#কলকাতা: দুচোখ জুরে স্বপ্ন ছিল কলকাতা শহর দেখার৷ পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা শহরটি সবচেয়ে বড়। ওখানের মানুষের চলা-বলা একেবারে অন্যরকম, বড় বড় বাড়ি আর প্রচুর গাড়ি। স্বামী মনতোষ দাস কর্মসূত্রে অনেক দিন ধরেই কলকাতায়। এমন কথা অনেকদিন শুনেছেন স্বামীর কাছে৷ তাই কয়েকটা দিনের জন্য স্বামীর কথা শুনে চলে আসেন পুনম দেবী। কিন্তু সব আনন্দ ও স্বপ্ন এক পলকে পাল্টে দেয় করোনা ভাইরাস।
শহরবাসীর গাড়ির হর্ন আর লোকের কোলাহল যেন এক নিমেষে বন্ধ করে দিয়েছে মারণ ভাইরাস। লকডাউন ঘোষণার পর থেকেই সমস্যায় পড়েছেন হাজিপুরের বাসিন্দা এই দম্পতি । সবচেয়ে বড় চিন্তা ছিল বিহারের বাড়িতে রেখে আসা সন্তানদের জন্য। শুধুই এই দম্পতিই নন, আটকে ছিলেন তাদেরই পরিচিত প্রায় ১৫০ জনের বেশি। অনেকবার চেষ্টা করেন বিহারে যাবার। সম্ভব হয়নি৷ বারবার বলা হয় সরকারি নিয়ম মেনে আবেদন করতে। কিন্তু সেটা কিভাবে করেতে হত সেটা ওদের জানা ছিল না৷ ওত ইংরেজি জানতেন না তারা। তারা জানতেন শুধুমাত্র বাড়ির ঠিকানা।
লকডাউনের প্রথমদিন থেকেই বিকাশ জয়সওয়াল রান্নার বিভিন্ন সামগ্রী দিয়ে সাহায্য করেছেন। তার দৌলতে বাড়ি ফেরার ইচ্ছা প্রকাশও করেন প্রায় ১৮০ জন। পশ্চিমবঙ্গ থেকে বিহার পাঠানো লকডাউনের মধ্যে খুব সোজা বিষয় নয়। তারমধ্যেই ওদের সবাই কর্মহীন হয়ে যান লকডাউনে। সেই সব চিন্তা ছেড়ে বিকাশবাবু শুরু করেন সরকারি নিয়ম মেনে বাড়ি যাবার ব্যবস্থা৷ যারা চেয়েছিলেন বাড়ি যেতে, তাদের নাম ও লিখে নেওয়া হয়। নিয়ম অনুযায়ী ত্রিশ জনের বেশি একটি বাসে যেতে পারবেন না। সেই সব আবেদন করে সোমবার হাতে আসে ছাড়পত্র।
আরও পড়ুনচিনা অ্যাপ TikTok-কে দূর করতে মরিয়া ভারতীয়রা, রব উঠেছে #BanTikTok
ধর্মতলায় একটি বাসে ত্রিশ জনকে থার্মাল স্ক্যান করে বাসে তুলে দেন বিকাশ জয়সওয়াল। ওদের মুখে বাড়ি ফেরার একরাশ হাসি থাকলেও উদ্যোক্তার মন খারাপ ছিল৷ তিনি জানিয়েছেন যে, অনেকদিন এদের সঙ্গে অনেক সময় কাটানো গেল, খুব ভাল লাগছে। এবার বাড়ি ফিররেই চিন্তা দূর হবে। প্রথম পর্বের ত্রিশ জন যাবার পরেই বাকি পরিযায়ীদের বাড়ি যাবার ব্যাবস্থাও শুরু করা হয়েছে ।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Kolkata, Lockdown, Migrant labour