হৃদরোগ আসলে নিঃশব্দ ঘাতক। প্রাথমিক পর্যায়ে এর লক্ষণ এবং উপসর্গগুলো এতই সূক্ষ যে একজন সুস্থ ব্যক্তির পক্ষে এগুলো সনাক্ত করা প্রায় অসম্ভব। হৃদরোগের বেশ কয়েকটি সাধারণ লক্ষণ রয়েছে যেগুলোকে মোটেই উদ্বেগজনক বলে মনে হয় না, কিন্তু অবহেলা করলে সেগুলোই গুরুতর অবস্থায় পরিণত হয়। (Health Tips)
হৃদরোগের ইঙ্গিত দেয় গোড়ালি: গোড়ালি ফুললে সতর্ক হতে হবে। বুঝতে হবে, হৃদপিন্ডের প্রতি বাড়তি যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। কীভাবে এটা চিহ্নিত করা যাবে? যদি কোনও বাহ্যিক আঘাত বা ক্ষত ছাড়াই গোড়ালি ফোলে তাহলে সেটা হালকাভাবে নেওয়া উচিত নয়। ফোলা জায়গাটা যদি গরম থাকে এবং চাপলে গর্ত হয়ে যায়, ত্বক স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে সময় নেয়, তাহলে সময় নষ্ট না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। যেমন মোজা পরে থাকলে পায়ে তার ছাপ থাকে। খুলে ফেললে আবার স্বাভাবিক হয়ে যায়। কিন্তু এই ছাপ যদি বেশি সময় ধরে থাকে তাহলে অবশ্যই ডাক্তার দেখাতে হবে।
আরও পড়ুন: হঠাৎ মাথা ঘুরছে? উপসর্গ চাপা দেবেন না, সঙ্গে সঙ্গে কী করবেন জানুন
পেরিফেরাল শোথ: এই সমস্যা হাত এবং পায়ে দেখা যায়। অকারণে হাত-পা ভারি হয়ে যায়। সাধারণত টিস্যুতে অতিরিক্ত তরল জমা হলে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়। এই সমস্যা হৃদরোগের মতো গুরুতর রোগের সম্ভাব্য সূচকও হতে পারে।
পেরিফেরাল শোথের লক্ষণ: গোড়ালি ফুলে যাওয়া ছাড়াও, পেরিফেরাল এডিমার অন্যান্য লক্ষণ হল হাত ও মুখের ফোলাভাব, বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পরে এবং দীর্ঘক্ষণ বসে থাকার পরেও ফোলাভাব, ত্বক টানটান হওয়া, ত্বকের রঙ পরিবর্তন, অস্বস্তি, জয়েন্ট শক্ত হয়ে যাওয়া। এর সঙ্গে ঘাড়ে ব্যথা, আচমকা অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, মাথা ঘোরা এবং বমি বমি ভাব হতে পারে।
আরও পড়ুন: কচিকাঁচাদের স্কুলমুখো করতে পড়াশোনা উৎসব, অভিনব উদ্যোগ জেলায়
পেরিফেরাল এডিমা হৃদরোগের ইঙ্গিত হতে পারে: পেরিফেরাল এডিমা কনজেস্টিভ হার্ট ফেলিওরের ইঙ্গিত দিতে পারে। হৃৎপিণ্ড দুর্বল হয়ে গেলে রক্তের পাম্পের পরিমাণ মারাত্মকভাবে প্রভাবিত হয়। এর ফলে তরল জমা হতে পারে যার ফলে পায়ের শোথ হয়। হৃদরোগের সাধারণ লক্ষণগুলো হল কাশি, যা নিজে থেকে যায় না, ঘ্রাণ, ফোলা, ওজন পরিবর্তন, মেজাজ বদল এবং বিভ্রান্তি।
পেরিফেরাল এডিমার সঙ্গে যুক্ত অন্যান্য রোগ: হৃদরোগ ছাড়াও, পেরিফেরাল এডিমার সঙ্গে যুক্ত অন্যান্য অসুস্থতাগুলি হল ভেরিকোজ ভেইন, ডিপ ভেইন থ্রম্বোসিস, কিডনি রোগ, রক্তে প্রোটিন কম এবং লিভারের রোগ। এটি এমফিসেমা নামক ফুসফুসের গুরুতর অবস্থার কারণ হতে পারে। রোগীদের মধ্যে পেরিফেরাল শোথের সবচেয়ে সাধারণ কারণ হল শিরার অপ্রতুলতা এবং এটি বার্ধক্যের সঙ্গে সম্পর্কিত। তবে এটা ছাড়াও অন্যান্য অনেক অন্তর্নিহিত অবস্থা যেমন হার্ট ফেলিওর, রেনাল ফেলিওর, লিভার ফেলিওর এবং ট্রমা এই অবস্থার কারণ হতে পারে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Heart Disease, Lifestyle tips