Kolkata Hospitals : কপর্দকশূন্য পরিজনরা অনাহারে, বাঁকুড়ার রোগিণী ৫ দিন ধরে ঘুরছেন হাসপাতালের দরজায় দরজায়

Last Updated:

Kolkata Govt Hospital : পাঁচ দিন হল কলকাতায় এসে বিভিন্ন হাসপাতালে ঘুরে হন্যে হয়ে, বসে রয়েছেন হাসপাতাল চাতালে

কলকাতা : বাঁকুড়ার (Bankura) সানরা থেকে পাঁচ দিন হল কলকাতায় এসে বিভিন্ন হাসপাতালে (Kolkata Govt Hospital) ঘুরে হন্যে হয়ে, বসে রয়েছেন হাসপাতাল চাতালে । কখনও রোদ, কখনও বৃষ্টি মাথায় নিয়ে শুধু অপেক্ষা, যদি হাসপাতালে শয্যা জোটে। অভিযোগ, হাসপাতালের শয্যা আর জুটছে না।
মঙ্গলবার সকালবেলা রোগী জ্যোৎস্না কালিন্দীকে পাওয়া গেল মেডিক্যাল কলেজের ইমার্জেন্সি বিভাগের পাশে । তখন তিনি যন্ত্রণায় ছটফট করছিলেন । কোমরের অস্থির সংযোগস্থলে টিউমার হয়েছে। তাঁর পরিজনরা জানান, ১৫ দিন বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর ,ডাক্তাররা তাঁকে কলকাতার পিজি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন।
অসুস্থ জ্যোৎস্নাকে তাঁর ছেলে রাজু কালিন্দী, জামাই সন্ন্যাসী বাদ্যকর বাঁকুড়া থেকে অ্যাম্বুল্যান্সে করে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে থেকে রেফার করে দেয় মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে।   মেডিক্যাল কলেজের হাসপাতালে গিয়ে ডাক্তারদের পরামর্শ অনুযায়ী আউটডোরে দেখান। আবার সেখান থেকে রেফার এনআরএস। এনআরএস থেকে আবার মঙ্গলবার সকালে রেফার করে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
advertisement
advertisement
আরও পড়ুন : আবেদন পড়ে থাকলেই কড়া পদক্ষেপ! উৎসশ্রী নিয়ে আধিকারিকদের কড়া বার্তা শিক্ষামন্ত্রীর
রোগীর আত্মীয়দের বক্তব্য, কুড়ি হাজার টাকা ভিক্ষা করে এনেছিলেন চিকিৎসার  জন্য। বাঁকুড়া থেকে কলকাতা সাড়ে আট হাজার টাকা নিয়েছিল অ্যাম্বুল্যান্স। তার পর কলকাতাতে এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রতি বার ৫০০ টাকা করে নিয়েছে অ্যাম্বুল্যান্স ।
advertisement
তার সঙ্গে কিছু শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা, ওষুধ কেনা-সব মিলিয়ে এখন টাকা প্রায় শেষ । রোগিণীর বাড়ির লোকদের অভিযোগ, গত পাঁচ দিনে এখনও পর্যন্ত ভর্তি তো দূরের কথা। তাঁদের আক্ষেপ, যন্ত্রণার ওষুধ ছাড়া আর কোনও চিকিৎসা শুরু হয়নি জ্যোৎস্নার । জ্যোৎস্নার আত্মীয়দের অভিযোগ, তাঁরা কয়েক দিন ধরে অনাহারে। সামান্যতম মুড়ি খেয়ে দিন কাটাচ্ছেন। এ বার তবে রোগী নিয়ে ফিরে যাবেন গ্রামের বাড়িতে । বলছেন ওঁরা ।
advertisement
আরও পড়ুন : রেহাই নেই রিক্সাচালকদেরও! পুলিশের জোরজুলুম, রোজ দিতে হয় ২০, ৪০, ৫০ টাকা
জ্যোৎস্না বলেন, বাড়ি ছেড়ে অনেক কষ্টে পড়ে রয়েছেন এখানে । এই কষ্ট আর সহ্য হচ্ছে না ওঁদের । পুজোতে ঢাক বাজিয়ে কিংবা বাঁশের ধামা, কুলো তৈরি করে সংসার চলে। রোজগার নেই। ভবিষ্যতে কী হবে, জানেন না ওঁরা।   মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তিনি ফোন তোলেননি। ঝড়-জল-বৃষ্টি মাথায় নিয়ে ইমার্জেন্সির এক কোণে অসহায়ের মতো বসে রয়েছেন জ্যোৎস্না এবং তাঁর সঙ্গে আসা আত্মীয় পরিজন।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/কলকাতা/
Kolkata Hospitals : কপর্দকশূন্য পরিজনরা অনাহারে, বাঁকুড়ার রোগিণী ৫ দিন ধরে ঘুরছেন হাসপাতালের দরজায় দরজায়
Next Article
advertisement
SSKM-এ নাবালিকাকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ ! গ্রেফতার এনআরএসের অস্থায়ী কর্মী
SSKM-এ নাবালিকাকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ ! গ্রেফতার এনআরএসের অস্থায়ী কর্মী
  • এসএসকেএমে ‘যৌন হেনস্থা’র অভিযোগ নাবালিকাকে

  • ডাক্তার পরিচয় দিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন শৌচাগারে!

  • অভিযুক্ত গ্রেফতার

VIEW MORE
advertisement
advertisement