আইএএস-আইপিএস তৈরির কারখানা, এলবিএসএনএএ-র ফি কিংবা সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে ধারণা আছে কি?

প্রথমে এখানে চার মাসের জন্য আইএএস, আইপিএস এবং আইএফএস অফিসারদের ট্রেনিং বা প্রশিক্ষণ চলে। আর এই পাঠ্যক্রম ফাউন্ডেশন কোর্স নামে পরিচিত। এই পাঠ্যক্রমের অংশ হিসেবে প্রার্থীদের প্রশাসনিক বিষয়ে প্রাথমিক তথ্য প্রদান করা হয়ে থাকে। এর তিন মাস পরে আরও প্রশিক্ষণের জন্য হায়দরাবাদের সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল ন্যাশনাল পুলিশ অ্যাকাডেমিতে পাঠানো হয় আইপিএস অফিসারদের।

মুসুরির এলবিএসএনএএএ-তে ট্রেনি অফিসারদের নামমাত্র ফি দিতে হয়। প্রতি মাসে প্রত্যেককে ফি বাবদ দিতে হয় ৩৫০ টাকা। আবার দুজনের থাকার ব্যবস্থা থাকে ঘরে। যার ভাড়া জনপ্রতি ১৭৫ টাকা। অবশ্য জল এবং বিদ্যুতের জন্য আলাদা করে ভাড়া গুনতে হয় না। সবটাই জনপ্রতি ভাড়ার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকে। এছাড়া মেস ১০ হাজার টাকা মেস ফি দিতে হয়।

এলবিএসএনএএএ-এ ট্রেনি আইএএস-আইপিএস-রা স্টাইপেন্ড হিসেবে হাতে পান মাসিক ৪০ হাজার টাকা। আসলে মাসিক বেতনের পরিমাণ ৫৬০০০ টাকা। তবে মেস এবং হোস্টেল ফি-সহ অন্যান্য খরচ কেটে নিয়ে ইনহ্যান্ড স্যালারি মাসিক ৪০০০০ টাকার কাছাকাছি থাকে।

এর মেয়াদ ৪ মাস। এই সময় আইএএস এবং আইপিএস-দের প্রশিক্ষণ একসঙ্গেই হয়।

এই প্রশিক্ষণের কালে ৪০-৪৫ দিনের ভারত দর্শন করানো হয়। সেই সঙ্গে থাকে ১৫ সপ্তাহের অ্যাকাডেমিক মডিউল।

এই সময়ের মধ্যে ট্রেনি অফিসারদের কোনও একটি জেলায় পাঠানো হয়। এটা প্রায় ১ বছরের ট্রেনিং।

এই ট্রেনিংয়ের মেয়াদ ৬ সপ্তাহ/ ২ মাস। এই সময়ের মধ্যে তাঁরা এত দিনের প্রশিক্ষণে কী কী শিখলেন, সেটা একে অপরের সঙ্গে ভাগ করে নেন।

অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারিশিপ: এই সময়ের মধ্যে সমস্ত ট্রেনি আইএএস অফিসারদের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি হিসেবে সেন্ট্রাল সেক্রেটারিয়েট-এ কাজ করতে হয়।

এখানে ট্রেনি অফিসাররা একাধিক ভিন্ন ভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকেন। এর মধ্যে অন্যতম হল, থাকার জায়গা এবং খাবারের জন্য মেস। এই থাকার জায়গায় অবশ্য থাকে স্পোর্টস কমপ্লেক্স, লাইব্রেরি, ডিসপেন্সারি, তথ্য প্রযুক্তি পরিষেবা ইত্যাদিও।