সুরজিৎ দে, জলপাইগুড়ি : এ যেন মেঘ না চাইতেই জল, প্রকৃতির খেয়ালে চৈত্র মাসে বৃষ্টি হয়েছে জলপাইগুড়ি জেলার চা বলয়ে। অকাল বর্ষণে হাসি ফুটেছে চা শ্রমিক মহলে। কারণ, ফার্স্ট ফ্লাশ নতুন চা পাতা এসেছে গাছে। ডুয়ার্সের বিখ্যাত তিন কুঁড়ি চা পাতা তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন চা শ্রমিকরা। বিভিন্ন বাগানে বাড়তি চা পাতা তুললে দেওয়া হচ্ছে উৎসাহভাতা।
সামনেই বাংলা নববর্ষ। নববর্ষে কেনাকাটাও করতে পারবেন চা শ্রমিকরা। আর চা পাতা তোলার উৎসাহও পাবেন সমান তালে। এ বছর সময় মতো বৃষ্টি হয়েছে উত্তরবঙ্গে। প্রয়োজন মতো জল পেয়েছে চা বাগানগুলো। সেই কারণে চা পাতার উৎপাদন বেড়েছে বাগানগুলিতে। জানা গিয়েছে, জলপাইগুড়ি জেলার বিভিন্ন চা বাগানগুলিতে নির্দিষ্ট পরিমাণ পাতার থেকে বেশি চা পাতা তুললে হাজিরার সঙ্গে ৫০ টাকা করে বাড়তি উৎসাহভাতা দেওয়া হবে। এই খুশিতে মুখে হাসি নিয়ে আরও ব্যস্ত হয়ে পড়েছে চা শ্রমিকদের দুটি হাত।
আরও পড়ুন : খালি হাতে হেলায় ধরেন সাপ, এই যুবকের হাতের মুঠোয় শান্ত হয়েছে ১৫০ বিষধর
ফার্স্ট ফ্লাশ বলতে বোঝায় চায়ের উৎপাদন মরশুমের একদম শুরুর সময়টাকে। আর এই সময়ে চা গাছে প্রথম যে পাতাগুলো বেরিয়ে আসে, তাতেই থাকে বাড়তি তরতাজা ভাব। এই পাতা থেকে তৈরি হয় ফার্স্ট ফ্লাশ চা। এ সময়ে ফার্স্ট ফ্লাশ চায়ের পাতা শুধু কোমল ও পলকাই হয় না, পাশাপাশি এগুলোতে সুগন্ধ থাকে অনেক বেশি। বাজারে এই চায়ের মূল্য অনেকটাই বেশি পাওয়া যায় বলেই বাগান কর্তৃপক্ষ বাড়তি উৎসাহভাতা দিয়ে শ্রমিকদের উৎসাহিত করছে দ্রুত নতুন পাতা তুলে চা কারখানায় পাঠানোর জন্য।
আরও পড়ুন : দুই-ই সুস্বাদু! কিন্তু বেগুনপোড়া ও বেগুনভর্তার মধ্যে পার্থক্য কোথায়, জানুন
DTA চেয়ারম্যান জীবন পান্ডে তিনি বলেন বৃষ্টি হওয়ার কারণে চা বাগানে ফার্স্ট ফ্লাশ পাতার পরিমাণ বেড়েছে এতে চা শ্রমিকদের সুবিধা হবে এবং চাপ্রেমীদের জন্য সুস্বাদু চা তৈরি হতে পারবে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Dooars, Tea Garden