Siliguri News - Mysterious Village: গ্রামে মাত্র তিনটি পরিবারের বাস! রয়েছে জাগ্রত গণেশ মন্দির! তবুও কেন থাকে না মানুষ?

Last Updated:

Siliguri News - Mysterious Village: এই গ্রামে কেন থাকে না মানুষ? জানলে চমকে উঠবেন

+
বৈকুণ্ঠপুর

বৈকুণ্ঠপুর জঙ্গল ঘেরা গ্রাম পানিয়া ফাফরি

শিলিগুড়ি : পানিয়া ফাফড়ি গ্রাম। একসময় প্রচুর লোকবসতি ছিল। প্রায় ১০০ র বেশি পরিবারের বসবাস ছিল এই গ্রামে। কিন্তু ধীরে ধীরে তা কমে এখন এসেছে মাত্র ৩টি পরিবারে। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন মাত্র ৩টি পরিবার নিয়ে গড়ে উঠেছে একটি গ্রাম। সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হল, অন্য কোথাও নয়, এমন গ্রাম রয়েছে শিলিগুড়ি শহরের অদূরেই। অথচ কেউ জানেনা সেই গ্রামের হদিশ।
চারিদিকে জঙ্গল, আর তার মাঝখানে রয়েছে পানিয়া ফাফড়ি কামাতপাড়া এলাকা। শিলিগুড়ি শহর থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে রয়েছে বৈকুন্ঠপুর ফরেস্ট। আর সেই ফরেস্ট লাগোয়া রেঞ্জার অফিস। সেখান থেকে আরও কয়েক কিলোমিটার এগোলেই দেখা যাবে এই গ্রাম। যেখানে শহুরে কোনও অভ্যাসই ঢুকতে পারেনি। খড়ের ছাউনি, মাটির ঘড়, মেঠো পথ। সন্ধ্যে হলে লাইট নয়, জ্বলে বাতি। তবে জঙ্গল পার্শ্ববর্তী এলাকা হওয়ায় মাঝেমধ্যেই সেখানে হাতির আনাগোনা হয়। হাতির হানায় মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে।
advertisement
advertisement
গত প্রায় ২০ বছর আগের কথা। এক কিশোরিকে পায়ে পিষে মেরে ফেলেছিল এক দাঁতাল হাতি। আর সবটাই ঘটেছিল গ্রামবাসীদের চোখের সামনে। গ্রামের ছোট্ট মেয়েটিকে এভাবে পদপৃষ্ট হয়ে মরতে দেখে ভয় ঢুকে গিয়েছিল গ্রামবাসীদের মনে। এছাড়া মাঝেমধ্যেই বাড়িতে ঢুকে ঘড়বাড়ি নষ্ট করে যেত, ঘরে থাকা সামগ্রীও খেয়ে চলে যেত হাতির দল। মূলত হাতির উৎপাতে অতিষ্ট হয়েই একে একে গ্রাম ছাড়তে শুরু করেন বাসিন্দারা।
advertisement
আরও পড়ুন:
তবে এখনও সেই গ্রামে যদি ঢোকেন, ফিরে আসতে চাইবেন না আপনি। হাতির হাত থেকে বাঁচতে তৈরি করা হয়েছে এই গণেশ মন্দির। যদিও মন্দিরে গণেশের কোনও মূর্তি নেই, পুজো করা হয় বেদীতে। তবে সারাবছর বেদীতে পুজো হলেও, বাৎসরিক পুজোর সময় গণেশ মূর্তি দিয়েই হয় পুজো। কিন্তু পরেরদিন সকালে দেখা যায় হাতি নিজেই এসে মূর্তি নদীর ধারে রেখে এসেছেন। এছাড়াও গ্রামবাসীদের কথায়, মন্দিরের দেবতা অনেক জাগ্রত। তার কথা শোনেন হাতির পাল।
advertisement
আরও পড়ুন:
ওই মন্দির তৈরির পর থেকে নাকি হাতির উৎপাত তেমন নেই। এমনকি মন্দিরে এসে যারাই ধূপকাঠি, মোমবাতি জ্বালিয়ে পুজো দিয়ে যান, তাদের মনস্কামনা পূর্ণ হয়। স্থানীয় হরিচন্দ্র রায় বলেন, ” হাতির হাত থেকে বাঁচতে আমাদের গণেশ ভরসা। জাগ্রত এই মন্দিরে অধিষ্ঠাত্রী দেবতা গণেশ ঠাকুরই নাকি দেখভাল করেন আমাদের গ্রামের। এখনো মাঝে মাঝেই হাতি আসে তবে মন্দির প্রতিষ্ঠার পর আমাদের কোনো ক্ষতি হয়নি ।”
advertisement
অনির্বাণ রায়
view comments
বাংলা খবর/ খবর/শিলিগুড়ি/
Siliguri News - Mysterious Village: গ্রামে মাত্র তিনটি পরিবারের বাস! রয়েছে জাগ্রত গণেশ মন্দির! তবুও কেন থাকে না মানুষ?
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement