#কলকাতা: আগামী ১৯ জুলাই দেশে ব্যাংক জাতীয়করণের ৫৪ তম বার্ষিক দিবস। ১৯ জুলাই গত বাজেট অধিবেশনের ঘোষণা অনুযায়ী দুটি সরকারি ব্যাংককে বেসরকারিকরণের উদ্দেশ্যে ১৯৬৯ সালের ব্যাংক জাতীয়করণ আইন এবং ১০৭০/৮০ এর ব্যাঙ্কিং কম্পানি ইকুইজিশন অ্যান্ড ট্রানসফার অফ প্রপারটি আইন সংশোধনের প্রস্তাব আনা হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
কয়েকদিন আগে, কয়েকটি নয়, সবকটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের বেসরকারিকরণ করা হবে বলে মন্তব্য করেন কেন্দ্রীয় অর্থ সচিব। এর প্রতিবাদে এ রাজ্যের অল ইন্ডিয়া ব্যাংক অফিসার কনফেডারেশন, অল ইন্ডিয়া নেশনালাইজড ব্যাংক অফিসারস ফেডারেশন সহ বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের ইউনিয়নগুলো তীব্র প্রতিবাদে সামিল হয়েছে। তাদের বক্তব্য করোনা পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতির বেহাল অবস্থায় কেন্দ্র সরকারের এই ধরণের জনবিরোধী মনোভাব দেশের অর্থনীতি ও সাধারণ মানুষের পক্ষে অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর এবং চরম ক্ষতিকর।
আরও পড়ুন: জুমলাবাজি, শকুনি, স্বৈরাচারী...'অসংসদীয় শব্দ' বাছল মোদি সরকার! তুমুল বিতর্ক
একের পর এক বেসরকারি ব্যাংক প্রতিনিয়ত দেউলিয়া হয়ে যাওয়া এবং সাধারণ মানুষকে তাদের কষ্টার্জিত অর্থ সুরক্ষিত রাখার জন্য ১৯৬৯সালের ১৯ জুলাই ব্যাঙ্ক জাতীয়করণ বা রাষ্ট্রীয়করণ করা হয়। এই বিশেষ দিনকে স্মরণে রেখে ব্যাংক বেসরকারিকরণের সিদ্ধান্তকে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে ১৯ জুলাই রাজ্য জুড়ে তথা দেশজুড়ে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলার ডাক দেওয়া হল অল ইন্ডিয়া ব্যাংক অফিসার্স কনফেডারেশনের পশ্চিমবঙ্গ শাখার পক্ষ থেকে। গত কয়েকদিন ধরে রাস্তায় নেমে প্রচার পুস্তিকা বিলি করা, ট্যাবলো বের করা, দৈনিক খবরের কাগজের মধ্যে লিফলেট বিলি করে বিভিন্ন জায়গায় প্রচার করে তারা জনমত সংগ্রহ করছে।
এছাড়াও ফেসবুকে ' ব্যাংক বাঁচাও,দেশ বাঁচাও ' নামে একটি পেজ খুলে সাধারণ মানুষের মধ্যে তাদের আন্দোলনের সপক্ষে প্রচার চালাচ্ছে এই সংগঠন। অল ইন্ডিয়া ব্যাংক অফিসার্স কনফেডারেশনের পক্ষ থেকে সৌম্য দত্ত বুধবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, "ব্যাংক বেসরকারিকরণ হলে রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংকগুলির গ্রামীণ শাখা বন্ধ হয়ে যাবে। সাধারণ মানুষ, প্রবীণ নাগরিক এবং পেনশন ভোগীরা কম সুদ পাবে, ব্যাংকের সমস্ত পরিষেবায় সার্ভিস চার্জ বাড়বে। কৃষিতে সুদের ছাড় পাওয়া যাবে না। পড়ুয়াদের শিক্ষা লোন পেতে অসুবিধা হবে। আমানতকারীদের অর্থ নিরাপদে থাকবে না, কোনো সরকারি গ্যারান্টি থাকবে না। বেসরকারিকরণের প্রতিবাদে সবাইকে একজোট হতে হবে,শুধুমাত্র ব্যাংকের কর্মচারীরা নয়, সাধারণ মানুষকেও তাদের অর্থের সুরক্ষার জন্য সোচ্চার হতে হবে।"
এছাড়াও সাংবাদিক সম্মেলনে এআইবিওসি ( অল ইন্ডিয়া ব্যাংক অফিসারস কনফেডারেশন )এর রাজ্য সম্পাদক শুভজ্যোতি চট্টোপাধ্যায় জানান, "কেন্দ্র সরকার যে জনবিরোধী নীতি নিয়ে আসতে চলেছে, তার তীব্র প্রতিবাদ আমরা জানাব। আগামী দিনে আরও বড়সড় আন্দোলনে নামতে চলেছি। আমাদের একটাই স্লোগান- ব্যাংক বাঁচাও, দেশ বাঁচাও।"
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।