হোম /খবর /দেশ /
কাজ খুঁজতে গিয়ে সাফ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট! চিনা ওয়েবসাইটের ফাঁদে বরবাদ কয়েক হাজার

Cyber Crime: কাজ খুঁজতে গিয়ে সাফ হয়ে যাচ্ছে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, ইন্টারনেটে-র জালে চিনা ওয়েবসাইটের পর্দাফাঁস

লকডাউনের সময় খুব বেশি করে জাল ছড়িয়েছিল এই চক্র। সেই সময় করোনার কারণে অনেকেই কাজ হারিয়েছিলেন। তাছাড়া বাইরে বেরিয়ে কাজ করারও উপায় ছিল না। মানুষ পাগলের মতো বাড়িতে কাজ করার উপায় খুঁজছিলেন। মানুষের সেই অসুবিধাকেই কাজে লাগায় এই দুষ্কৃতীরা।

আরও পড়ুন...
  • Share this:

নয়াদিল্লি: ইন্টারনেটে বড়সড় চক্রের পর্দাফাঁস করল দিল্লি পুলিশ। 'ওয়ার্ক ফ্রম হোমে'র কাজ দেওয়ার নামে কয়েকশো কোটি টাকার জালিয়াতি। অপরাধের শিকড় খুঁজতে খুঁজতে গিয়ে পৌঁছল চিনে।

শুধু চিনই নয়, দিল্লি পুলিশ সূত্রের খবর, আন্তর্জাতিক এই জালিয়াতি চক্রের মূল পাণ্ডা নাকি বসে রয়েছে জর্জিয়াতে। সেখান থেকেই মিডলম্যানের মাধ্যমে চলছে বিশ্বজোড়া জালিয়াতির কারবার।

আরও পড়ুন: বড় খবর! পঞ্চায়েত ভোটের আগেই নয়া শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি! তোড়জোড় শুরু স্কুল শিক্ষা দফতরে

এই নেট জালিয়াতদের ফাঁদে পড়ে ২০২২ সালে লক্ষাধিক টাকা হারান দিল্লির এক মহিলা। সেই বছরই ২৬ সেপ্টেম্বর বিষয়টি নিয়ে ন্য়াশনাল সাইবার ক্রাইম পোর্টালে অভিযোগ জানান তিনি। ওই মহিলারই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করতে শুরু করেছিল দিল্লি পুলিশ। আর তখনই কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে সামনে আসে কেউটে।

দেখা যায়, কোনও এক চিনা সংস্থা হুবহু অ্যামাজনের মতো একটি ভুয়ো ওয়েবসাইট বানিয়েছে। সেখানেই টোপ দেওয়া হচ্ছে ওয়ার্ক ফ্রম হোম-এর লোভনীয় চাকরির। চাকরির আবেদন করতে গেলেই দিতে হচ্ছে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের খুঁটিনাটি তথ্য। আর তারপর সেই তথ্য কাজে লাগিয়েই অ্যাকাউন্ট সাফ করে দিচ্ছে বিদেশে বসে থাকা দুষ্কৃতী।

আরও পড়ুন: 'এঁরা ফিতে নিয়ে জমিতে ঘুরুন, উপাচার্য পদ মানায় না', নোবেল বিতর্কে বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে তীব্র ভর্ৎসনা তৃণমূলের

দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, লকডাউনের সময় খুব বেশি করে জাল ছড়িয়েছিল এই চক্র। সেই সময় করোনার কারণে অনেকেই কাজ হারিয়েছিলেন। তাছাড়া বাইরে বেরিয়ে কাজ করারও উপায় ছিল না। মানুষ পাগলের মতো বাড়িতে কাজ করার উপায় খুঁজছিলেন। মানুষের সেই অসুবিধাকেই কাজে লাগায় এই দুষ্কৃতীরা।

কাজ দেওয়ার নামে লক্ষাধিক মানুষকে ঠকিয়ে টাকা আদায় করা হয় ভুয়ো ওয়েবসাইটের মাধ্যমে। এখনও পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গোটা ঘটনায় ২০০ কোটি টাকার লেনদেনের খোঁজ মিলেছে। ৩০ হাজার এমন ব্যক্তিকে খুঁজে পাওয়া গেছে, যাঁরা এই জালিয়াতির শিকার হয়েছেন। তাঁদের কাছ থেকে লুট করা হয়েছে প্রায় ৫ কোটি টাকা।

জানা গিয়েছে, এই ওয়েবসাইট তৈরি করা হয়েছে চিনে। যদিও তা অপারেট করা হয় জর্জিয়া থেকে। টেলিগ্রাম, ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম-এর মাধ্যমে ভুয়ো ওয়েবসাইটে লিঙ্ক ছড়িয়ে দেওয়া হত। মানুষ চাকরির খোঁজে লিঙ্ক খুলে ভুয়ো ওয়েবসাইটে ঢুকতেন। সেখানে তাদের একটি জব প্রোফাইল খুলতে বলা হত। বলা হত, ওয়েবসাইটে থাকা প্রোডাক্ট বিক্রি করতে। অনলাইনে সেই প্রোডাক্ট বিক্রি করার পরে তাদের অ্যাকাউন্টে টাকার অঙ্কও জমা পড়ত। সেই টাকা তোলার জন্য চাকরি প্রার্থীদের ব্যাঙ্ক ডিটেলস চাওয়া হত। আর ব্যাস, এখানেই গল্পের ইতি।

এই মামলার তদন্ত শুরু করে মূল পাণ্ডাকে পাকড়াও করার চেষ্টা করছে পুলিশ।

Published by:Satabdi Adhikary
First published:

Tags: Cyber Crime, Cyber Crimes