#বর্ধমান: জাল লাইসেন্স ও বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র কারবারের ঘটনায় আরও একজনকে গ্রেফতার করল সিআইডি। পূর্ব বর্ধমানের মেমারির শিকারপুর থেকে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর আগে মোটা টাকার বিনিময়ে বন্দুকের লাইসেন্স দেওয়ার অভিযোগে মেমারির হরিণডাঙা থেকে চক্রের মূল পান্ডা শফিক মোল্লাকে গ্রেপ্তার করেছিল সিআইডি। তার সঙ্গে আরও পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। রাজ্য জুড়ে এই জাল লাইসেন্স ও বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্রের কারবার চালানো হচ্ছিল বলে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযানে নামে সিআইডি।
শনিবার রাতে মেমারির শিকারপুর থেকে নতুন করে ইসমাইল মন্ডল নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি। তার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে দুটি সিঙ্গেল বোরের বন্দুক ও দু রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে বলে সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে। এইসব আগ্নেয়াস্ত্রের কোনও বৈধ কাগজপত্র ছিল না বলে সিআইডির দাবি। জাল লাইসেন্স ও বেআইনিভাবে আগ্নেয়াস্ত্র কারবারের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সফিক মোল্লাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইসমাইল মন্ডলের নাগাল পাওয়া সম্ভব হল বলে সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে। ইসমাইল মন্ডলকে রবিবার বর্ধমান আদালতে তোলা হয়। তাকে ১৪ দিন নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানায় সিআইডি। আদালত আট দিনের সিআইডি হেফাজত মঞ্জুর করেছে। নিজেদের হেফাজতে নিয়ে তাকে বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে। তার দুই নিকট আত্মীয়ের জন্য ওই লাইসেন্স ও বন্দুক সে সফিক মোল্লার কাছ থেকে সংগ্রহ করেছিল বলে সিআইডিকে জেরায় জানিয়েছে ইসমাইল মন্ডল।
আরও পড়ুন: চমকেই বাজিমাতের লক্ষ্য, কলকাতা পুরভোটে তৃণমূলের শেষ মুহূর্তের তারকা-টাচ!
বৃহস্পতিবারই গ্রেপ্তার করা হয়েছিল মূল অভিযুক্ত শফিক মোল্লাকে। সিআইডির স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের গোয়েন্দারা মেমারির হরিণডাঙায় সফিক মোল্লার বাড়িতে হানা দিয়ে প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র ও জাল লাইসেন্স তৈরির প্রচুর ভুয়ো নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করে। সেখানে সরকারি পদস্থ আধিকারিকের জাল স্টাম্প সহ নানান নথিপত্রও উদ্ধার করা হয়। তার আগে কলকাতার দক্ষিণদাঁড়ি, জগৎপুর, বন্ডেল গেট সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে জুলফিকার শেখ, সাবির মন্ডল, ইমামুল মন্ডল, হাফিজুল শেখ ও বিমান মন্ডলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা জাল নথি দেখিয়ে নিরাপত্তা রক্ষীর কাজ করছিল। তাদের জেরা করেই সফিক মোল্লার হদিশ পায় সিআইডির গোয়েন্দারা। সফিক মোল্লা মেমারি শহরে একটি দোকান থেকে তার এই কারবার চালিয়ে আসছিল। সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, পাশের রাজ্য বিহার ঝাড়খন্ড উত্তর প্রদেশ থেকে বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে এসে জাল কাগজপত্র তৈরি করে তা মোটা টাকা বিক্রির চক্র চালানো হচ্ছিল।
আরও পড়ুন: হঠাৎ দোকানে এসেছিল অপরিচিত যুবক, অসাধ্যসাধন করলেন মুদি ব্যবসায়ী!
এই চক্রের সঙ্গে আর কারা কারা জড়িত, আরও কত জাল বন্দুক কোথায় কোথায় রয়েছে তা ধৃতদের দফায় দফায় জেরা করে বিস্তারিত জানার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এর পর সেই সব বন্দুক বাজেয়াপ্ত করার চেষ্টা চালানো হবে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Bardhaman, Fake Licence Of Arms