হোম /খবর /দেশ /
সুপ্রিম কোর্টে জয় পেয়েই বিরাট পদক্ষেপ! কী করলেন কেজরি?

Supreme Court | Arvind Kejriwal: সুপ্রিম কোর্টে জয় পেয়েই বিরাট পদক্ষেপ! কী করলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল?

এদিন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, ন্যাশনাল ক্যাপিটালের প্রশাসনিক এক্তিয়ার থাকবে দিল্লির রাজ্য সরকারের হাতেই। যদি একজন মন্ত্রীর নিজের দফতরের আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়ার মতো অধিকার না থাকে, তাহলে প্রশাসন চলবে কী করে?

আরও পড়ুন...
  • Share this:

নয়াদিল্লি: দিল্লিতে আমলাদের নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কিত মামলায় বড় জয় পেল অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সরকার। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিল যে, পুলিশ, পাবলিক অর্ডার এবং জমি ছাড়া বাকি সব বিষয়ই রাজ্য সরকারের এক্তিয়ারভুক্ত থাকবে। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের হাতে প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ থাকা প্রয়োজন। আর শীর্ষ আদালতের এই রায়ের পরেই কর্মিবর্গ দফতরের সচিব আশিস মোরেকে পদচ্যুত করলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এদিনের রায়ের পরেই প্রশাসনিক স্তরে রদবদল করার কথা জানিয়ে দেন কেজরি। আশিস মোরেকে দিয়েই তার সূচনা বলে মনে করা হচ্ছে।

এদিন কেজরিওয়াল বলেন, “এখন ভিজিলেন্স দফতর আমাদের সঙ্গে রয়েছে। যে সমস্ত আমলা সঠিকভাবে কাজ করেননি, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” আম আদমি পার্টির তরফে টুইটারে লেখা হয়েছে, “আমলাদের বদলি করার অধিকার আছে নির্বাচিত সরকারের। সরকারের অধীনেই তাঁরা কাজ করবেন।”

আরও পড়ুন: আমলাদের নিয়ন্ত্রণ করবে কে? সুপ্রিম রায়ে বিরাট জয় অরবিন্দ কেজরিওয়ালের

দিল্লি প্রশাসনের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দফতরের রাশ কার হাতে থাকবে, রাজ্য সরকার নাকি উপ রাজ্যপাল? সে নিয়েই সুপ্রিম কোর্টে চলছিল মামলা৷ আর সেই ব্যাপারেই বড়  জয় পেয়েছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সরকার। গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের হাতে কোনও প্রশাসনিক ক্ষমতা এমনকি, তার আধিকারিকদের পরিচালনা করার অধিকার যদি না থাকে, তাহলে সেই সরকারের অস্তিত্বই অর্থহীন হয়ে পড়ে, নিজের রায়ে এই কথা জানিয়ে বৃহস্পতিবার অবস্থান স্পষ্ট করে শীর্ষ আদালত।

এদিন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, ন্যাশনাল ক্যাপিটালের প্রশাসনিক এক্তিয়ার থাকবে দিল্লির রাজ্য সরকারের হাতেই। যদি একজন মন্ত্রীর নিজের দফতরের আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়ার মতো অধিকার না থাকে, তাহলে প্রশাসন চলবে কী করে?

দিল্লি প্রশাসনের এক্তিয়ার কার?- এই প্রশ্নে আম আদমি পার্টির সরকারের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরোধ শুরু থেকেই। দিল্লির উপরাজ্যপাল ভি কে সাক্সেনাও রাজ্য প্রশাসনের আধিকারিকদের নিয়ে প্রশাসন চালাচ্ছেন, দীর্ঘদিন ধরেই এই অভিযোগ তুলে আসছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সরকার। দিল্লিতে নির্বাচিত রাজ্য সরকার থাকা সত্ত্বেও উপরাজ্যপালের হস্তক্ষেপ নিয়ে মামলায় সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি প্রশ্ন তুলেছিলেন।

আরও পড়ুন: কেন ওএমআর শিট নষ্ট করা হল? সুপ্রিম কোর্টের কড়া প্রশ্নের মুখে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ

চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি কেন্দ্রের সরকারের তরফে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, ‘‘দেশের রাজধানী দিল্লি। তাই রাজধানীর প্রশাসনিক ব্যবস্থায় কেন্দ্রীয় সরকারের নজরদারি, নিয়ন্ত্রণ জরুরি।’’ শীর্ষ আদালতের বক্তব্য, অফিসারদের কাজের বিষয়টি তারা যে সরকারের অধীনে কর্মরত, তারা ঠিক করবে, এটাই নিয়ম। নির্বাচনে জিতে আসা দল সরকার গঠন করে। তারা নীতি প্রণয়ন করে। সেই নীতির বাস্তবায়ন অফিসারদের কাজ। তাই দিল্লি প্রশাসনের পরিচালনা রাজ্য সরকারের হাতেই থাকবে মত পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ।

রাজীব চক্রবর্তী

Published by:Satabdi Adhikary
First published:

Tags: Arvind Kejriwal, Supreme Court