সিউড়ি : তীব্র গরমে বীরভূম জেলা ট্রাফিক পুলিশের আরও একটি অভিনব উদ্দ্যোগ ' জলসত্র বা জলছত্র ' । তাপমাত্রার পারদ আকাশছোঁয়া৷ তাই গরমে পথচলতি মানুষদের তেষ্টা মেটাতে জলছত্র থেকে জলের বোতল দেওয়া হল বীরভূম জেলা ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে । সেখানে উপস্থিত ছিলেন ডিএসপি ট্র্যাফিক আখতার আলি-সহ অন্যান্য পুলিশকর্মীরা ।
গরম পড়তেই বাড়ছে তাপমাত্রা । রোজ যেন একটু করে বাড়ছে পারদের অঙ্ক । বেলা বাড়তেই বাতাসে বইছে গরম হওয়া । তাই গরমের চোটে নাজেহাল অবস্থা সাধারণ মানুষের । বাড়ির বাইরে পা দিলেই শরীর যেন পুড়ে যাচ্ছে গরম বাতাসে । কিন্তু উপায় নেই নিজেদের কর্মক্ষেত্রে পৌঁছাতে হবে ঠিক সময়েই । তাই গরমের মধ্যেই রাস্তায় বেরোতে হচ্ছে মানুষদের । এমনকি বাচ্চাদেরও গরমে যেতে হচ্ছে স্কুলে । তাই মানুষ গরম থেকে কিছুটা বাঁচতে গোটা মুখ চোখ ঢেকে বেরোচ্ছেন রাস্তায় ।
আরও পড়ুন : দুপুরে খাওয়ার পর স্নান করছেন? শরীরের সর্বনাশ হচ্ছে
শুধু তাই নয়, শরীর ঠান্ডা রাখতে বার বার খাচ্ছেন ঠান্ডা জল , লস্যি কিংবা আইসক্রিম । শরীর যাতে অসুস্থ না হয়ে যায় তাই বারে বারেই মাথায় ও মুখে জল দিচ্ছেন মানুষ । তাই এই কষ্টকর অবস্থা থেকে পথচলতি সাধারণ মানুষকে কিছুটা বাঁচাতে অভিনব উদ্দ্যোগ নেন বীরভূম জেলা ট্রাফিক পুলিশ ।
আরও পড়ুন : পর্যটনের নতুন আকর্ষণ! এবার এই নিষিদ্ধ আনন্দও আইনসিদ্ধ হতে চলেছে মেঘালয়ে
ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে বীরভূমের সিউড়িতে রাস্তায় শুরু হয় জলছত্র । সেখানে রাখা হয় প্রচুর পানীয় জলের বোতল এবং ওএরএস । বাসযাত্রী থেকে টোটোযাত্রী , সাইকেলচালক কিংবা বাইকচালক, রাস্তায় বেরনো সকলকে একটি করে জলের বোতল এবং ও আর এস দেওয়া হয় সেখান থেকে । ট্রাফিক পুলিশের এই উদ্দ্যোগকে সাধুবাদ জানান সাধারণ মানুষ ।
আরও পড়ুন : কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গ ফুটছে, হিটস্ট্রোক থেকে বাঁচতে মনে রাখুন এই নিয়মগুলি
এক টোটোযাত্রী বলেন , " বাইরে এত গরম আর লু বইছে, তাতে বেরনোর উপায় নেই । কিন্তু কাজের জন্য তো বেরতে হচ্ছেই । তবে গোটা মুখ ঢেকে তবেই বেরচ্ছি । তারপরও গরম কমছে না । তবে আজ পুলিশের থেকে এই জলের বোতল পেয়ে সত্যিই খুব ভাল লাগলো । "
ডিএসপি ট্রাফিক আখতার আলি বলেন, ‘‘গরমে বেরনো সাধারণ মানুষকে জলের বোতল এবং ওআরএস দিয়ে কিছুটা সাহায্য করলাম।’’