#নয়াদিল্লি: জানা যায় যে, মানুষের উৎপত্তির বহু কাল আগেই ডাইনোসর বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল। অর্থাৎ কখনওই মানুষকে ডাইনোসরের সম্মুখীন হতে হয়নি। কিন্তু এই প্রসঙ্গে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের (Oxford University) এক অধ্যাপক চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন। তাঁর দাবি অনুযায়ী, ডাইনোসরের সঙ্গে মানুষের একটা যোগসূত্র রয়েছে। কিন্তু কী সেই যোগসূত্র (Viral News)?
ওই অধ্যাপকের দাবি, ডাইনোসরের দেহ থেকে একটি ভাইরাস কোটি কোটি বছর আগেই মানুষের দেহে প্রবেশ করেছিল। আর সেই ভাইরাস কিন্তু এখনও মানবদেহে রয়েই গিয়েছে। অধ্যাপকের দাবি, ওই ভাইরাসের নাম ম্যাভেরিক ভাইরাস (Maverick)। আসলে এই ভাইরাসের বয়স ডাইনোসরের সমসাময়িক। অর্থাৎ এটি কোটি কোটি বছরের পুরনো ভাইরাস (Maverick Virus found in human DNA transmitted from dinosaurs)।
আরও পড়ুন-মহাশিবরাত্রি ২০২২; এই রাশির জাতক-জাতিকারা পাবেন ভগবান শিবের বিশেষ আশীর্বাদ!
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের (Oxford University) অধ্যাপক এরিস দাবি করেছেন যে, প্রাচীন এই ভাইরাস মানুষের শরীরের জিনে লুকিয়ে এখনও মানবদেহে রয়ে গিয়েছে। তিনি আরও বলছেন যে, ভাইরাস মানবশরীরে প্রবেশ করেছে জীবাশ্ম বা ফসিলের মাধ্যমে। বিষয়টিকে ব্যাখ্যা করে এরিসের দাবি, কোনও জীবাশ্মের মধ্যে এই ভাইরাস ছিল। আর মানবশরীর সেই জীবাশ্মের সংস্পর্শে আসার ফলে তা মানুষের দেহে প্রবেশ করেছে। বিজ্ঞানীরা একটি জীবাশ্ম পেয়েছিলেন, যার মধ্যে এই ম্যাভেরিক ভাইরাসের উপস্থিতি মেলে। আবার মানব দেহের জিনের উপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হলে তাতেও এই প্রাচীন ভাইরাসের উপস্থিতির প্রমাণ মেলে।
এই সংক্রান্ত নিজেদের গবেষণাপত্রে অধ্যাপক এরিস এবং তাঁর সঙ্গী জোস গ্যাব্রিয়েল, নিনো ব্যারেট লিখেছেন, ম্যাভেরিক ভাইরাস প্রায় সাড়ে দশ কোটি বছরের পুরনো। শুধু তা-ই নয়, এটা মানুষের শরীরেও বর্তমান। যা সত্যিই চাঞ্চল্যকর। ওই গবেষণাপত্রে আরও দাবি করা হয়েছে যে, মানুষের দেহের জিনে পাওয়া সবথেকে পুরনো ভাইরাস এটিই।
কিন্তু মানুষের উপর এই ভাইরাসের প্রভাব কি আদৌ কোনও প্রভাব রয়েছে? আসলে বর্তমান পরিস্থিতিতে গোটা দুনিয়াই মারণ করোনাভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করছে। মাত্র দু'বছরেই এই ভাইরাসের জেরে উত্তাল হয়েছে গোটা বিশ্ব। যদিও তা ধীরে ধীরে রোধ করা হচ্ছে। আবার এদিকে মানবদেহে অতিপ্রাচীন ম্যাভেরিক ভাইরাসের উপস্থিতির প্রমাণ মেলায় চিন্তায় বিশেষজ্ঞ মহল। তবে জানা যাচ্ছে যে, বছরের পর বছর ধরে ম্যাভেরিক ভাইরাস মানবদেহে উপস্থিত থাকার ফলে তা ভালো ভাবে দেহের সঙ্গে মিলেমিশে গিয়েছে। আর তাই এর কোনও প্রভাব এখনও পর্যন্ত নজরে আসেনি। তবে এই বিষয়টি আরও খুঁটিয়ে দেখতে চান অধ্যাপক এরিস।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Dinosaurs, Viral News