Kartik Puja: একই মণ্ডপে ৫১টি মূর্তি পুজো করেন ৫১ জন পুরোহিত! মেদিনীপুরের সবচেয়ে বড় কার্তিক পুজোয় ভক্তের ঢল, ৫ দিনের মেলা

Last Updated:

Kartik Puja 2025: পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সবচেয়ে বড় কার্তিক পুজো হয় ইটাচনা গ্রামে। এই পুজোর বিশেষত্ব হল, একই মণ্ডপে ৫১টি মূর্তি ৫১ জন পুরোহিত দিয়ে পুজো করা হয়। কার্তিক পুজোকে কেন্দ্র করে পাঁচ দিনব্যাপী মেলা বসে।

+
একই

একই মণ্ডপে ৫১ কার্তিক মূর্তি

পটাশপুর, পূর্ব মেদিনীপুর, মদন মাইতি: প্রায় দুই দশক আগে মাত্র ৫০ টাকা দিয়ে শুরু হয়েছিল এই কার্তিক পুজো। এলাকার কয়েকজন যুবক মিলে শুরু করেছিলেন পুজো। ছোট করে শুরু হওয়া সেই উদ্যোগ আজ বিশাল মেলার রূপ নিয়েছে। প্রথম দিকে অল্প কয়েকজন ভক্ত আসতেন, তবু উৎসবের আনন্দে কোনও ঘাটতি ছিল না। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পুজোর আয়োজনের আকার বড় হতে থাকে। ধীরে ধীরে লোকমুখে প্রচার হয় এই পুজোর কথা। এখন এই পুজোকে কেন্দ্র করে পাঁচ দিনব্যাপী মেলা বসে।
একই মণ্ডপে ৫১টি মূর্তি ৫১ জন পুরোহিত দিয়ে পুজো করা হয়।‌ দূরদূরান্ত থেকে বহু ভক্ত ভিড় জমান। আজ যখন সেই পুরোনো দিনের দিকে ফিরে তাকানো হয়, কীভাবে ৫০ টাকায় শুরু হওয়া সেই পুজো আজ লাখ লাখ টাকার বাজেটর পুজোর আকার নিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ সুন্দরবনে মৎস্যজীবীদের ইঞ্জিন বোটে নদীতে মাছ-কাঁকড়া ধরায় নিষেধাজ্ঞা! তবে পর্যটকদের ছাড়পত্র, বনদফতরের নিয়মের গেঁড়ো
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুর দুই ব্লকের ইটাচনা গ্রামে ১৮ বছর আগে কয়েকজন যুবক মিলে ৫০ টাকা দিয়ে শুরু করেছিলেন কার্তিক পুজো। ইটাচনা গ্রামের ‘আমরা কজন কার্তিক পুজো কমিটি’-র সদস্যরা বছর বছর পুজোর আয়োজন আরও বড় করে তোলার চেষ্টা করেন। তারা জানান, কয়েকজন যুবক মিলেই দু’দশক আগে ক্লাব গঠন করেন এবং সেখান থেকেই শুরু হয় কার্তিক পুজো। ধীরে ধীরে এলাকাবাসীর সহযোগিতা বাড়তে থাকে, আর সেই সহযোগিতার ফলেই আজ এই পুজো পূর্ব মেদিনীপুর জেলার অন্যতম বড় আকর্ষণে পরিণত হয়েছে। আগে যেখানে ছোট্ট মণ্ডপে পুজো হত, এখন সেখানে বিশাল মণ্ডপ তৈরি হয়। সঙ্গে চোখ ধাঁধানো আলোকসজ্জা। ‌
advertisement
advertisement
আরও পড়ুনঃ মৎস্যজীবীদের ঐতিহ্যের ধ্বজা ভাগীরথীতে! শান্তিপুরের নৌকা বাইচে ৭৫ ফুটের দৈত্যাকার তরণী, নদীর দু’পাড়ে জনসমুদ্র, রইল ভিডিও
দৃষ্টিনন্দন মণ্ডপ। দূরদূরান্ত থেকে বহু ভক্ত ভিড় জমান এই পুজোর কয়েকটা দিন। এই পুজোর অন্যতম বিশেষত্ব হল, একই মণ্ডপে মোট ৫১টি কার্তিক মূর্তি স্থাপন করে পুজো করা হয়। প্রতিটি মূর্তির জন্য আলাদা পুরোহিত থাকেন। শুধু পুজো নয়, পাঁচ দিনব্যাপী বড় আকারে মেলা বসে ইটাচনা গ্রামে। জিলিপি, খেলনা, খাবার, পোশাক, হাতের কাজ – সব কিছুর দোকান মেলা প্রাঙ্গণে সারি সারি সাজানো থাকে।
advertisement
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
ভিড় সামাল দিতে সিভিক ভলান্টিয়ারের পাশাপাশি ক্লাবের তরফে স্বেচ্ছাসেবক দল থাকে। সন্ধ্যা নামলেই মেলায় ভিড় বাড়ে আরও বেশি। এই পুজোকে ঘিরে এলাকায় উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়ে। প্রত্যেকদিন থাকে নানান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, লোকসংগীত, নাচগান।
কার্তিক পুজোকে ঘিরে প্রতিবছর নরনারায়ণ সেবার আয়োজন করা হয়। প্রায় ১৫ হাজার মানুষের নরনারায়ণ সেবার আয়োজন করা হয়। মাত্র ৫০ টাকার দিয়ে শুরু হওয়া এই কার্তিক পুজোয় আজ লক্ষাধিক টাকার বাজেটের বড় আয়োজন করা হয়। ভক্তদের বিপুল ভিড় ও এলাকার মানুষের সহযোগিতায় বছর বছর পুজোর পরিধি আরও বাড়ছে।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Kartik Puja: একই মণ্ডপে ৫১টি মূর্তি পুজো করেন ৫১ জন পুরোহিত! মেদিনীপুরের সবচেয়ে বড় কার্তিক পুজোয় ভক্তের ঢল, ৫ দিনের মেলা
Next Article
advertisement
শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণের বাংলাদেশের অনুরোধ ভারত কি প্রত্যাখ্যান করতে পারে? দেখে নিন চুক্তিতে কী বলা হয়েছে
শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণের বাংলাদেশের অনুরোধ ভারত কি প্রত্যাখ্যান করতে পারে?দেখে নিন চুক্তি
  • শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণের বাংলাদেশের অনুরোধ

  • ভারত কি প্রত্যাখ্যান করতে পারে?

  • দেখে নিন চুক্তিতে কী বলা হয়েছে

VIEW MORE
advertisement
advertisement