বর্ধমান : মিষ্টি হাব থেকে সরে এলেন ব্যবসায়ীরা। আগের পদ্ধতিতে মিষ্টি হাব চালু করে লাভের লাভ কিছুই হবে না বলেই মনে করছেন তাঁরা। প্রশাসন সব রকম সহযোগিতার আশ্বাস দিলেও মিষ্টি হাবে আর সময় ও অর্থ নষ্ট করতে চান না বর্ধমানের মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীরা। বৃহস্পতিবার সেই সিদ্ধান্তের কথা লিখিতভাবে জেলা প্রশাসনকে জানিয়েও দিয়েছেন।
আরও পড়ুন : ব্যাঙ্কের নিয়মে বড় বদল! আপনার প্রতিটি অ্যাকাউন্টেই এবার নজর রাখতে চলেছে সরকার
ক্রেতার অভাবে এক সময় পাকাপাকিভাবে মিষ্টি হাব বন্ধ করার কথা ঘোষণা করেছিল প্রশাসন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ফের বর্ধমানের মিষ্টি হাব চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। চলতি মাসের ২০ তারিখে সেই হাব খোলার তৎপরতা শুরু করেছে প্রশাসন। ৩০ মের মধ্যে সব দোকান খোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ক্রেতা টানতে সব সরকারি বাস মিষ্টি হাবে দাঁড়াবে বলে বিক্রেতাদের আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন। ঠিক সেই পরিস্থিতিতে মিষ্টি হাবের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীরা সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ায় এই হাব খোলা নিয়ে জটিলতা তৈরি হল।
মিষ্টির কথা বললেই উঠে আসে বর্ধমানের নাম। শতাব্দী প্রাচীন জমজ মিষ্টি সীতাভোগ মিহিদানা তো আছেই, পাশেই আছে শক্তিগড়ের ল্যাংচা। ছানা এখানে সহজলভ্য হওয়ায় এই শহরে রসগোল্লা সন্দেশ-সহ আরও অনেক মিষ্টিই রসনায় জল আনে।
আরও পড়ুন : বৌবাজারে আচমকা পাঁচ পাঁচটি বাড়িতে ফাটল! মেট্রোরেলের কাজের জের? নাকি অন্য 'ভিলেন'?
এই শহরেই সাধের মিষ্টি হাব গড়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের সব সেরা মিষ্টি সেখানে ঠাঁই পাবে -পরিকল্পনা ছিল তেমনটাই। সেই মিষ্টি হাব এখন বন্ধ। বার বার চেষ্টা করেও তা চালু রাখা যায়নি। ফের মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে মিষ্টি হাব চালুর তৎপরতা শুরু হয়েছে।
২০১৭ সালের ৭ এপ্রিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মিষ্টি হাবের উদ্বোধন করেন। কিন্তু কোনওদিনই সেই মিষ্টি হাব ক্রেতাদের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে ওঠেনি। যার জেরে মিষ্টি হাবের পঁচিশটি দোকানের সব কটিই এখন তালাবন্ধ।
আরও পড়ুন : সূর্যের দিকে শুধুমাত্র এই সময়েই তাকান, অন্য সময় ভুল করলে চরম মূল্য চোকাতে হবে...
ব্যবসায়ীরা বলছেন, জাতীয় সড়কের ধারে জনবসতিহীন এলাকায় তৈরি করা হয় এই হাব। তাই স্থানীয় বাসিন্দারা নন, শুধু মাত্র জাতীয় সড়ক ব্যবহারকারীরাই এই হাবের একমাত্র ক্রেতা। অথচ মিষ্টি হাবের আশপাশে বাস বা গাড়ি দাঁড় করানোর কোনও জায়গা ছিল না। কলকাতা থেকে দুর্গাপুর যাওয়ার পথে মিষ্টি হাবের এক কিলোমিটার আগেই শক্তিগড়ের ল্যাংচার সারি সারি দোকান। সেখানে চা জলখাবার সবই মেলে। তাই সাজানো গোছানো সেই বাজারেই গাড়ি দাঁড় করান বেশিরভাগ পর্যটক ও পথচলতি গাড়ি। এরপর আর মিষ্টি হাবে দাঁড়ানোর প্রয়োজন অনুভব করেন না অনেকেই। তাই আখেরে লাভের লাভ কিছুই হয় না। তাতেই নতুন করে মিষ্টি হাব খোলায় ব্যবসায়ীদের উদ্যোগ বা উৎসাহ কোনোটাই নেই। সেটাই স্পষ্টভাবে প্রশাসনকে জানিয়ে দিলেন তাঁরা।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Bangla News, Burdwan