Primary Scam: গোটা এলাকা ভুগছে চাকরি হারানোর ভয়ে, বাগদা রঞ্জন গ্রেফতার হতেই শুরু আতঙ্ক

Last Updated:

Primary Scam: এলাকার অধিকাংশ মানুষের চাকরি পিছনে চন্দন মন্ডলের নাম রয়েছে। এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসল।

এলাকায় আতঙ্ক!
এলাকায় আতঙ্ক!
উত্তর ২৪ পরগনা: বাগদার চন্দন মণ্ডলের এই কারবার বহুদিনের, প্রথমের দিকে টাকার অঙ্ক কম হলে পরে চাকরির জন্য লক্ষ লক্ষ টাকা তুলেছেন, এলাকায় কত মানুষকে যে তিনি চাকরি দিয়েছে সেই পরিসংখ্যান সঠিকভাবে কেউ বলতে না পারলেও, যদি সকলের চাকরি যায় তাহলে হাহাকার পরে যাবে বলে এলাকাবাসীদের দাবি। চন্দন মন্ডলের বাড়ি আসত প্রভাশালীরা, এমনকি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরভাই কার্তিক ব্যানার্জিও এসেছিলেন বলে জানান স্থানীয়রা। এলাকার অধিকাংশ মানুষের চাকরি পিছনে চন্দন মন্ডলের নাম রয়েছে। এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসল।
প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার চন্দন মণ্ডলের ৪ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। প্রসঙ্গত, শিক্ষক-নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে রঞ্জন-বোমাটি প্রথম ফাটিয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা সিবিআইয়ের প্রাক্তন যুগ্ম অধিকর্তা উপেন বিশ্বাস। এরপর আইনজীবীরা হাই কোর্টে জানান, উপেন-কথিত রঞ্জন আদতে উত্তর ২৪ পরগনা বাগদার মামাভাগনে গ্রামের বাসিন্দা চন্দন মণ্ডল।
তারপরই এই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রয়োজনে চন্দনকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে পারবে সিবিআই। সৌমেন নন্দী নামে এক চাকরিপ্রার্থী প্রাথমিকে নিয়োগ-কেলেঙ্কারি নিয়ে মামলা করেছিলেন। সেখানে ৮৭ জনকে ­­­­বেআইনি ভাবে নিয়োগ করা হয়েছে বলে তুলে ধরা হয়। সেই মামলাতেই এবার সিবিআই হেফাজতে বাগদার চন্দন মণ্ডল।
advertisement
advertisement
ইউটিউব ভিডিওয় উপেন বিশ্বাস দাবি করেছিলেন, এলাকায় লোকে রঞ্জনকে ‘সৎ’ বলে মানেন। কারণ, তিনি নাকি টাকা নিয়ে চাকরি দেননি, এমনটা হয়নি। চাকরি না দিতে পারলে সুদ-সহ টাকা ফিরিয়ে দিয়েছেন, এমন উদাহরণও আছে। তিনি ‘গোপনীয়তার স্বার্থে’ রঞ্জনের আসল নাম ভিডিও টিতে না জানালেও পরে প্রকাশ্যে আসে চন্দনের নাম। ভিডিওটিতে উপেনবাবু দাবি করেছিলেন, প্রাথমিকে ১০ লক্ষ, উচ্চ প্রাথমিকে ১৫ লক্ষ, হাইস্কুলের চাকরি ১৮-২০ লক্ষ টাকায় পাইয়ে দিতেন রঞ্জন। এলাকায় গিয়ে জানা গিয়েছে, লক্ষ লক্ষ টাকা তাঁর হাত দিয়ে আদানপ্রদান হত।
advertisement
আদালতে অভিযুক্তের জামিনের আবেদন জানিয়ে তাঁর আইনজীবী বিচারককে জানান, চন্দন মণ্ডল একজন শিক্ষক, সেইসঙ্গে চাষের কাজও করেন। স্থানীয় একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি (প্রাক্তন সিবিআই কর্তা উপেন বিশ্বাস) ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরে চন্দনের বিরুদ্ধে বদনাম রটান। এদিন আরও ৫ জন এজেন্টকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই বলেই জানা গিয়েছে। চন্দনের এর গ্রেফতারের পরই বাগদার মানুষ প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে এর পেছনে রয়েছে আরও বড় কারও হাত, প্রশাসনের উচিত তাদের খুঁজে বার করা।
advertisement
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিপুল টাকা নেওয়ার অভিযোগে বাগদার রঞ্জন ওরফে চন্দন মন্ডলকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। তবে চন্দন মন্ডলের বাড়িতে এদিন লক্ষ করা গেল তার কেউ নেই। পাশাপাশি তার বাড়িতে সিবিআই এর তরফ থেকে একটি নোটিশ ঝোলানো রয়েছে, যেখান উল্লেখ করা আছে যে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য সিবিআই দফতরে আসতে হবে। তবে এলাকাবাসীর অনেকেরই মত, এই টাকা চন্দন একা নেয় নি, চন্দন এই টাকা নিয়ে পৌছে দিত। বিনিময়ে চাকরি পেত যারা টাকা দিত। চন্দন মন্ডল গ্রেফতার হওয়া নিয়ে কেউ চিন্তিত নয়, তারা দেখেতে চান এর আগে যারা উপর মহলে বসে আছেন, যাদের অনেকেই গ্রেফতার হয়েছে তাদের কি হয়। তবে এই গ্রেপ্তারের খবর জানতেই এলাকা জুড়ে এক নিস্তব্ধতা গ্রাস করেছে, কারণ চাকরি গেলে বহু মানুষ কাজ হারাবেন।
advertisement
-----Rudra Narayan Roy
view comments
বাংলা খবর/ খবর/উত্তর ২৪ পরগণা/
Primary Scam: গোটা এলাকা ভুগছে চাকরি হারানোর ভয়ে, বাগদা রঞ্জন গ্রেফতার হতেই শুরু আতঙ্ক
Next Article
advertisement
Maharashtra Doctor Death Update: কী চলত সরকারি হাসপাতালে, কেন নিজেকে শেষ করে দিলেন মহারাষ্ট্রের তরুণী চিকিৎসক? বিরাট কেলেঙ্কারি ফাঁস
কী চলত সরকারি হাসপাতালে,কেন নিজেকে শেষ করলেন মহারাষ্ট্রের তরুণী চিকিৎসক? কেলেঙ্কারি ফাঁস
  • মহারাষ্ট্রে তরুণী চিকিৎসকের আত্মহত্যার ঘটনায় এবার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলল নির্যাতিতার পরিবার৷ মৃতার এক সম্পর্কিত ভাইয়ের অভিযোগ, ওই চিকিৎসককে ময়নাতদন্তের ভুয়ো রিপোর্ট তৈরি করতে বাধ্য করা হত৷

VIEW MORE
advertisement
advertisement