক, সরস্বতী থাকেন না। দুর্গার সঙ্গে থাকেন দুই সখী জয়া ও বিজয়া।
দোলের দিন দেবী বোধনের পর ষষ্ঠী ও সপ্তমীর পুজো হয়। এরপর এলাকার মানুষ মায়ের পায়ে আবির দিয়ে মেতে ওঠেন রং খেলায়। দোলের পরের দিন শ্রীরামপুরের বাসিন্দাদের কাছে অষ্টমী। এদিন এলাকার কোনও বাড়িতে উনুন জ্বলে না। প্রত্যেকেই এদিন পুজো প্রাঙ্গণে মায়ের ভোগ খেয়ে থাকেন।
advertisement
advertisement
পূর্বে এই পুজোয় নবমীতে ছাগ বলি দেওয়ার প্রথা ছিল। কিন্তু বর্তমানে বলি বন্ধ। নবমীতে এই পুজোর ভোগে মাছ খাওয়ানোর নিয়ম প্রচলিত। এদিন এলাকার বাসিন্দারা ছাড়াও শ্রীরামপুর অঞ্চলের অনাথ আশ্রমের খুদেরা সেখানে যান। এরপরের দিন শ্রীরামপুর বাসির মনখারাপের দিন। কারণ এদিন দশমী। নিয়ম মেনে মহিলারা দেবীবরণ সেরে মেতে ওঠেন সিঁদুর খেলায়। এরপর রাতে শোভাযাত্রা নিয়ে শ্রীরামপুরের দে বাবুর ঘাটে গঙ্গায় মায়ের প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যে দিয়েই শেষ হয় এই পুজো।
advertisement
যে কটি ঐতিহাসিক বাড়ির পুজো দেখার জন্য মানুষ ভিড় করেন তার মধ্যে এই দে বাড়ির পুজো রয়েছে। পুজোর পাঁচ দিন বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষ আসেন এই বাড়ির পুজো দেখতে। বর্তমানে সময়ের সাথে সাথে অনেক কিছু বদল হলেও এখনও নিয়ম পালনে কঠোর এই বাড়ি৷
advertisement
ষষ্ঠী ও দশমীর দেবীবরণ হয় দেখার মতো যেখানে প্রায় একশোর কাছাকাছি কূলবধূ মা’কে বরণ করেন। ধুনো পোড়ান বাড়ির বড়রা। অষ্টমীতেও হয় ধুনো পোড়ানো, নবমীর ‘বেড়াঞ্জলি’ তে বাড়ির পুত্র-পুত্রবধূরা মা কে প্রদক্ষিণ করে বিয়ের জোড় ও বেনারসী পড়ে এবং অঞ্জলি দেয়। এটিও একটি বিশেষ অনুষ্ঠান এই বাড়ির পুজোয়।হুগলী জেলার শ্রীরামপুরে ঐতিহ্যশালী পুজো গুলির মধ্যে অন্যতম দে’ বাড়ির দুর্গোৎসব। আগের মতো জমিদারি প্রতিপত্তি এখন না থাকলেও পুজোতে নিষ্ঠা কম হয়নি। ৪০০ জন একসাথে একই বাড়িতে বসবাস করছে।
কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গের সব লেটেস্ট ব্রেকিং নিউজ পাবেন নিউজ 18 বাংলায় ৷ থাকছে দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের খবরও ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং সব গুরুত্বপূর্ণ খবর নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ এর পাশাপাশি সব খবরের আপডেট পেতে ডাউনলোড করতে পারেন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে ক্লিক করুন এখানে ৷
Location :
First Published :
October 04, 2022 9:24 AM IST
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
আবির দিয়ে শুরু হয় রঙ খেলা! নবমীর বেড়াঞ্জলি দেখতে ভিড় জমে শ্রীরামপুরের দে বাড়িতে!