#কলকাতা: তিনি বাংলাদেশেরও নাগরিক৷ এই অভিযোগে ২০২১ সালের নির্বাচনে বনগাঁ দক্ষিণ কেন্দ্রের ফলকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা তৃণমূল প্রার্থী আলো রানি সরকারের মামলা খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট৷
অভিযোগ, ভারতের পাশাপাশি বাংলাদেশের ভোটার তালিকাতেও আলো রানির নাম ছিল বলে অভিযোগ৷ আদালতের এই নির্দেশকে তুলে ধরেই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে বিঁধেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী৷
ঘটনাচক্রে এই আলো রানি সরকারকেই ২০১৬ সালে বীজপুর কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করেছিল বিজেপি৷ সেই সময় তৃণমূল প্রার্থী শুভ্রাংশু রায়ের কাছে পরাজিত হন তিনি৷ পরবর্তী সময়ে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন আলো রানি৷
আরও পড়ুন: একশো দিনের কর্মীদের জন্য বিরাট সুখবর, বড় সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বনগাঁ দক্ষিণ কেন্দ্র থেকে বিজেপি-র স্বপন মজুমদারের কাছে পরাজিত হন আলো রানি৷ এই ফলকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে ইলেকশন পিটিশন দায়ের করেন তিনি৷
সেই মামলার শুনানিতেই বনগাঁ দক্ষিণের বিধায়কের তরফে আদালতকে জানানো হয়, আলো রানি সরকারের বাংলাদেশি নাগরিকত্ব রয়েছে৷ দাবির সমর্থনে বেশ কিছু নথিও আদালতে জমা দেন বিজেপি বিধায়ক৷ ওই সমস্ত নথি খতিয়ে দেখে আলো রানির বাংলাদেশী নাগরিকত্ব নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে রিপোর্ট জমা দেওয়া নির্দশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিবেক চৌধুরী৷
In 2021 WB Assembly Elections, Swapan Majumdar of @BJP4Bengal won the Bongaon Dakshin Assembly seat by defeating Alo Rani Sarkar of @AITCofficial. Not satisfied with the result the AITC candidate, just like her supreme leader, filed an Election Petition challenging the result. pic.twitter.com/2wVopNdm4L
— Suvendu Adhikari • শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) May 21, 2022
নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকেও জানানো হয়, বাংলাদেশের ভোটার তালিকায় আলো রানির নাম রয়েছে৷ ভারতে যেহেতু দ্বৈত নাগরিকত্ব নেওয়ার নিয়ম নেই, তাই আলো রানি ভারতের নাগরিকই নন বলে জানিয়ে দেয় হাইকোর্ট৷ নির্বাচনের ফলকে চ্যালেঞ্জ করে দােয়র করা তাঁর মামলাো বাতিল করে দেয় হাইকোর্ট৷ আলো রানির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতেও নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট৷
আরও পড়ুন: 'মরি নাই, আপনাদের সঙ্গেই থাকব', বীরভূমে পা দিয়েই আশ্বাস অনুব্রতর
আদালতের এই নির্দেশকেই অস্ত্র করে রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন বিরোধী দলনেতা৷ তিনি বলেন, 'নিজেদের ভোট ব্যাঙ্ক বাড়াতে তৃণমূল কংগ্রেস বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীদের এ দেশে থাকার বন্দোবস্ত করে দিত৷ কিন্তু ভারতের নাগরিকই নন, এমন একজনকে নির্বাচনে প্রার্থী করা বেনজির ঘটনা৷' আলো রানির মামলায় আদালতের নির্দেশের কপি ট্যুইটও করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা৷ তাঁর আশা, আলো রানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে নির্বাচন কমিশন৷
আদালতে শুনানি চলাকালীন স্বপন মজুমদারের আইনজীবীরা দাবি করেন, আলো রানির স্বামী হরেন্দ্র নাথ সরকার বাংলাদেশের বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজের একজন অধ্যাপক৷ পাল্টা আলো রানি সরকারের আইনজীবীরা আদালতকে জানান, ১৯৬৯ সালে পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলাতেই তাঁর জন্ম৷ ১৯৮০ সালে বিয়ের পর তিনি বাংলাদেশের নাগরিক হন৷ কিন্তু স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর আলো রানি ভারতে ফিরে আসেন বলেই আদালতকে জানান তাঁর আইনজীবীরা৷
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: BJP, Suvendu Adhikari