মংপু : রবীন্দ্রনাথ মানেই বাঙালির আবেগ। রবীন্দ্রনাথের জন্মতিথি যেন বাংলার কাছে উৎসব। বাঙালির সুখে-দুখে, প্রেমে-বিরহে আশ্রয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা, গান, তাঁর অসামান্য, অসংখ্য সাহিত্যকীর্তি। তিনি বিশ্বকবি। তার অমর সৃষ্টি কবিতা, গানগুলি আজও ছুঁয়ে যায় সকলের মন। রবীন্দ্রসঙ্গীত আজও মন কেড়ে নেয় সমতল থেকে পাহাড়ের। আজ রবীন্দ্র জয়ন্তীর প্রাক্কালে পাহাড় থেকে নেমে এল রবিঠাকুরের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য। রবীন্দ্রনাথ স্মৃতিধন্য মংপুতে বসে খালি গলায় রবীন্দ্র সঙ্গীত গেয়ে তাক লাগিয়ে দিলেন এক নেপালি যুবক।
দার্জিলিং এর পার্বত্য এলাকায় ছোট্ট জায়গা মংপু। একটা সময় রবীন্দ্রনাথের গ্রীষ্মকালীন ঠিকানা ছিল এই মংপু।রয়েছে রবীন্দ্র ভবন, কবিগুরুর বাড়ি, যার গায়ে লেগে আছে স্মৃতি। কবির ব্যবহৃত চেয়ার, টেবিল-সহ যাবতীয় ছোট-বড় জিনিস স্মৃতির মাধুর্য মেখে মালিন্যের সঙ্গে লড়ছে এই বাড়িতেই। দেখলে মনে হবে এই যেন লিখতে লিখতে উঠে গেলেন কবিগুরু।
দার্জিলিং থেকে পাহাড়ি পথ ধরে নেমে যেতে হয় নিচের দিকে। একটি সূত্র বলে, রবীন্দ্রনাথ আগে এই পাহাড়ি রাস্তা ধরেই পালকিতে চেপে যেতেন। সেই পালকি বাহকদেরই এক উত্তরসূরী আজও রবীন্দ্র ভবনের দেখাশোনা করেন। গাইডের কাজ করেন। এই জায়গাতে যেমন পর্যটকদের ভিড় লেগে থাকে প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য, তেমনই লেগে থাকে রবীন্দ্রপ্রেমীদের ভিড়।
সেই রবীন্দ্র ভবনের সামনেই এক নেপালি যুবককে রবীন্দ্র সংগীত চর্চা করতে দেখা গেল। তার কথায় বাংলাভাষার জড়তা স্পষ্ট। তবুও অতি দক্ষতার সঙ্গে যুবক পরিবেশন করেছেন রবীন্দ্র সঙ্গীত। গান শুনে থমকে যাচ্ছেন পথচলতি পর্যটকরা।
যদিও ক্যামেরার সামনে নিজের নাম, পরিচয় বলতে চাননি ওই যুবক। তবে স্থানীয়রা বলেন, ওই যুবক প্রায়ই রবীন্দ্রভবন চত্বরে এসে সময় কাটান। নিজের মনে গাইতে থাকেন রবীন্দ্রনাথের গান। নেপালি যুবকের রবীন্দ্রনাথের প্রতি এই ভালবাসা আবারও প্রমাণ করে দেয় তিনি বিশ্বকবি। সবার হিয়ার মাঝেই তাঁর অপার যাতায়াত।
নয়ন ঘোষ
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Darjeeling, Rabindrasangeet