Amartya Sen: 'এঁরা ফিতে নিয়ে জমিতে ঘুরুন, উপাচার্য পদ মানায় না', নোবেল বিতর্কে বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে তীব্র ভর্ৎসনা তৃণমূলের

Last Updated:

বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩ ডেসিমাল জমি অমর্ত্য সেন 'দখল' করে রেখেছেন। সম্প্রতি এই কথা জানিয়ে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদকে চিঠি পাঠিয়েছিলেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তীরা।

কলকাতা: বিতর্ক এবং বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। সাম্প্রতিক অতীতে প্রায় সমার্থক হওয়ার দিকে এগোচ্ছে এই দুটি শব্দ। এবার বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্য়ালয়ের উপাচার্যের বিরুদ্ধে সরাসরি ব্যক্তি আক্রমণের অভিযোগ। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের বিষয়ে বেনজির মন্তব্য করে রাজ্যজুড়ে রীতিমতো হুলস্থূল ফেলে দিয়েছেন তিনি। এবার তাঁর মন্তব্য নিয়ে  সমালোচনায় সরব হল তৃণমূলও।
এদিন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায়। তিনি বলেন, "বিদ্যুৎ চক্রবর্তী কেন্দ্রের ধামাধরা লোক। অমর্ত্য সেনকে অসম্মান করার ধৃষ্টতা দেখাচ্ছেন। এ ভাবা যায় না।"
আরও পড়ুন: বড় খবর! পঞ্চায়েত ভোটের আগেই নয়া শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি! তোড়জোড় শুরু স্কুল শিক্ষা দফতরে
প্রসঙ্গত, বিদ্যুৎ চক্রবর্তী দাবি করেছেন, 'অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন নোবেল জয়ী নন।' এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে যুক্তি খাড়া করে বিদ্যুতের ব্যাখ্যা, 'নোবেলের যে উইল তৈরি হয়েছিল সেই অনুযায়ী চিকিৎসা, পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, সাহিত্য ও বিশ্বশান্তি–এই পাঁচটি বিষয়ে নোবেল দেওয়া হয়ে থাকে। পরে সুইডেনের সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক অর্থ দিয়ে অর্থনীতিতে পুরস্কার চালু করে। এই পুরস্কারের নাম ব্যাঙ্ক অব সুইডেন প্রাইজ ইন ইকোনমিক সায়েন্স ইন মেমোরি অব আলফ্রেড নোবেল।' তাই তাকে নোবেল পুরস্কার বলা যায় না বলেই দাবি করেছেন উপাচার্য।
advertisement
advertisement
প্রসঙ্গত, কিছু দিন আগেই জমি সমস্যা নিয়ে অমর্ত্য সেনকে চিঠি দিয়েছেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। তাতে জানানো হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩ ডেসিমেল জমি অমর্ত্য সেনের দখলে রয়েছে। অবিলম্বে ফিরিয়ে দিতে হবে সেই জমি। কিন্তু, তারপরেই অমর্ত্য সেন জানিয়েছিলেন, এমন অভিযোগ অসত্য। প্রয়োজনে তিনি আইনের দ্বারস্থও হতে পারেন। যদিও এখনও পর্যন্ত কোনও আইনি পথে হাঁটেননি অমর্ত্য। সেই প্রসঙ্গ টেনেই বিশ্বভারতীর উপাচার্যের মন্তব্য, 'হেরে যাওয়ার ভয়ে উনি আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন না।'
advertisement
বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর এহেন মন্তব্যের প্রেক্ষিতে সৌগত রায় বলেন, "অমর্ত্য সেন, ক্ষিতিমোহন সেনের বংশধর। উনি ঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছেন যে, মামলা করবেন না। নোবেল ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি, বায়োলজি, সাহিত্যে দেওয়া হতো। পরে সুইডিশ ব্যাঙ্ক অর্থনীতিকে এর আওতায় আনে। অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়ও, অমর্ত্য সেনের মতো এই পুরস্কার পেয়েছেন।"
অন্যদিকে, তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র তথা সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় বলেন, "এমন মন্তব্য বিশ্ব সমাজের প্রবীণ নাগরিককে অপমান। এটা রবীন্দ্রনাথকেও অপমান। নোবেল ওয়েবসাইটে অর্মত্য সেনের নাম আছে। আসলে বাংলায় নোবেল আসলে কারও কারও গাত্রদাহ হয়। আমাদের গর্ব বা শ্লাঘার বিষয় আমাদের রাজ্যের নোবেল। এঁরা ফিতে নিয়ে জমিতে ঘুরুন। উপাচার্য পদ মানায় না।"
বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
Amartya Sen: 'এঁরা ফিতে নিয়ে জমিতে ঘুরুন, উপাচার্য পদ মানায় না', নোবেল বিতর্কে বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে তীব্র ভর্ৎসনা তৃণমূলের
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement