দক্ষিণ ২৪ পরগনা: গরমে হাঁসফাস অবস্থা। স্বাভাবিকভাবেই ঠান্ডা জলের চাহিদা বেড়েছে। বাড়ির ফ্রিজের জল এর সবচেয়ে সহজ উৎস। কিন্তু চিকিৎসকরা ফ্রিজে ঠান্ডা করা জল খেতে বারণ করছেন। আর তাই একটা বড় অংশের মানুষ ঝুঁকেছে মাটির কুঁজো, মটকার দিকে।
অতীতে গ্রামের দিকে অবস্থাপন্ন বাড়িতে দেখা যেত মাটির কুঁজো বা জালায় জল রাখা থাকত। সেটা উপুর করে বড় কাঁসার গেলাসে জল ঢেলে খেত মানুষ। কিন্তু এখন আর সেই কষ্টটুকুও করতে হচ্ছে না। কুঁজো ও জালার মুখেই লাগানো আছে ট্যাপ কল। তা ঘোড়ালেই সহজে ঠান্ডা জল বেরিয়ে আসবে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরের কুমোর পাড়ায় গরম পড়তেই প্রচুর কুঁজো ও জালা তৈরি হচ্ছে। আর তা হু হু করে বিক্রিও হচ্ছে। চাহিদা এতটাই বেশি যে জোগান দিতে হিমশিম খাচ্ছেন মৃৎশিল্পীরা।
আরও পড়ুন: বাইক চোরের গ্যাং পাকড়াও করল পুলিশ
এই কুমোর পাড়ায় প্রায় ২০০ পরিবার এই মৃৎশিল্পের সঙ্গে জড়িত। এখানে ঘরে ঘরে তৈরি হয় মাটির নানান জিনিস। বর্তমানে পুরুষ-মহিলারা সকাল হলেই একসঙ্গে মাটির জালা তৈরির কাজে লেগে পড়ছেন। তবে শুধু জয়নগর নয় সোনারপুর, মগরাহাটেও রমরম করে বিক্রি হচ্ছে এই মাটির জালা।
কীভাবে তাঁরা এই মাটির জালা তৈরি করেন সেই প্রশ্ন করলে জয়নগরের কুমোর পাড়ার এক মৃৎশিল্পী বলেন, আগে এক লরি মাটি আনতে খরচ হত ৭ হাজার টাকা, এখন ৮-৯ হাজার টাকা লাগছে। এক একটা ট্যাপ কলের মুখ কিনতে লাগছে ৭০-৮০ টাকা। এখানে ৮০ টাকার ছোট জালা থেকে শুরু করে ১০০ টাকার মাঝারি জালা, আবার ৩০০ টাকায় বড় জালাও পাওয়া যাচ্ছে।
সুমন সাহা
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Clay pot, Cold water, Heat Wave, Potter, South 24 Parganas news