পার্থপ্রতিম সরকার, শিলিগুড়ি: আগামী মাসেই পাহাড় নিয়ে দিল্লিতে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শা তেমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন। বুধবার কালিম্পংয়ে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে এসে একথা বলেন দার্জিলিংয়ের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা।
মে মাসের শেষ সপ্তাহেও হতে পারে। তবে এখনও দিনক্ষণ চূড়ান্ত হয়নি। পাহাড় নিয়ে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের দাবি দীর্ঘদিন ধরেই জানিয়ে আসছে বিরোধীরা। সম্প্রতি বিনয় তামাংও দাবি করেন, জুনেই হবে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক। মূলত পাহাড়ের স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধানের সূত্রের খোঁজেই ত্রিপাক্ষিক বৈঠক। সঙ্গে পাহাড়ের ১১ জনজাতি গোষ্ঠীর তফশিলি উপজাতির স্বীকৃতি আদায়– এই দুই ইস্যুতেই পাহাড়ে লড়ছে বিরোধীরা।
আরও পড়ুন- সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে কলকাতার শেরিফ করার দাবি বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের
পৃথক রাজ্য গোর্খাল্যান্ড নিয়ে কেন্দ্রের কী স্ট্যান্ড, তাও জানতে চায় পাহাড়ের বিরোধীরা। কারণ পরপর তিন তিনবার লোকসভা নির্বাচনে এই গোর্খাল্যান্ডের জিগির তুলেই আসনটি জিতে নেয় গেরুয়া শিবির। কিন্তু বাস্তবে দুই দাবির একটিও বাস্তবায়িত হয়নি। বুধবার রোশন গিরিকে সঙ্গে নিয়ে দিল্লি রওনা হন বিমল গুরুং। যদিও এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই বলে দাবি গুরুংয়ের। আর গুরুং ও গিরির দিল্লি সফর রাজনৈতিকভাবে যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
আরও পড়ুন– বাবা জুট মিলের সাধারণ কর্মী, ছেলের নয়া আবিষ্কারে গর্বিত গোটা জেলা
গুরুংয়ের দাবি, দলের সাংগঠনিক সভা করতেই এই সফর। আপাতত তিনি যেমন তৃণমূলের সঙ্গেও দূরত্ব বাড়িয়ে রয়েছেন, তেমনি বিজেপির সঙ্গেও নেই। ২৪-এর নির্বাচনের আগে তাদের দাবিকে যারা সমর্থন জানাবে, সেই রাজনৈতিক দলের পাশেই থাকবে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। বিমলের দাবি, আপাতত মোর্চা ধীরগতিতে চলছে। আগামীতে নজর রাখতে হবে তাদের দিকেও। অন্যদিকে গুরুংয়ের দিল্লি সফর নিয়ে রাজু বিস্তার দাবি, উনি কি আমাকে জানিয়ে দিল্লি গিয়েছেন? উনি যেতেই পারেন। এদিন গুরুং জিটিএ এবং দার্জিলিং পুরসভা নিয়েও একাধিক অভিযোগ করেন। ক্ষমতায় এসেও পাহাড়ের উন্নয়নমূলক কাজ কিরেনি বিজিপিএম। আগামী নির্বাচনে পাহাড়ের মানুষ ব্যলটে তার জবাব দেবে বলে দাবি গুরুংয়ের।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।