দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ভালোবাসার মানুষ দেয় টাটকা তাজা গোলাপ। কিন্তু তা কয়েকদিন পরেই শুকিয়ে যায়। সেই শুকনো পাপড়ির স্মৃতি হৃদয়ে সাজিয়ে রাখে প্রেমিকা। কিন্তু কেমন হত যদি সেই গোলাপ কোনদিনও না শুকাতো? সেই অসাধ্য সাধনই হয়েছে মন্দিরবাজারের গোকুল নগরে। এখানে তৈরি হচ্ছে ডাইয়ের গোলাপ। সবটাই স্থায়ী, এখানে পাপড়ি শুকিয়ে যাওয়ার গল্প নেই।
শুধু গোলাপ নয়, গাঁদা, জুঁই সব ধরনের ফুল তৈরি হচ্ছে ডাই দিয়ে। আসলে ডাই হল একটি রঞ্জক পদার্থ, যা মূলত রঙ করার কাজে লাগে। এটি সিন্থেটিক। শোলার তৈরি বিভিন্ন জিনিসপত্রের উপর এই ডাই কালার ব্যবহার করে তৈরি করা হচ্ছে ডাই ফ্লাওয়ার। যা দেখতে লাগছে অবিকল আসল ফুলের মত। এগুলো নষ্ট হওয়ার ভয়ও নেই। ফলে কদর বাড়ছে এই ডাই ফ্লাওয়ারের। মন্দিরবাজারে তৈরি এই ডাই ফ্লাওয়ার এখন দেশের সীমানা পেরিয়ে পাড়ি দিচ্ছে বিদেশেও।
আরও পড়ুন: আবর্জনার স্তূপ হয়ে পড়ে থাকা দিঘি সংস্কার করে মাছ চাষ শুরুর দাবি এলাকাবাসীর
ডাই ফ্লাওয়ারের চাহিদা বাড়ায় মন্দিরবাজারে বহু মানুষ এই কাজকেই জীবিকা হিসেবে বেছে নিয়েছেন। এক একটি শোলার ফুল কেটে শুকিয়ে তা তৈরি করতে সময় লাগছে ২ থেকে ৩ দিন। তারপর সেগুলিকে বাজারজাত করা হচ্ছে। শুধুমাত্র ফুল নয়, তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন খেলনা, পাখি, মুকুট সহ আরও অনেক দ্রব্য। এই প্রসঙ্গে ডাই ফ্লাওয়ার তৈরি সংস্থার মালিক অসিত সরদার জানান, স্থানীয় বাজার থেকে কাঁচামাল সংগ্রহ করেন তাঁরা। এরপর সেগুলিকে বাছাই করে ডাই ফ্লাওয়ার তৈরির কাজে লাগানো হয়। এই ডাই ফ্লাওয়ার বর্তমানে রাজ্যের বিভিন্ন বড় মেলায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বিদেশেও এগুলিকে রফতানি করা হচ্ছে। এই ডাই ফ্লাওয়ারের হাত ধরে মন্দিরবাজারের বহু মানুষ উন্নতির মুখ দেখছেন।
নবাব মল্লিক
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।