হোম /খবর /স্বাস্থ্য /
১৭২ কেজি ওজনের বাংলাদেশি রোগীর ব্যারিয়াট্রিক সার্জারি! জটিল চিকিৎসায় সফল কলকাতা

Bariatric surgery: ১৭২ কেজি ওজনের বাংলাদেশি রোগীর ব্যারিয়াট্রিক সার্জারি! জটিল চিকিৎসায় সফল কলকাতা

ওবেসিটি

ওবেসিটি

Bariatric surgery: হাসপাতালের চিকিৎসকেরা বলেন, ব্যারিয়াট্রিক ল্যাপারোস্কোপিক সার্জারি নিরাপদ এবং ধীরে ধীরে ওজন কমাতে সাহায্য করে। এই অস্ত্রোপচারে পেটের আকার ছোট হয়ে যায়।

  • Share this:

কলকাতা: ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা ফের সাফল্যের মাইলফলক স্থাপন করল। একজন বাংলাদেশি নাগরিকের সফল অস্ত্রোপচার করে ব্যারিয়াট্রিক চিকিৎসায় নজির গড়ল তারা। সেই রোগীর বডি মাস ইনডেক্স (BMI) ছিল ৬৪। দেহের ওজন ছিল ১৭২ কেজি। ব্যারিয়াট্রিক অ্যান্ড ল্যাপারোস্কোপিক প্রসিডিওরের পরামর্শদাতা ড. সিদ্ধার্থ ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে চিকিৎসকদের গোটা দল মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যে প্রক্রিয়াটি সফলভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে।

রিয়া সিনহা (নাম পরিবর্তিত) একজন ৩০ বছর বয়সি বাংলাদেশি মহিলা। যার পারিবারিক ইতিহাসে স্থূলতা নেই। কিন্তু স্থূলতা বা ওবেসিটির কারণেই মণিপাল হাসপাতালে আনা হয়েছিল তাঁকে। শুধু ওবেসিটি-ই নয়, ঘুম অ্যাপনিয়া এবং নন-অ্যালকোহলযুক্ত ফ্যাটি লিভার রোগও ছিল বলে জানানো হয়েছিল, যা ধীরে ধীরে সিরোসিসে পরিণত হচ্ছে। তাঁকে ব্যারিয়াট্রিক ল্যাপারোস্কোপিক সার্জারি করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল।

হাসপাতালের চিকিৎসকেরা বলেন, ব্যারিয়াট্রিক ল্যাপারোস্কোপিক সার্জারি নিরাপদ এবং ধীরে ধীরে ওজন কমাতে সাহায্য করে। এই অস্ত্রোপচারে পেটের আকার ছোট হয়ে যায়। ফলে ব্যক্তির খাওয়ার ক্ষমতাও কমে যায়। যে কারণে অন্ত্র থেকে খাদ্যের শোষণ হ্রাস পায় এবং বিপাকীয় হার (BMR) বেড়ে যায়।

মণিপাল কলকাতার ব্যারিয়াট্রিক অ্যান্ড ল্যাপারোস্কোপিক প্রসিডিওরের পরামর্শদাতা ড. সিদ্ধার্থ ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘ব্যারিয়াট্রিক সার্জারি ওবেসিটির চিকিত্সা করে এবং ওজন কমাতে শুরু করে। কোনও নেতিবাচক প্রভাব নেই। থেরাপির পরে ওজন বৃদ্ধির সম্ভাবনা খুবই কম। মিসেস সিনহাকে যখন প্রথমবার আনা হয় আমাদের কাছে, তখন তাঁর ওজন ছিল ১৫২ কেজি। প্রায় তিন মাস আগের কথা। খুব চেষ্টা করেও ওজন কমাতে পারেননি তিনি। এখন তিনি অস্ত্রোপচারের ফলাফলে বেশ সন্তুষ্ট। সার্জারির পরে ভালই আছেন তিনি।’’

অস্ত্রোপচারের দু’দিন বাদে মিস সিনহাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এবং গত এক থেকে দেড় বছর ধরে প্রতি মাসে তিনি ৪-৫ কেজি করে ওজন কমাতে শুরু করেছেন। এটি তাকে সুস্থ ওজনের পরিসরে ফিরে পেতে সাহায্য করেছে। নির্দিষ্ট ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট ছাড়া আর কোনও ওষুধ তাঁকে দেওয়া হয়নি। পরবর্তীকালে দরকারে তাঁকে আরও সাহায্য করা হবে হাসপাতালের পক্ষ থেকে।

আরও পড়ুন: চুটকিতে পালাবে জ্বর-সর্দি-কাশি! মিন্ট তুলসি ঘরে থাকলেই রোগ মুক্তি! চিনুন

কলকাতার মণিপাল হাসপাতালের পরিচালক শ্রী অরিন্দম বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘পূর্ব ভারতের অন্যতম সেরা হাসপাতালগুলির মধ্যে একটি কলকাতার মণিপাল হাসপাতাল। উন্নত প্রযুক্তির সঙ্গে ব্যারিয়াট্রিক সার্জারি করা হয়। তা ছাড়া বিশেষ অপারেশন থিয়েটার, শয্যা, অন্যান্য সরঞ্জাম, যোগ্য ও দক্ষ চিকিৎসক ও কর্মীদের দলও রয়েছে এখানে। রোগীদের সেরা পরিষেবা দেওয়া হয়। ভারতীয় এবং আন্তর্জাতিক, উভয় রোগীদের চিকিত্সাই করা হয়।’’

Published by:Teesta Barman
First published:

Tags: Health