#কোচবিহার: একই পরিবারের তিনজনের মৃত দেহ উদ্ধার হল কোচবিহারে। গুঞ্জবাড়ি এলাকায় একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন স্বামী স্ত্রী সন্তান। কোতোয়ালি থানার পুলিশ বৃহস্পতিবার দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে তিন জনের দেহ উদ্ধার করেছে। পুলিশ জানায় স্বামীর দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল। স্ত্রী ও সন্তানের দেহ ছিল মেঝেতে৷ প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে কোচবিহারের এবিএন শীল কলেজের কর্মী ছিলেন মৃত ব্যাক্তি। তার আদিবাড়ি দিনহাটার গোসানিমারী এলাকায়। গত জানুয়ারি মাস থেকে এই বাড়িতে ভাড়া থাকত এই পরিবার। কারও সঙ্গে মেলামেশা করত না। মঙ্গলবারের পর ঘরের বাইরে দেখা যায়নি তাদের। এদিকে পরিবারের লোকেরা ফোনে যোগাযোগ করতে না পারলে খোঁজ শুরু করে। বুধবার তদন্তে নেমে পুলিশ একই পরিবারের তিনজনের দেহ উদ্ধার করে৷ মৃত্যুর পেছনে কী কারণ, তা অবশ্য এখনও স্পষ্ট নয়।
রেনুকাকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেন মৃতের দাদা বিশু বাদ্যকর। তাঁর অভিযোগ, ''অন্য মেয়ের সঙ্গে জামাই সমীরের অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। সম্পর্কের কথা জানার পর আমার বোন প্রতিবাদে সরব হয়েছিল। এর জন্য আমার বোনকে প্রায় মারধোর করা হত। পথের কাঁটা সরাতেই বোনকে হত্যা করা হয়েছে।'' বুধবার রাতে বাপের বাড়ির পক্ষ থেকে পাণ্ডবেশ্বর থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয় ।
আরও পড়ুন: এত বড় নেতা কারা দেখি? হাওড়ায় রুদ্রমূর্তি মমতা! যে প্রসঙ্গে এত রুষ্ট মুখ্যমন্ত্রী...
আরও পড়ুন: 'দলের বিলুপ্তি অবশ্যম্ভাবী...', আরও বড় 'বিস্ফোরণের' ইঙ্গিত দিলেন তথাগত রায়!
লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পাণ্ডবেশ্বর থানার পুলিশ রেনুকার শ্বশুরবাড়ি থেকে রেনুকার স্বামী সমীর বাদ্যকর সহ তিন জনকে গ্রেফতার করে আজ দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক পাঁচদিনের পুলিশ হেফাজত ও বাকি তিন জনের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Suicide case, West Bengal news