#নয়াদিল্লি: এই সুতীব্র গরমের শুরুতেই ঘেমে নেয়ে নাজেহাল মানুষ। তার মধ্যে কোভিড বিধি (Covid-19 Pandemic) মানতে গিয়ে মাস্ক পরে থাকায় আরোই হাঁসফাঁস করছেন অনেকে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, গ্রীষ্মের এই সময়ে এবং কোভিড-১৯ সংক্রমণ যখন কম তখন অন্তত স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যে মাস্কের ব্যবহার (Side Effects of Mask) শিথিল করা উচিত। মাস্ক (Skin Problems For Using Mask) পরার ফলে ত্বকে লালচেভাব এবং ফুসকুড়ি যেমন বাড়ছে, কমে যাচ্ছে একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করার ক্ষমতা, মনোযোগ কমছে এবং স্বাভাবিক শ্বাস প্রশ্বাসও ব্যহত হচ্ছে। ভাইরাসের প্রকোপ যখন কমেইছে, স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মত, এই সময় কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত শিশুদের জন্য মাস্কের ব্যবহার (Side Effects of Mask) বাধ্যতা শিথিল করা।
আরও পড়ুন- স্কুলছুটদের ফেরাতে ফের শুরু হোক মিড ডে মিল, কেন্দ্রকে অনুরোধ সোনিয়া গান্ধির!
নির্দেশিকা
জানুয়ারিতে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকাশিত নির্দেশিকা অনুসারে, ৫ বছর বা তার কম বয়সী শিশুদের জন্য মাস্ক পরার দরকার নেই। মা-বাবা/অভিভাবকের সরাসরি তত্ত্বাবধানে শিশুর নিরাপদে এবং যথাযথভাবে মাস্ক ব্যবহার করার ক্ষমতার উপর নির্ভর করে ৬-১১ বছর বয়সী শিশুরা মাস্ক (Side Effects of Mask) পরতে পারে বলে জানানো হয়েছে ওই নির্দেশিকায়। ১২ বছর বা তার বেশি বয়সী শিশুদের প্রাপ্তবয়স্কদের মতোই মাস্ক পরতে হবে।
যদিও সরকারি নিয়মে ১২ বছর বা তার বেশি বয়সী শিশুদের জন্য সবসময় মাস্ক ((Side Effects of Mask)) পরা বাধ্যতামূলক (Side Effects of Mask), অনেক স্কুলই ৬-১১ বয়সের বাচ্চাদেরও মাস্ক পরে থাকার বিষয়ে জোর দিচ্ছে। “এটা চিকিৎসাবিজ্ঞানের ক্ষেত্রে একেবারেই সত্য যে সমস্ত কিছুর সুপ্রভাব রয়েছে এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও রয়েছে,” বলেন গুরগাঁওয়ের মেদান্ত হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক্স বিভাগের সহযোগী পরিচালক ডঃ মনিন্দর সিং ধালিওয়াল।
তিনি বলেন, মাস্ক পরতে পরতে লালা, ঘাম এবং আর্দ্র বাষ্পের কারণে মুখের চারপাশের ত্বকের সংক্রমণ, ফুসকুড়ি এবং লালভাব সহ পেরিওরাল ডার্মাটাইটিস দেখা দিতে পারে। ব্যাকটেরিয়াও জন্ম নিতে পারে ত্বকে।
আরও পড়ুন- সাফাইয়ে গড়িমসি, নোংরা নর্দমায় ঝাঁপ দিলেন আপ কাউন্সিলর! দুধ দিয়ে স্নান সমর্থকদের
তাঁর মতে, জেলায় জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা বা মহামারীর বৃদ্ধির ভিত্তিতে মাস্ক পরার নির্দেশ (Mask Using Guidelines) ফিরিয়ে আনা যেতে পারে।
সায়েন্সডাইরেক্টে প্রকাশিত একটি আলোচনায় মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ম্যানফ্রেড স্পিটজার বলেন, “মুখের নীচের অর্ধেক ঢেকে রাখলে ব্যাক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করার, ব্যাখ্যা করার এবং অনুকরণ করার ক্ষমতা হ্রাস পায়।”
মহামারী বিশেষজ্ঞ এবং জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডাঃ চন্দ্রকান্ত লাহারিয়ার বিশ্বাস, ভারতে কোভিড-১৯ বিধিনিষেধের সংশোধন প্রয়োজন যাতে সমস্ত স্কুল পড়ুয়াদের জন্য মাস্ক পরার ‘বাধ্যবাধকতা’ রাখা যাবে না। “যখন প্রাপ্তবয়স্করাই ঠিকঠাক মাস্ক পরছেন না, কেন বাচ্চাদের সেগুলো পরতে বাধ্য করা হচ্ছে,” প্রশ্ন তোলেন তিনি। তিনি জানান, “দীর্ঘদিন ধরে N95 মাস্ক ব্যবহার করলে মুখোশের ভিতরে কার্বন মনোক্সাইড এবং কার্বন ডাই অক্সাইড উচ্চ মাত্রায় বৃদ্ধি পায়, যা শিশুদের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে।” শিশুরা বিভিন্ন খেলাধুলো এবং অন্যান্য কাজে যুক্ত হওয়ার জন্যও স্কুলে যায়। যখন তারা খেলছে বা ভারী কোনও শারীরিক কার্যকলাপে যুক্ত রয়েছে তখন মাস্ক না পরাই উচিত,” বলেন চন্দ্রকান্ত লাহারিয়া।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Corona Pandemic, Coronavirus covid-19, N95 Mask, Skin problem