রাশিয়ার থেকে S-400, আমেরিকার থেকে...এভাবেই 'বন্ধুত্ব' পোক্ত করছে ভারত, অস্ত্র কি অর্থনীতিই?

Last Updated:

ভারত রাশিয়া থেকে S-400 কিনে বন্ধুত্ব জোরদার করছে এবং আমেরিকা থেকে অপরিশোধিত তেল আমদানি করে অর্থনৈতিক ভারসাম্য রক্ষা করছে। ২০২৫ সালের মধ্যে ভারত-আমেরিকা বাণিজ্য চুক্তি হতে পারে?

ভারত এখন কূটনীতির টেবিলে শুধু বন্ধুত্ব নয়, অর্থনীতিকেও একটি শক্তিশালী অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে। একদিকে রাশিয়া থেকে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম, বিশেষ করে S-400 ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কিনে বন্ধুত্ব জোরদার করছে; অন্যদিকে আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্কের ভারসাম্য রাখতে বড় মাপের অপরিশোধিত তেল আমদানি করছে।
ভারত এখন কূটনীতির টেবিলে শুধু বন্ধুত্ব নয়, অর্থনীতিকেও একটি শক্তিশালী অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে। একদিকে রাশিয়া থেকে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম, বিশেষ করে S-400 ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কিনে বন্ধুত্ব জোরদার করছে; অন্যদিকে আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্কের ভারসাম্য রাখতে বড় মাপের অপরিশোধিত তেল আমদানি করছে।
২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত মাত্র চার মাসে ৬.৩১ মিলিয়ন টন অপরিশোধিত তেল আমদানি করেছে ভারত আমেরিকা থেকে, যেখানে ২০২৪ সালের ওই একই সময়ে এই পরিমাণ ছিল মাত্র ১.৬৯ মিলিয়ন টন। অর্থাৎ বার্ষিক হিসেবে ২৭০ শতাংশ বৃদ্ধি। এর ফলে ভারতের মোট অপরিশোধিত তেল আমদানিতে আমেরিকার অংশ ২ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ৭ শতাংশ।
ভারত এখন কূটনীতির টেবিলে শুধু বন্ধুত্ব নয়, অর্থনীতিকেও একটি শক্তিশালী অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে। একদিকে রাশিয়া থেকে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম, বিশেষ করে S-400 ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কিনে বন্ধুত্ব জোরদার করছে; অন্যদিকে আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্কের ভারসাম্য রাখতে বড় মাপের অপরিশোধিত তেল আমদানি করছে।
advertisement
advertisement
🔹 S-400 নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে দৃঢ় সম্পর্ক
রাশিয়ার সঙ্গে ২০১৮ সালে ৫টি স্কোয়াড্রনের S-400 কেনার জন্য ৪০ হাজার কোটি টাকার চুক্তি করেছিল ভারত। ইতিমধ্যেই ৩টি স্কোয়াড্রন ভারতে এসে পৌঁছেছে। এই চুক্তি আমেরিকার আপত্তি সত্ত্বেও ভারতের কৌশলগত অবস্থানকে তুলে ধরে।
advertisement
🔹 দ্বিমুখী কূটনৈতিক কৌশল: রাশিয়াও, আমেরিকাও
বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারত তার শক্তিশালী বাজার ও অর্থনীতিকে কৌশলগতভাবে ব্যবহার করছে। একদিকে আমেরিকার কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ তেল কেনার মাধ্যমে ট্রেড ডেফিসিট কমানো, অন্যদিকে রাশিয়ার সঙ্গে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা অক্ষুণ্ণ রাখা— এই দু’টোই ভারতের আন্তর্জাতিক ভারসাম্য রক্ষার অংশ।
🔹 মার্কিন বাজারের দরজা খুলছে ভারত?
২০২৫ সালের ৯ জুলাইয়ের মধ্যে ভারত-আমেরিকার মধ্যে একটি বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন হতে পারে বলে আলোচনা চলছে। সেখানে ভারতকে আমেরিকার গাড়ি, প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম এবং কৃষিজ পণ্যের জন্য বাজার খুলে দিতে হতে পারে।
advertisement
এপ্রিল ২০২৫-এ ভারতের মোট আমদানি ১৯% বেড়েছে, কিন্তু শুধু আমেরিকা থেকেই আমদানি বেড়েছে ৬৩%। এতে ভারতের আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্য উদ্বৃত্তও কিছুটা কমেছে — ৩.৪ বিলিয়ন ডলার থেকে এসে দাঁড়িয়েছে ৩.১ বিলিয়ন ডলার।
🔸 পশ্চিম এশিয়ার অস্থিরতা, ভারতের ‘বিকল্প’ খোঁজ
ভারত তার মোট অপরিশোধিত তেল চাহিদার ৮৮ শতাংশই আমদানি করে। পশ্চিম এশিয়ার রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে মার্কিন তেলকে বিকল্প উৎস হিসেবে দেখা হচ্ছে, যাতে জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়।
advertisement
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও প্রকাশ্যে বলেছিলেন, আমেরিকা চায় ভারত হোক তাদের জ্বালানি পণ্যের বড় গ্রাহক। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে ট্রাম্প বলেছিলেন,
“আমেরিকা ভারতকে তেল ও গ্যাস সরবরাহে বড় ভূমিকা নিতে চায়।”
বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
রাশিয়ার থেকে S-400, আমেরিকার থেকে...এভাবেই 'বন্ধুত্ব' পোক্ত করছে ভারত, অস্ত্র কি অর্থনীতিই?
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement