নয়াদিল্লি: দিল্লিতে আমলাদের নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কিত মামলায় জয় পেল অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সরকার। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে পুলিশ, পাবলিক অর্ডার এবং জমি ছাড়া বাকি সব বিষয়ই রাজ্য সরকারের এক্তিয়ারভুক্ত থাকবে। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের হাতে প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ থাকা প্রয়োজন।
বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি এমআর শাহ, বিচারপতি কৃষ্ণ মুরারী, বিচারপতি হিমা কোহলি এবং বিচারপতি পিএস নরসিমার সাংবিধানিক বেঞ্চ এই রায় দেয়৷ রায়ে জানানো হয়, গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের যাবতীয় নীতি জনগণ বা কোনও নির্দিষ্ট মন্ত্রী কার্যকর করেন না। বরং আমলারাই সরকারের নীতি কার্যকর করেন। আমলারা নির্বাচিত সরকারের প্রতি দায়বদ্ধ এবং তাঁরা সরকারের অধীনেই কাজ করেন।
আরও পড়ুন: কেন ওএমআর শিট নষ্ট করা হল? সুপ্রিম কোর্টের কড়া প্রশ্নের মুখে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ
যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর উপর জোর দিয়ে সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ জানিয়েছে, সরকার সংসদ অথবা বিধানসভার প্রতি দায়বদ্ধ, একইভাবে বিধানসভা এবং সংসদের প্রতি সরকার দায়বদ্ধ এবং সংসদ ও বিধানসভা দেশের জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ। শীর্ষ আদালতের মতে, আমলারা যদি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীর সঙ্গে ভালভাবে সমন্বয় না রাখেন এবং মন্ত্রীর কথা না শোনেন তাহলে সম্মিলিত প্রচেষ্টার মূল নীতি নষ্ট হয়ে যাবে।
এদিনের রায়ের পরপরই রাজ্যের কর্মিবর্গ দফতরের সচিব আশিস মোরেকে বরখাস্ত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তিনি জানিয়েছেন, যে সমস্ত আমলা রাজ্যের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে বাধার সৃষ্টি করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। অন্যদিকে, সৎ এবং দক্ষ আমলাদের দিল্লির মানুষের সেবা করার সুযোগ দেওয়া হবে।
কেজরিওয়াল বলেন, ‘‘আমরা দেশে শিক্ষার একটি মডেল তৈরি করেছি। আগের থেকে ১০ গুণ গতিতে কাজ করবে এই মডেল। সারা দেশের সামনে দিল্লি সরকার একটি মডেল তুলে ধরবে।’’ তিনি বলেন, ‘‘এখন ভিজিলেন্স দফতর আমাদের সঙ্গে রয়েছে। যে সমস্ত আমলা সঠিকভাবে কাজ করেননি, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
আম আদমি পার্টির তরফে টুইটারে লেখা হয়েছে, ‘‘আমলাদের বদলি করার অধিকার আছে নির্বাচিত সরকারের। সরকারের অধীনেই তাঁরা কাজ করবেন।’’
রাজীব চক্রবর্তী
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Arvind Kejriwal, Supreme Court