সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকার জন্য শরীরে ভিটামিন D-এর প্রয়োজন অনস্বীকার্য। যেহেতু সূর্যালোক থেকে ভিটামিন D আসে একে সানশাইন ভিটামিনও বলা হয়। আমরা যে খাবার খাই তার থেকে, ওষুধ ও সূর্যালোক থেকে ভিটামিন D শরীরে প্রবেশ করে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলেন যে সূর্যালোকই হল ভিটামিন D-এর মূল উৎস, তাই তা গায়ে লাগানোই সেরা উপায়।
তবে বেশির ভাগ সময়েই আমরা শরীরে ভিটামিন ও খনিজের গুরুত্ব বুঝতে পারি না। তবে শরীরে যখন কোনও ভিটামিন বা খনিজ অতিরিক্ত পরিমাণে কমে যায় শরীর তার জানান দেয়। ভিটামিন বা খনিজ কম হলে শরীরে কোনও না কোনও পরিবর্তন হয় এবং ব্যথা-যন্ত্রণা শুরু হয়।
আমাদের হাড় ভালো রাখতে, মানসিক অস্থিরতা কম করতে এবং সামগ্রিক ভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে ভিটামিন D-র ভূমিকা অপরিসীম।
আরও পড়ুন :মধু শুধু স্বাদেই মিষ্টি নয়, রূপচর্চায় এর গুরুত্ব অনস্বীকার্য, জেনে নিন এক নজরে!
ভিটামিন D-এর ভূমিকা
সূর্যালোকের সংস্পর্শে এলে শরীর নিজে থেকেই ভিটামিন D তৈরি করে। তবে কিছু খাবার ও বিকল্প ওষুধ থেকেও ভিটামিন D শরীরে প্রবেশ করে। শরীরে পর্যাপ্ত ভিটামিন D থাকলে শরীরের ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস জাতীয় উপাদান গ্রহণ করতে সুবিধা হয়। এছাড়া হাড় ও দাঁতের স্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্যও এই ভিটামিন দরকার।
এই প্রয়োজনীয় সুবিধাগুলি ছাড়াও, ভিটামিন D মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করে এবং মেজাজ নিয়ন্ত্রণ করে। তাছাড়া এটি পছন্দসই ওজন কমানোর লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করে।
ভিটামিন D কমে গেলে দেখা দেয় নানা সমস্যা
যদিও ভিটামিন D-এর উপকারিতা একাধিক, তবে ভিটামিন D শরীরে কমে গেলে কিছু স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে শীতকালে, যখন আবহাওয়া অত্যন্ত শীতল, কুয়াশাচ্ছন্ন এবং ধোঁয়াশাচ্ছন্ন থাকে, তখন পর্যাপ্ত সূর্যালোক পাওয়া কঠিন হতে পারে।
চিন্তার বিষয় হল এই ভিটামিনের অভাবের উপসর্গ বা লক্ষণগুলি একেক সময়ে এত্টাই সূক্ষ্ম হয় যে সেটা বোঝা যায় না। ভিটামিন D-এর অভাবের দু'টি সবচেয়ে অস্বাভাবিক লক্ষণ রয়েছে যা অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে।
আরও পড়ুন : শীত পড়লেই কাবু হয়ে যান? কী ভাবে ঠান্ডাকে মোকাবিলা করবেন জেনে নিন
ক্লান্তি ও দুর্বলতা হল এমনই দু'টো লক্ষণ
যাঁরা ভিটামিন D-এর অভাবে ভুগছেন, তারা প্রায়শই সাধারণ ক্লান্তি এবং দুর্বলতা অনুভব করেন। পেশিতে দুর্বলতা দেখা দিলে সিঁড়ি ভাঙা, ওঠা-বসার মতো কাজ করতে অসুবিধা দেখা দেয়।
হাড়ে ব্যথাও একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ
বিজ্ঞান বলে ভিটামিন D ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাস শোষণ করতে সাহায্য করে, যা হাড় গঠন এবং শক্তিশালী করে। প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে, দুর্বল এবং নরম হাড়ের সমস্যা বা অস্টিওম্যালাসিয়া দেখা দিতে পারে ভিটামিন D-র অভাবে।
আরও পড়ুন : শীত এলেই চুল রুক্ষ হয়ে যায়? রোজ অনেক চুল উঠে যায়? মেনে চলুন এই ঘরোয়া রূপরুটিন
কী ভাবে বোঝা যাবে ভিটামিন D-র অভাব?
রক্ত পরীক্ষার সাহায্যে ভিটামিন D-এর অভাব নির্ণয় করা যায়। দুই ধরনের পরীক্ষা রয়েছে এই ঘাটতি নিশ্চিত করতে পারে। সব চেয়ে সাধারণ হল ২৫-হাইড্রোক্সিভিটামিন ডি, যা সংক্ষেপে ২৫(ওএইচ)ডি নামে পরিচিত।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Vitamin D