উত্তরপ্রদেশ: 'টিকিট কেটে রাখুন! ২০২৪-এর ১ জানুয়ারিই খুলবে অযোধ্যার নবনির্মিত রামমন্দির'। গুজরাত নির্বাচনের আগেই এই আশ্বাস দিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সোমবার নিউজ ১৮-এর সঙ্গে এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে আরও একবার শাহের বার্তাতেই সিলমোহর লাগালেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।
বলেন, "যা সময়সীমা দেওয়া হয়েছে। সেই মতোই মন্দির নির্মাণের কাজ এগোচ্ছে। সময়মতোই নিজের মন্দিরে অধিষ্ঠিত হবেন রামলালা।" যোগী জানান, মন্দির নির্মাণ সম্পূর্ণ হওয়ার পরে মন্দির কর্তৃপক্ষ যেমন সিদ্ধান্ত নেবেন সেই দিন থেকেই দর্শন শুরু হয়ে যাবে।
প্রসঙ্গত, চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির প্রচারের অন্যতম প্রধান বিষয় হয়ে উঠতে চলেছে নবরূপে রামন্দিরের এই উদ্বোধন। তাই, মন্দির নির্মাণের কাজও চলছে জোরকদমে। গুরুভার দেওয়া রয়েছে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কাঁধে।
অন্যদিকে, এদিনের সাক্ষাৎকারে আরও একটি বিতর্কিত বিষয় নিয়েও মন্তব্য করতে দেখা যায় যোগী আদিত্যনাথকে। কদিন আগেই তুলসীদাস রচিত 'রামচরিত মানস' নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছিলেন সমাজবাদী পার্টির দাপুটে নেতা স্বামী প্রসাদ মৌর্য।
রামচরিত মানস নিয়ে মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন বিহারের শিক্ষামন্ত্রী তথা আরজেডি নেতা চন্দ্রশেখর। তাঁর দাবি ছিল, এই গ্রন্থে দলিত শ্রেণির মানুষকে হেয় করা হয়েছে। এধরনের মন্তব্য নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছিল উত্তরপ্রদেশ রাজনীতিতে।
এরপরেই তা নিয়ে সরব হন দলিত নেত্রী মায়াবতী। তিনি বলেন, "সংবিধানই আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় গ্রন্থ, রামচরিত মানস নয়।" অন্যদিকে, সপা নেতা অখিলেশ যাদবের মন্তব্য, "অম্বেদকরই সবচেয়ে বড়।"
আরও পড়ুন: ভারতকে $5 ট্রিলিয়ন অর্থনীতিতে পৌঁছে দিতে বিরাট ভূমিকা নেবে উত্তরপ্রদেশ : যোগী আদিত্যনাথ
এদিনের সাক্ষাৎকারে এ বিষয়ে যোগী আদিত্যনাথকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, "উন্নয়নে যাঁদের কোনও ভূমিকা নেই। যাঁরা শুধুমাত্র বিভাজনের রাজনীতিতে বিশ্বাস করেন, তাঁরা রাজ্যের উন্নয়নের দিক থেকে নজর অন্যদিকে ঘোরাতেই এই ধরনের মন্তব্য করেন।" তাঁর মতে, ঐক্যবদ্ধ সমাজ গড়ে তোলার শিক্ষা দেয় রামচরিত মানস। যাঁরা, এমন গ্রন্থ নিয়ে আলটপকা মন্তব্য করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন একাধিক বিষয় নিয়ে সপা, কংগ্রেসের মতো বিরোধী দলকে আক্রমণ করতে দেখা যায় যোগীকে। যোগী বলেন, "কংগ্রেস দেশে বিভাজনের রাজনীতি করে। ভারতবর্ষে ভারত জোড়ো যাত্রার কোনও প্রভাব নেই।" একই সঙ্গে তাঁর মন্তব্য,রাহুল গান্ধি যদি নিজের নেতিবাচক মানসিকতা ত্যাগ করতে পারেন, তবেই কংগ্রেসের আসল লাভ হবে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।