উত্তরবঙ্গঃ উত্তরবঙ্গে স্নাতকস্তরে ‘ড্রপ আউট’ হার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল রাজ্য বিধানসভার উচ্চ শিক্ষা বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির রিপোর্ট। তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পরে রাজ্যে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা অনেকটাই বেড়েছে। তবুও এই ‘ড্রপ আউটের’ হারে বৃদ্ধি যথেষ্ট চিন্তায় ফেলেছে শিক্ষা দফতরকে।
বিভিন্ন সময় রাজ্য সরকার সাফল্য পেয়েছে শিক্ষাক্ষেত্রে। কিন্তু বিধানসভার স্ট্যান্ডিং কমিটির সাম্প্রতিকতম রিপোর্টে সেই সাফল্য নিয়ে একগুচ্ছ প্রশ্ন উঠছে। উত্তরবঙ্গের চার জেলা কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, দার্জিলিং এবং কালিম্পংয়ের কলেজ- বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন করে বাজেট অধিবেশনের আগেই সংশ্লিষ্ট কমিটি এই রিপোর্ট জমা দিয়েছে । রিপোর্টে শুধু ‘ড্রপ আউট’ না, শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী এবং পরিকাঠামোর অভাব নিয়েও বিস্তরভাবে কথা বলা হয়েছে। বিধানসভায় সরকার পক্ষের উপমুখ্যসচেতক তাপস রায় বলেছেন যে ১০-১২ বছরে শিক্ষাক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য কাজ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার। এবারও স্ট্যান্ডিং কমিটির সুপারিশও যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েও দেখা হবে নিশ্চয়।
আরও পড়ুনঃ সন্তান প্রসবের পরে 'লেবার রুম' ছেড়েই জীবন বিজ্ঞান পরীক্ষা! মাধ্যমিকে চমকে দিলেন পরীক্ষার্থী 'মা'
ওই রিপোর্টে অনুযায়ী, স্নাতক স্তরের আগেই এই ‘ড্রপ আউট’ বড় সমস্যাগুলির মধ্যে অন্যতম। এই সমস্যার কারণ হিসেবে কমিটি থেকে বলেছে যে আর্থিক কারণেই মূলত ছাত্রদের একটি বড় অংশ পড়া ছেড়ে জীবিকা-সন্ধানের কাজে নামতে একপ্রকার বাধ্য হচ্ছে। আর ছাত্রীদের জন্য কলেজের দূরত্ব এবং বিয়ের কারণেই এই পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে বলে মনে করছে কমিটি। কমিটি অবশ্য রিপোর্টে বলেছে যে এই আর্থ-সামাজিক সমস্যার সমাধান করা একবারে সম্ভব নয়। তবে সেটা দূর করতে শেষ কয়েক বছরে রাজ্য সরকার তরফ থেকে সব রকম চেষ্টা করছে বলেও মন্তব্য করা হয়েছে ওই রিপোর্টে।
আরও পড়ুনঃ গণ্ডারের পর এবার পর্যটকদের পথ আটকাল দাঁতাল! রক্ষা করল কুনকি হাতি! দেখুন রুদ্ধশ্বাস ভিডিওস্ট্যান্ডিং কমিটির রিপোর্টে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যাবৃদ্ধির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তবে তা হলেও প্রয়োজনীয় সংখ্যক শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীর অভাবের কথা উল্লেখ করে হয়েছে রিপোর্টে। সেই শূন্যস্থান পূরণের কথা বলা হয়েছে। পরিদর্শনে গিয়ে কলেজে-বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাসঘর, লাইব্রেরির মতো অন্যান্য সহায়ক ও আবশ্যিক কিছু বিষয়ের অভাবও দেখেছে কমিটি।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।