#রকি চৌধুরি, মালবাজার: মালবাজার ব্লকের তারঘেরা জঙ্গলে গুরুতর আহত হল দাঁতাল হাতি। পাঞ্জা লড়ছে মৃত্যুর সঙ্গে। বিনা চিকিৎসায় ঘুরে বেড়াচ্ছে কখনও রাস্তায়, কখনও বা ফাঁকা জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকছে আহত হাতিটি। প্রশ্নের মুখে বনদফতরের ভূমিকা। হাতিটির শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন পরিবেশপ্রেমীরা।
বৈকন্ঠপুর ডিভিশনের অন্তর্গত তারঘেরা রেঞ্জের জঙ্গলে বেশ কয়েকদিন থেকেই আহত অবস্থায় হাতিটিকে ঘুরে বেড়াতে দেখছেন এলাকাবাসী থেকে পর্যটকরা। হাতিটির পিছনের বাঁ পায়ে গভীর আঘাত রয়েছে। যার ফলে খুরিয়ে খুরিয়ে হাঁটছে হাতিটি। পরিবেশপ্রেমীদের দাবি, দাতাল হাতিটির পেছনের বাঁ পা কোনো ভেঙে গিয়েছে হয়তো। অনেকেই মনে করছেন, গাড়ির ধাক্কায় আহত হয়ে থাকতে পারে হাতিটি।
আরও পড়ুন- দার্জিলিংয়ে অন্য মেজাজে জগদীপ ধনখড়, শৈলশহরে "জয় রাইড" সস্ত্রীক রাজ্যপালের!
পিছনের ভাঙা বাঁ পা নিয়েই ব্যথায় কাতরাচ্ছে পূর্ণবয়স্ক দাঁতাল হাতিটি। ব্যথার কারণে বারবার ফাঁকা জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকছে সেটি। কখনও আবার রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকছে। দু-একবার পাকা রাস্তার উপরও দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে হাতাটিকে। দ্রুত চিকিত্সার ব্যবস্থা না হলে পর্ণবয়স্ক হাতিটির মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে। যদিও বনদফতরের তরফে এখনো আহত হাতির চিকিৎসার ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ হয়নি বলে অভিযোগ।
এদিকে অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছে মাল স্কোয়াডের রেঞ্জার দীপেন সুব্বা। তিনি বলেন, আমাদের মাল স্কোয়াডের রেঞ্জের অন্তর্গত এলাকা হলেও তারঘেরা রেঞ্জের বনকর্মীরা নজরদারি চালাচ্ছেন। সেটিকে দেখতে পেলেই আমাদেরকে খবর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এখনো হাতিটির চিকিৎসা শুরু করা সম্ভব হয়নি। চিকিৎসা করতে হলে ট্রাংকুলাইজ করার প্রয়োজন রয়েছে হাতিটিকে। দেখা পেলেই সেটি করা হবে। তার পরই চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে।
পরিবেশপ্রেমী সংগঠন ন্যাসের কর্মকর্তা নফসর আলী বলেন, ''হাতিটির আহত অবস্থায় ঘুরে বেড়ানোর খবর পেয়ে আমরা গিয়েছিলাম। গিয়ে দেখতে পাই হাতিটির পিছনের বাঁ পা ভাঙা রয়েছে। এমনকী গ্যাংরিন হয়ে থাকতে পারে। বনদপ্তরকে আমরা জানিয়েছি। তবে এখনো পর্যন্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়নি। দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা না হলে হাতিটির মৃত্যু হতে পারে।''
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Elephant, Forest Department, Malbazar, North Bengal