‘ভিসেরাল ফ্যাট’ (Visceral Fat)৷ এটাই পোশাকি নাম আমাদের অতি চেনা ‘বেলি ফ্যাট’-এর (Belly Fat)৷ এই কারণেই মেদ জমে আমাদের তলপেটে৷ শরীরের যে কোনও অংশের তুলনায় পেটের মেদ কমানো কয়েক গুণ বেশি কঠিন৷
ভিসেরাল ফ্যাট শরীরের জন্যও অত্যন্ত ক্ষতিকারক৷ ভুঁড়ি থাকলে হৃদরোগ, স্ট্রোক, ডায়াবেটিস এবং ইনসুলিন রেজিস্টান্সের মতো সমস্যা দেখা দেয়৷ পেটের মেদ কমানো কঠিন ঠিকই৷ কিন্তু দুঃসাধ্যও নয় (Foods which help to lose belly fat)৷
প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার সাহায্য করে পেটের মেদ কমাতে৷ ফ্যাটমুক্ত বা নামমাত্র ফ্যাট-সহ টকদইও কার্যকর পেট থেকে মেদ কমাতে৷ এক পাত্র ভর্তি টকদই পুষ্টিমূল্যে ভরপুর৷ এর থেকে যথেষ্ট পুষ্টিমূল্য পাওয়া যায় ২০-২৩ গ্রাম প্রোটিন-সহ টকদই অনেক ক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখে৷ ফলে অস্বাস্থ্যকর খাওয়ার প্রবণতা কমে৷
আরও পড়ুন : বিরিয়ানি, কোর্মার সুস্বাদু হয় বেরেস্তার গুণে, জেনে নিন মুচমুচে বেরেস্তার টিপস
টকদইয়ের প্রোটিন মেটাবলিজম বৃদ্ধি করে৷ সাহায্য করে পরিপাকক্রিয়াতেও৷ টকদইয়ের ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি সাহায্য করে হাড় মজবুত করতে৷ ডায়েটে রাখুন প্রচুর ফল এবং সবুজ শাকসব্জি৷ আপেল, তরমুজ, বেরির মতো ফল আপনার মিষ্টি খাওয়ার সাধ কিছুটা হলেও পূ্র্ণ করবে৷
আরও পড়ুন : হলদেটে দাঁত ধবধবে সাদা করে তুলুন বাড়িতেই, নিয়মিত খান এই ফলগুলি
তৈলাক্ত মাছ বাড়িয়ে দেয় মেটাবলিজম৷ ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড বেলি ফ্যাট ঝরাতে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে৷ পাশাপাশি খেতে পারেন ওটস এবং ওটমিল৷ এর গোটা দানাশস্য ভরপুর ফাইবার, প্রোটিন এবং ওটস বা ওটমিলে চিনিও থাকে না৷ ওটসের স্বাস্থ্যগুণও প্রচুর৷ এটি পরিপাক ক্রিয়ায় সাহায্য করে৷ কমায় উচ্চরক্তচাপ৷ সেইসঙ্গে ওজন কমিয়ে বেলি ফ্যাট নিয়ন্ত্রণ করে৷
এখানেই শেষ নয় ওটসের গুণ৷ পেট ফাঁপা, গ্যাস এবং কোষ্টকাঠিন্যের মতো শারীরিক সমস্যারও সুরাহা করে ওটস৷ সেইসঙ্গে হৃদরোগ এবং কোলন ক্যানসারের মতো অসুখও কমে ওটসে৷
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Belly Fat