#মালদহ: তিনি পেশায় একজন ইংরেজির অধ্যাপক। তবে নেশা পাশ্চাত্য গানে। তাই তো আমেরিকা ও ব্রিটিশদের পপ গান নিয়ে গবেষণা করেছেন। সেখানেই থেমে থাকেননি মালদহের বাসিন্দা ডক্টর শিবশঙ্কর চৌধুরী। দশ বছরের বেশি সময় ধরে গবেষণামূলক পাশ্চাত্য গান লিখে চলেছেন ডক্টর শিব। গান লেখার পাশাপাশি নিজের গলায় গান গেয়ে বিশ্বজুড়ে সাড়া ফেলেছেন। বিশ্বের একাধিক দেশের আলোচনা সভায় তাঁর লেখা গান জায়গা করে নিয়েছে। চলতি বছরের ইনোভেশন ইন মিউজিকে জায়গা করে নিয়েছে ডক্টর শিব বাবুর লেখা ও গাওয়া 'আই এম ভাইরাস'।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রতিযোগীরা অংশগ্রহণ করেন। মিউজিক কম্পোজিশন ও মিউজিক টেকনলজি, এই দুই বিষয়ের উপর গান বেছে নেন উদ্যোগতারা। এবছর সুইডেনের রয়্যাল কলেজ অফ মিউজিকে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। মিউজিক কম্পোজিশনের ওপর এই প্রথম ভারতীয় কোন গান গবেষক সুযোগ পেলেন ইনোভেশন ইন মিউজিকে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মোট ৭৭ জন এই সৃজনশীলতা অনুষ্ঠানে সুযোগ পান। প্রত্যেককে নিজের গানের সৃজনশীলতার বিষয়বস্তু তুলে ধরার পাশাপাশি গান গাওয়ার সুযোগ মেলে। মালদহের অধ্যাপকের হাত ধরেই এই প্রথম গোটা দেশ বিশ্ব দরবারে গর্বিত হল।
আরও পড়ুন Allegation against Nursing Home| Birbhum: জুটেছে খারাপ ব্যবহার, মেলেনি সদ্যোজাতের চিকিৎসা, শিশুর মৃত্যু, অভিযোগ দুর্গাপুরের এক বেসরকারি নার্সিংহোমের বিরুদ্ধেমালদহ শহরের দেশবন্ধু পাড়ার বাসিন্দা ডক্টর শিবশঙ্কর চৌধুরী। মালদহ রেলওয়ে হাই স্কুলের ছাত্র ছিলেন। দিল্লীর ইগনু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাস করেন। চালর্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এথোনোমিউজিকলজি কোর্স করেন। ২০১২ সালে মালদহের গনি খান চৌধুরী ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি কলেজে ইংরেজির অধ্যাপক হিসাবে যোগদান করেন। আমেরিকা ও ব্রিটিশ পপ গানের ওপর পিএইচডি সম্পন্ন করেন। তারপর থেকেই ওয়েস্টার্ন গানের প্রতি আগ্রহ বাড়ে। যদিও পিএইচডি করার আগে থেকেই তাঁর ওয়েস্টার্ন গানের প্রতি ভালোবাসা ছিল। এখন পর্যন্ত তিনি মোট ১৬ টি গান নিজে লিখেছেন। অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ইউএসএ সহ বিভিন্ন দেশের নামিদামি স্টুডিওতে তিনি গান রেকর্ড করিয়েছেন।
আরও পড়ুন Bomb Explosion| Malda: বাঁধতে গিয়ে ফেটে গেল বোমা, গভীর রাতে জোরালো বিস্ফোরণে কাঁপল মানিকচক, মৃত ২বিখ্যাত বিদেশি মিউজিক কোম্পানি থেকে তার লেখা ও গাওয়া গান প্রকাশিত হয়েছে। সমস্ত গানগুলি ইংরেজিতে, কোন কমার্শিয়াল নয়, তিনি মূলত গবেষণামূলক গান নিয়েই কাজ করে চলেছেন।ইনোভেশন ইন মিউজিকে যে গানটি নির্বাচিত হয়েছে। সেই গান আই এম ভাইরাস অস্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত স্টিভ রবিনের স্টুডিওতে সমস্ত কাজ হয়েছে। মিউজিক কম্পোজিশন থেকে সমস্ত কাজ অস্ট্রেলিয়ায় হয়েছে। এই গানটি তৈরি করতে ডঃ শিবের খরচ পড়েছে ভারতীয় টাকায় ১ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা। সম্পূর্ণ খরচ ইতিনি নিজে বহন করেছেন। শুধু তাই নয় বিগত দিনে যত গান তিনি লিখেছেন বা আগামীতে যে সমস্ত গান তিনি তৈরি করছেন সমস্ত গুলি নিজের খরচে। আগামীতে নতুন আরো চারটি গানের কাজ চলছে বলে জানান ডক্টর শিব।
Harashit Singhaনিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Malda News, North bengal news, Pop song