কলকাতা : পুজো আনন্দে কাটাতে হলে বুস্টার ডোজ নিয়ে নিন। হাতজোড় করে কাতর আবেদন কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের। এর পাশাপাশি শনিবার ধর্মতলায় একটি বেসরকারি হোটেলে পরিবেশ সংক্রান্ত এক অনুষ্ঠানে গিয়ে কলকাতা পুরসভার মেয়র পূর্ব কলকাতা জলাভূমি প্রসঙ্গে আরও বলেন, ‘‘বাম আমলের জবরদখল সর্বনাশ করেছে পূর্ব কলকাতা জলাভূমির। পরিবেশ ধ্বংস করে জবরদখল সেই সময় হয়েছে। এর ফলে কলকাতার যে স্বাভাবিক বা প্রাকৃতিক বিকাশের ব্যবস্থা ছিল তার বিপর্যয় ঘটেছে। আমরা ক্ষমতায় এসে তা বন্ধ করেছি। এখনও অনেকে চেষ্টা করছেন ৷ সতর্ক থাকতে হবে মানুষের কাছে আহ্বান জলাভূমি রক্ষা করতে।’’
সবুজ শহর গড়তে কলকাতা পুরসভা ইতিমধ্যেই বিল্ডিং রুলস এ পরিবর্তন এনেছে। গ্রিন বিল্ডিং এ ছাড় দিয়েছে কলকাতা পুরসভা। জানালেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। কলকাতা পুরসভায় আইন করা হয়েছে। সেই আইন অনুযায়ী গ্রিন বিল্ডিং তৈরি করলে অতিরিক্ত ১০% এফএআর ছাড় দেওয়া হবে। কলকাতা শহরের মধ্যে সবুজ অংশ রেখে বাড়ি তৈরি করলে সবুজ অংশের জন্য মাত্র ১০% কর দিতে হবে এছাড়াও বিল্ডিং তৈরির ক্ষেত্রে এফএআর অতিরিক্ত পাবেন।
শুধুমাত্র কলকাতা নয়, সব পুরসভাকে নিয়েই এই সবুজায়নের জন্য আলোচনা করা হবে। ইতিমধ্যেই বন দফতরের সহযোগিতায় ১৫ কোটি গাছ লাগানো হয়েছে৷ এ বছরও কলকাতা পুরসভা সহ অন্যান্য পুরসভাকে এক কোটি গাছ দিয়েছে বন দফতর।
আরও পড়ুন : আদিবাসী এলাকায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাজের সাফল্য তুলে ধরবে দল
কলকাতা পুরসভার ‘টক টু মেয়র’ অনুষ্ঠানের শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘ পুজোয় সকলে একসঙ্গে কাটাতে হলে এখনই বুস্টার ডোজ নিয়ে ফেলুন। কারণ কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ম অনুযায়ী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিনামূল্যে বুস্টার ডোজ আমরা দিতে পারব।’’ এ প্রসঙ্গে তিনি ক্লাব ও সংগঠন এবং বহুতলের আবাসিকদেরও এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। যে কোনও জায়গায় একটি কমিউনিটি হল বা আলাদা ক্যাম্প করার প্রয়োজনীয় জায়গা এসি রুম হতে হবে এবং নেট সংযোগ থাকতে হবে । তা হলেই কলকাতা পুরসভা তাদের সময় দেবে বুস্টার ডোজ নিয়ে ক্যাম্প করার। তবে ন্যূনতম ১০০ জন বুস্টার ডোজ গ্রাহক থাকতে হবে।
আরও পড়ুন : হতবাক ঘনিষ্ঠজনরা, পশুপ্রেমী অর্পিতার এই পরিণতি যেন হার মানায় ছবির চিত্রনাট্যকেও
কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই প্রতিদিন গড়ে সতেরো থেকে কুড়ি হাজার বুস্টার ডোজ দেওয়া হচ্ছে । তবে গতকাল পর্যন্ত ২৫ লাখের মতো বুস্টার ডোজ দেওয়া কমপ্লিট হয়েছে ৷ এখনও ৭৫ লাখ নতুন নেওয়া বাকি রয়েছে।
কলকাতা পুরসভার মেয়র জানান প্রতিটি কলোনি এলাকায় কমিটিরা চাইলেই মিউটেশন ও অ্যাসেসমেন্ট এর জন্য ক্যাম্প করা হবে। ইতিমধ্যেই কলকাতা পুরসভার অফিসাররা বিভিন্ন কলোনিতে জমির মিউটেশন ও অ্যাসেসমেন্ট এর কাজ শুরু করে দিয়েছেন।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Firhad Hakim, KMC